আল বিদা
এরই মধ্যে লোকজন বলতে শুরু করেছে ঢাকা একটি পরিত্যক্ত নগরী। শুনতে পেলাম এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে ঢাকাকে পরিত্যক্ত নগরী হিসেবে ঘোষনা করতে হবে। গতকাল প্রথম আলোতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি কল্পকাহিনির কলাম পড়লাম। সেখানে দেখান হয়েছে এই নগরীর কিছুদিন পরের সম্ভাব্য ঘটনা। লেখক লিখেছেন যে কিছুদিন পরে পানিশমেন্ট ট্রান্সফার হিসেবে সরকারী লোকজনকে ঢাকায় ট্রান্সফার করা হবে।
গল্পটি পড়ে আতকে উঠলাম।
আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি। সরকার এখন এই পরিস্থিতিতে কি করতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলাপ আলোচনা হয়। সরকার যা করার তা তো করেই। গত বছরগুলোতে দেখেছি! ঢাকায় পানি যখন উঠল তখন পানি সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই সচেষ্ট হলেন।
পানি নেমে যাওয়ার পরই আবার সব চুপ। প্রধানমন্ত্রীর তো আরও অনেক কাজ আছেন।
সোজা কথা আমাদের বুঝতে হবে। নাগরিক সমস্যা নিয়ে সরকার বা সিটি কর্পোরেশনের আর কিছুই করার নেই। এখন থেকে যা করার তা আমাদের করতে হবে।
প্রথম আলো খুব সুন্দর একটা স্লোগান নিয়ে এসেছে। এমন কি অনেক সামাজিক আন্দোলন এই পত্রিকা গড়ে দিচ্ছে। সচেতনতার একটি গনজাগরন সৃষ্টি করেছে দেশে। এ থেকে আমাদের বুঝতে হবে যা কিছু করার আমাদেরই করতে হবে।
যতদিন আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন হবে না ততদিন দেশের বা ঢাকার ভাল কিছুই হবে না।
আমাদের লাইফ স্টাইল বড়ই সেকেলে। এ দিয়ে এখন আর মেট্রোপলিটন শহরে থাকা যায় না। বদলাতে হবে এবং তারপর বদলে দিতে হবে।
ভেবে দেখুন আমাদের দেশের কোন স্কুলের টয়লেটই পরিষ্কার থাকে না। অনেক স্কুলে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে না।
ময়লা বা ছেড়া কাগজ ফেলার কোন ডাস্টবিন থাকে না। শহরে এখনও রাস্তার পাশে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার কেরিয়ার পড়ে থাকে। এ থেকে কি বুঝা যায়? এ থেকে আমাদের জুনিয়ররা কি শিখল? তারা বড় হওয়ার জন্য এ কোন পরিবেশ পেল?
একটু ভাবতে হবে এবার। আর বসে থাকার সময় নেই। যদি ঢাকা শহর না বাচে, তাহলে আমরাও বাচব না।
আর এই ব্লগিংও করতে হবে না। ভেবে দেখুন বাংলাদেশের আর কোথাও এমন কোন সুযোগ আছে যেখানে আপনি এই একই সুবিধায় চাকরী করতে পারবেন? যদি না থাকে আপনার পক্ষ থেকে সচেতনতা শুরু করুন।
আমি এবং আমার পরিবার দিন দিন সচেতন হচ্ছি। আপনি এবং আপনার পরিবার তিলোত্তমা এই শহর রক্ষায় সচেতন তো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।