প্রজাতি, আকার ও আকৃতিগত ভাবে তাল, নারিকেল ও সুপারি গাছ একই প্রজাতির এবং কাছাকাছি। এই প্রজাতির গাছ সমুহের কান্ডের আগা গোড়া ব্যাস যদি সমান কিংবা কাছাকাছি হয়, ধরে নেয়া হয় গাছের স্বাস্থ্য ভাল, যদি গোড়া মোটা কিন্তু আগা চিকন বুঝতে হবে গাছ রোগাক্রান্ত, প্রয়োজনীয় যতœ পেলে ঠিক হয়ে যাবে। তবে যদি গাছের আগা মোটা এবং গোড়া চিকন হয়, তখন বুঝে নিতে হবে যে, ঐ গাছের হায়াত শেষ পর্যায়ে, সামান্য ঝড় কিংবা জোরে কোন ধাক্কা ঐ গাছের অক্কা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। পৃথিবীর সকল দেশের প্রশাসনের কান্ডটি যখন হয় পিরামিড অকৃতির তখন দেশ ভালো চলে, আর তার উল্টাটি হলে বুঝতে হবে দেশ মরন রোগে আক্রান্ত। কোন রাষ্ট্র প্রধান যদি মনে করে যে, সিভিল, মিলিটারি আমলাদের আনুগত্যতা জনস্বার্থ কিংবা জাতীয় স্বার্থের চেয়েও বেশি প্রয়োজন, তখন বুঝতে হবে ক্ষমতার মোহে ঐ রাষ্ট্রপ্রধান রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ভয়ঙ্করভাবে বিসর্জন দিয়ে দেশের স্বার্ভভৌমত্বকে বিপদজনক অবস্থায় নিক্ষেপ করছে।
যা এই মুহুর্তে ঘটছে আমাদের দেশে।
স্বাধীনতার পর থেকে সেনাবাহিনীর কলেবর বৃদ্ধির কারণে এ দেশে জেনারেলের সংখা বৃদ্ধি পেয়ে বড়জোড় ২৫ জন হতে পারতো। । অথচ বর্তমান সরকার অস্বাভাবিক ভাবে পদোন্নতি দিয়ে এখন জেনারেলের সংখ্যা কম/বেশি ৫২ জন করেছে। যেখানে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যথেষ্ট সেখানে এক জন মেজর জেনারেল, ৩ জন ব্রিগেডিয়ার আর ৬ জন ফুল কর্নেল।
ঠিক তেমনিভাবে বেসামরিক প্রশাসনে পদবী বৃদ্ধি করা হয়েছে অচিন্তনীয়ভাবে। হাজার হাজার ওএসডি ছাড়াও অসংখ্য পদোন্নতি হয়েছে, কিন্তু পদ খালি নেই বলে পোস্টিং দেয়া যাচ্ছে না এদের সংখ্যাও শত শত। একটি দেশকে প্রসাশনিকভাবে পঙ্গু করতে এর চেয়ে সহজ পদ্ধতি বিশ্ব রাজনীতিতে এখনও কারো জানা নেই । একেই বলে মাথা ভারি প্রশাসন, একটি মৃতপ্রায় স্বাধীন দেশের সর্বভৌমত্ত হারাবার পূর্বে অনেক সংকেতের মধ্যে এটি ও একটি ভয়ানক সংকেত। সিকিম তার স্বাধীনতা হারাবার পুর্বে একই রোগে আক্রানÍ হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।