ড. মুহম্মদ ইউনুস এখন একটি জগৎবিখ্যাত নাম। শান্তিতে নোবেল পেয়ে যেমনি তিনি বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন তেমনি বিশ্বকে ক্ষুদ্রঋণ নামক মানবসেবার এক অসাধারণ পন্থা দেখিয়ে দিয়েছেন। দিকে দিকে আজ ড. ইউনুসের জয়ধ্বণি। বাংলাদেশের মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে নিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ এক জীবন উপহার দেয়ার মধ্য দিয়ে উনি যে মহৎ কর্ম(?) সম্পন্ন করেছেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন। আহা! বাংলাদেশের মানুষ এখন কত সুখে আছে! ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এক স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশে বাংলাদেশিরা এখন খেয়ে-পরে ইউনুসের জন্য না জানি কতই দোয়া-খায়ের করছে।
সে যাই হো,ক, নোবেল জেতার পর থেকে ইউনুস মহাজন দেশে কতদিন ছিলেন তা হাতেগুণে বলে দেয়া যায়? আমার এক বন্ধু তো একদিন বলেই বসল যে নোবেল পাওয়ার পর থেকে ইউনুস সাহেবকে তো আর দেশে দেখাই যায় না। এক নোবেল জিতে নিয়ে জনাব ইউনুস পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার বাজার বসিয়ে দিলেন। আজ নরওয়ে তো কাল ব্যাংকক, পরশু আম্রিকা তো পরের সপ্তাহে বিলাত এইভাবেই নানা দেশ ঘুরে পুরস্কার টোকাচ্ছেন মাননীয় ইউনুস মহাজন। সম্প্রতি তো বাংলার হৃদয়ের মণি কালা আদমি বারাক ওবামার কাছ থেকে আম্রিকার সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রেসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড পেয়ে বিশ্বকে বিশেষ করে বাংলাদেশিদের তাক লাগিয়ে দিলেন ইউনুস আঙ্কেল। আর অতি সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার আমন্ত্রণও গ্রহণ করে ফেলেছেন জনাব ইউনুস যদিও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে আমন্ত্রণ জানানোর পর তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
যাই হোক, কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করে নোবেল পেয়ে গোটা বিশ্বে শান্তির বন্যা বইয়ে দিলেন ইউনুস মহাজন। স্বীকৃতিস্বরূপ ওবামার দেয়া মালা গলায় ঝুলিয়ে এখন ওস্তাদ মালয়েশিয়া সরকারের অ্যাডভাইজর। মহাজন যে সামনে আরও অজস্র সম্মানে সম্মানিত হবেন এবং বাংলাদেশকে (?) সম্মানিত করবেন তা সহজেই অনুমেয়। প্রতীক্ষায় থাকেন আপনারা।
আর দয়া করে জানান "মাহাজনে"র বিরল সব সম্মাননা প্রাপ্তিতে আপনার অনুভূতি। ততক্ষণ আমি বরং ইউনুসের প্রতিষ্ঠা করা শান্তির বাংলাদেশে শুয়ে শুয়ে ঘুমাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।