অস্ত্র মামলায় সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে রাখা হয়েছে পুনের কেন্দ্রীয় ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে। সেখানে কাগজের ফাইল বানানোর কাজ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ফাইল বানানোর পাশাপাশি সঞ্জয় কাগজ বাঁধাইয়ের কাজও করবেন। বিনিময়ে দৈনিক মজুরি হিসেবে তাঁকে দেওয়া হবে সর্বসাকুল্যে ২৫ থেকে ৪০ ভারতীয় রুপি।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এ তারকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইয়েরাওয়াড়া জেল কর্তৃপক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে।
কারাগারের ভেতরে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এ কাজ দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। নিজের সেলে বসেই এ কাজ করতে পারবেন তিনি। এর জন্য অন্য বন্দীদের সংস্পর্শে আসতে হবে না তাঁকে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ।
এ প্রসঙ্গে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সঞ্জয় এর আগে এই কারাগারে দেড় বছর জেল খেটেছেন।
সেসময় তাঁকে বেতের চেয়ার বানানোর কাজ দেওয়া হয়েছিল। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর বানানো একটি চেয়ার নিলামেও উঠেছিল। চেয়ার বানানোর কাজে তিনি দক্ষতা অর্জন করলেও এবারে তাঁকে আর সে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। সঞ্জয়কে সে ধরনের কাজই দেওয়া হচ্ছে যা করতে অন্যান্য বন্দীদের সংস্পর্শে আসতে হবে না তাঁকে।
বছরের পর বছর ধরে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারের বন্দীরা আসবাবপত্র, মোমদানি সহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে আসছেন।
সেগুলো বিক্রি করা হয় বিভিন্ন সরকারী কার্যালয়ে। ভালো কাজ এবং আচরণ দেখাতে পারলে পুরস্কার হিসেবে বন্দীদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে গত ২১ মার্চ ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্তকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় এরই মধ্যে তিনি দেড় বছর জেল খেটেছেন। এ জন্য তাঁকে আর সাড়ে তিন বছর সাজা খাটতে হবে।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী গত ১৬ মে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয়। প্রথমে তাঁকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে রাখা হয়। সপ্তাহ খানেক বাদে সেখান থেকে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।