আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা মেট্রো-থ ১৪-০৬০২ এর মিটার টেম্পারিং

আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা, আর কত কাল আমি রব দিশেহারা।

আজকে বিকালে নয়া পল্টনে ফুপুর বাসায় গিয়েছিলাম। বাসা থেকে কিছুটা বেরিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ধরলাম। মিটারেই গেলাম। উঠল ৫৮ টাকা।

টাকা দিয়ে ফুপুর সাথে দেখা করে আবার মাগরিবের আগেই বাসায় ফেরার জন্য আবার রাস্তায় এলাম। সামনে এক চালককে দেখে জিজ্ঞেস করলাম মোহাম্মদপুরে বাবর রোডে যাবে কিনা। বলল, মিটারের থেকে ১০ টাকা বেশি দিতে বলল। উঠে পড়লাম। কিছুদূর যেতেই মনে হল যতনা না ১ কিলোমিটার দূরত্ব তার আগেই ১ কিলোমিটার উঠে গেল।

চুপচাপ থাকলাম। দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়। বাসায় যখন নামলাম তখন মিটারে ৮০ টাকা উঠে গেছে। তার পাশে শো করছে সাড়ে ১২ কি.মি রাস্তা। অথচ যাবার সময় উঠেছিল সাড়ে ৮ কি.মি রাস্তা।

এটাই সঠিক। সাড়ে আট কি.মি এর ভাড়া হয়= ৮.৫*৬+৫ টাকা(৫মিনিট ওয়েটিং ছিল)=৫৬ টাকা। আমি চালককে ৭০ টাকা দিয়ে বললাম, মিটারে কবে থেকে টেম্পারিং করা হয়েছে। আমার দিকে বোকার মত চেয়ে বলল দুই সপ্তাহ আগে নাকি মিটারে কাজ করা হয়েছে। আমি তাকে বললাম শীঘ্রই এটা ঠিক ঠিক করাতে, হয় নিজে নাহয় মালিককে দিয়ে।

সাথে অটোরিক্সার সিরিয়াল নাম্বার-ও দেখে নিলাম। আমার কাছ থেকে আর টাকা আদায় করতে পারবে না দেখে চলে গেল। মনে হল, এটা ব্লগে প্রকাশ করি। আজকের দিনে অটোরিক্সা ও রিক্সাওয়ালাদের কাছে প্রায় জিম্মি মানুষজন। প্রয়োজন আপনার সচেতনতা।

অটোরিক্সাচালকদের মালিকের কাছে জমার পরিমাণ ৬৫০-৭০০ টাকা-এটা যেমন সত্যি কথা(হবার কথা ৪৫০ টাকা) তেমন সত্যি কথা হল তাদের প্রতি কি.মি তে খরচ মাত্র ১ টাকা(৮ টাকা কেজির জমানায় খরচ হত ৫০ পয়সা)। দরকার যাত্রীসাধারণ এবং চালক- দু' পক্ষরই সম্মিলিত সচেতনতা ও প্রতিরোধ। দূর্নীতির বিভিন্ন পর্যায়ের এখানেও এক দূর্নীতি অটোরিক্সার দাম নির্ধারণ এবং পরিচালনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.