আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোনা বৃষ্টির কথা!!!

হলুদ পাঞ্জাবীর একটা অদ্ভুত ব্যাপার হল এই পাঞ্জাবী পরার পর নিজকে মহাপুরুষ মহাপুরুষ মনে হয়!!! ভালো কাজের নেশায় পেয়ে বসে। মানুষের আনন্দাশ্রু দেখতে তখন বড্ড ভালো লাগে, মানুষ হয়ে জন্মেছি অথচ মানুষের ঐ অশ্রু দেখবো না তাই কি হয়!!!!

বুদ্ধদেব গুহ তার আয়নার সামনে বইটিতে বলেছিলেন, “যারা চিৎকার করেনা, অথচ হাত তুলে চাই চাই, দিতে হবে, কেড়ে নেব ইত্যাদি বলেনা, তাদের দাবি নিরুচ্চারই থেকে যায়। তাদের যে কিছু চাইবার আছে তা আমরা দেখেও দেখিনা। তাদের নীরব চোখের ভাষা আমাদের চোখে পড়ে, কিন্তু চোখ কাড়েনা। মনে পড়ে কিন্তু মনে থাকেনা।

” কিন্তু আমি ভিখারী হয়ে জন্মেও ভিক্ষা চাইতে পারিনা। কিন্তু কি করব বল, সৃষ্টিকর্তা আমাকে তৈরী করার সময় যে বড় বেশী উদাসীন ছিলেন। তিনি আমার মধ্যে প্রচন্ড রকমের আবেগ দিয়েছেন কিন্তু তা প্রকাশ করার ক্ষমতা দেননি। তিনি আমাকে আমার প্রয়োজন বোঝার ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন কিন্তু তা চাইবার ক্ষমতা দেননি। আমি প্রচন্ড আবেগী হয়ে তোমাকে বলতে পারিনা আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি।

তাই তুমি যখন আমাকে কাঠখোট্টা(রসকস নাই)বল তখন আমি রাগ করিনা। রাগ করবই বা কেন??আমি তো আসলেই তাই। এইযে আমি যে এখন লিখছি তা কেন লিখছি তাও আমি জানিনা। আমি বুঝে উঠার পর থেকে আমার অভিযোগ, রাগ, চাওয়া-পাওয়াগুলো সব এইরকম করেই লিখে রাখছি। লেখার কাগজ শেষ হয়ে গেলে আবার কিনে এনেছি, কলম কিনে এনেছি।

মনের কোন স্মৃতি শিফট ডিলেট করেতো মনের জায়গা খালি করা যায়না তাই হয়তো আমার মন অপরিণত বয়েসে এই কাগজ কলমই বেছে নিয়েছিল। লিখতে আমার কোন ক্লান্তি নেই, ভয়ও নেই। কারণ সেই লেখাতো তোমার কাছে পৌছাবেনা। তাই আমার ডায়েরীর পাতায় তোমাকে আমি কলম দিয়ে অনেকবার বলেছি ভালোবাসি। আনেকবার আমাকে তোমার অনেক অনেক কাছে নিয়ে গেছি।

সেখানে তুমি আমাকে কখনও ফিরিয়ে দাওনি। সেখানে আমি তোমাকে নিয়ে আরো একদিন বৃষ্টিতে ভিজেছি। ঐদিনের মত ঘন্টার পর ঘন্টা রিক্সায় ঢাকার শহর ঘুরে বেরিয়েছি। তুমি ঐদিনের মত আবার রিক্সার হুড খুলে দিয়েছিলে। আমি আবার তোমার সেই হাসিটি দেখার জন্য তোমার দিকে তাকিয়ে রাগ হবার ভান করেছি।

কারন এরপর তো তুমি আবার আমার হাত শক্ত করে ধরবে। সে লোভ আমি কি করে সামলাবো বলো? তবে আমার ডায়েরীর পাতায় আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমি তোমাকে ভালবাসি। যেটা বাস্তবে আমি বলতে পারিনি। আমি তোমার গালে লেপ্ট থাকা তোমার ভেজা চুলগুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে বলব আমি তোমাকে পাগলের মত ভালবাসি। কিন্তু মানুষের তৈরী ঘরে কি আর বৃষ্টি অনধিকার প্রবেশ করতে পারে?? সেতো বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে সেখান থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে মাটিতে।

তারপর আবার সেটা বৃষ্টি হওয়ার জন্য ছুটে চলে। তাইতো আমাকে আমার ডায়েরীর পাতায় বৃষ্টি নামাতে হল!!! কিন্তু আমার বৃষ্টির পানি যে বড় নোনা!! আর সেখানেতো পানি গড়িয়ে যায় না। তা ঐ কাগজ, প্রজার রক্তচুষে খাওয়া রাজার মত চুষে নেয়। আমি আরও একদিন বৃষ্টিতে ভিজবো। বাস্তবেই ভিজবো।

একাই ভিজবো। তুমিবিহীন ঢাকার বৃষ্টিতে ভিজে আমি এবার সবাইকে বলে দেব, আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি। তোমার কোন ভয় নেই। আমি তাদেরকে বলবোনা তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছ। আমি তাদেরকে বলব আমি তোমাকে ধরে রাখতে পারিনি।

ভিখেরী হয়ে জন্মে যদি ভিক্ষা চাইতে না পারি তবেতো না খেয়েই থাকতে হবে!!! পৃথিবীর দাতারা না চাইতে ভিক্ষে দেয়না। আর যারা দেয় তুমিতো তাদের একজন নও। কিন্তু কি করব বল আমি যে চাইতে পারিনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।