ফেসবুক : www.facebook.com/mahmud.sust
ছবিটা আমাদের ফাইবার অপটিকস ল্যাবের ভাইভা দেয়ার সময় তোলা। জাফর স্যার আমাদের ফাইবার অপটিকস কোর্স নেন। জাফর স্যার কতটা চমৎকার পড়ান তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্যার আমাদের ল্যাব নেন, ল্যাবে প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট করার পর স্যারের কাছে এসে ভাইভা দিতে হয়। স্যারের কাছে ভাইভা দিতে গেলে ওই এক্সপেরিমেন্টেরে ওপর খুব ক্লিয়ায় কনসেপ্ট না থাকলে, ভাইভা দেয়া কঠিন।
কারন স্যার একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে আর সঠিক উত্তরটাও কেন সঠিক জিজ্ঞেস করে কনফিউজড করে ফেলে, শেষে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায়। আমার কাছে ভাইভা মানেই চাপাবাজি, নিজে যা জানি তার চাইতে কয়েকগুন বেশি বানিয়ে এত কনফিডেন্সের সাথে বলে দেই যে স্যারেরাও কনফিউজড হয়ে যায়। কিন্তু জাফর স্যারের সামনে চাপাবাজি টিকলো না, চাপাবাজি করতে গিয়েই প্রথম এক্সপেরিমেন্টের ভাইভায় ৫ মিনিটের মাথায় হাটু কাপাকাপি লেগে গেল। ফলাফল প্রথম এক্সপেরিমেন্টের ভাইভাতে একজন ছাড়া বাকি সবাই রিপিট খেলাম।
জাফর স্যারের সাথে আমাদের এটাই শেষ কোর্স।
সাস্টে সিএসই বিভাগের সবার কাছেই জাফর স্যারের শেষ এই কোর্সটা গুরুত্বপূর্ন। কারন আমরা ভার্সিটি লাইফ শুরু করেছিলাম জাফর স্যারের “ডিসকৃট ম্যাথামেটিকস” দিয়ে আর শেষও করছি স্যারের কোর্স “ফাইবার অপটিকস” দিয়ে। আমি নিশ্চিত যদি এখানে সাস্টের সিএসইর কোন ভাই থাকেন, ছবিটা দেখে এক মূহুর্তের জন্য হলেও ভাবনায় তারা সেই দিনগুলোতে ফিরে যাবেন। আর কয়েকমাস পর গ্রাজুয়েশন শেষ করে শাবিপ্রবি ছেড়ে চলে যাচ্ছি, ভাবতেই বুকটা টনটন করছে। কয়েকটা বছরে কত স্মৃতি রয়ে গেছে ক্যাম্পাসটায়।
জীবনের সবচাইতে শ্রেষ্ঠ সময়টা কাটিয়েছি সাস্টের মনোরম পরিবেশে।
আমি ভালবাসি সাস্ট, ভালবাসি সিএসই বিভাগ এবং ভালবাসি জাফর স্যারকে, যিনি সারাজীবন আমাদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।