বিএনপি দলীয় সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, আমার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের লোকজনকেই বিশ্বাস করেন না। দলের কাউন্সিলে তার কাঁচের ঘর লাগে, দলের কার্যালয়েও কাঁচের বেষ্টনি লাগে। দেখা যাবে সংসদেও কাঁচের দেয়ালে বসে আছেন তিনি। আজকের প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগই বড় হুমকি। বিএনপি নয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল বিকেলে যুবদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরাপত্তার নামে প্রধানমন্ত্রী কমবেশি বাড়াবাড়ি করছেন দাবি করে সাকা চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া ক্যান্টমেন্টের বাসায় থাকলে, তারেক রহমান বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে আর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নয়াপল্টনের অফিসে বসলেই সরকার নিরাপত্তহীনতায় ভোগেন। আর আমি কিছু বললে নির্বাচন কমিশনে বসে থাকা তিন কুতুব আমার সংসদ সদস্যপদ নিয়ে টানাটানি শুরু করে। সরকার ও ইসি বাস্তবতা বুঝতে মোটেও চেষ্টা করে না। সাকা বলেন, সরকার যে নিরাপত্তা আইন করেছে তাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে বেয়াই-বেয়াইন থেকে শুরু করে এমন কেউ নেই যে এসএসএফ নিরাপত্তা পাবে না- যা দৃষ্টিকটু।
ঢাকা শহর কালো কাপড় ও লিফলেটে ছেয়ে গেছে উল্লেখ করে সাকা বলেন, সারা ঢাকা শহরে দেখা যাচ্ছে কাঁদো বাঙালি কাঁদো-এর ব্যানার। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এরা কোথায় ছিল। আজকে শোক করার এতো মানুষ দেখি, কিন্তু ’৭৫ সালে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সময় কান্নার একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যায়নি। জোর করে শোক পালনে বাধ্য করার চেষ্টা শুভ নয়।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিজের ভাগ্নে দাবি করে সাকা বলেন, আমার ভাগ্নে আমেরিকা থেকে দেশের আসার সময় দুটি অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এসেছেন।
আওয়ামী লীগের লোকদের হাতে যে বন্দুক আছে, তার জ্বালাতেই দেশের মানুষ স্বস্তিতে নেই। এরপর আমার ভাগ্নে জয় কেন যে বিদেশি বন্দুক নিয়ে দেশে এসেছেন, তা এখনই বোধগম্য নয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়ে সাকা বলেন, শাসন ক্ষমতার মেয়াদ আরো কমাতে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো।
সাকা বলেন, কলতাবাজারে রুচিতা হোটেল ছিল। মাস্তান প্রয়োজন হলেই বলা হতো রুচিতায় খবর দে।
ওয়ান ইলেভেনের পর আমাদের সেনাবাহিনীকে রুচিতার মাস্তানে পরিণত করা হয়েছিল।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের প্রথম দিকে সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না উল্লেখ করে সাকা বলেন, গুটিকয়েক দুষ্কৃতকারী দেশের এমন অবস্থা করেছিল যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের সহানুভূতি উঠে গিয়েছিল। আর সেনাবাহিনীর প্রতি সবচে’ কম সমর্থন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হত্যাযজ্ঞের সময় হত্যাকারীদের সুযোগ করে দিতে নানক-আজম ও সাহারাদের পিলখানায় পাঠিয়েছিলেন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।