একজন মুসলিম হিসেবে কোরআনের প্রতি আমি বিশ্বাস করি। নিজে খুব ধার্মিক - এই দাবী করিনা। তবে আমি কমিউনিষ্টদের যুক্তি দ্বারা অনেকসময় প্রভাবিত হই। আজ একটা পোষ্ট পড়ে কমুনিষ্টদের প্রতি ঘেন্না এসে গেছে।
আজকে চয়ন একটা পোষ্ট দিয়েছে - কোরআন সম্পর্কে।
সেখানে আরিফুর রহমানের কিছু কমেন্ট ছিল। সেখানে সে কিছু আয়াত দেখিয়েছে- একটা অপরটার বিপরীত। আসলে যুক্তি দিয়ে যদি কোরআনের কোন ভুল বের করা যায় সেটা সবার মেনে নেয়া দরকার। আমি ভেবেছিলাম ব্লগে যেহেতু অনেক ইসলামী ব্লগার আছে তারা আরিফুর রহমানের দেখানো বিপরীত আয়াত গুলোর একটা সমাধান দিবে। এখনো এমন পোষ্ট চোখে পড়েনি।
পরে আমি দুটি আয়াত দেখলাম । কারণ এগুলোর প্রতি তিনি বেশ জোর দিয়েছেন। আয়াতদুটি হচ্ছে -
১৯:৬৭ আল্লাহ মানুষকে শূন্য থেকে সৃষ্টি করেছেন।
অসংগতি: ৫২:৩৫ মানূষ শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়নি।
আয়াতদুটিতে স্পষ্ট বিরোধী কথা।
তাই আমি নিজে কুরআন শরীফের অর্থ দেখলাম। আয়াত নাম্বার দেখে বের করলাম।
দেখলাম- তিনি আয়াতগুলোকে আগ পরের সাথে বিছিন্ন করে এমন একটা ভাব তৈরী করেছে যাতে বিপরীত বুঝায়। আসলে আয়াত দুটিতে বিপরীত নয় একই কথা বলা হয়েছে।
তাই নিচে আমি দুটি আয়াতের সরল অর্থ তুলে ধরছি।
১৯:৬৬-৬৭ আয়াতের অনুবাদ
মানুষ বলে, সত্যিই কি আমি মরে যাব তখন আবার আমাকে জীবিত করে বের করে আনা হবে? মানুষের কি স্মরণ হয়না, আমি আগেই তাকে সৃষ্টি করেছি অথচ সে কোন অস্তিত্ববান সত্ত্বা ছিল না।
৫২ : ৩৫-৩৬ আয়াতের অনুবাদ
কোন (সৃষ্টিকর্তা) সত্তা ছাড়া এরা কি নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে? নাকি এরা নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টিকর্তা? নাকি আসমান ও যমীনকে এরাই সৃষ্টি করেছে? আসলে তারা কোন নিশ্চিত জ্ঞানের ধারক নয়।
কুরআন বা ইসলাম এসবকে ভুল প্রমাণ করার জন্যে যুক্তির আশ্রয় নিতে হবে। প্রতারণা নয়। আরিফুর রহমানের মত একজন নাস্তিকের কাছে এরকম প্রতারণা আশা করি না।
এতে সত্য ও যুক্তির দিকে না এসে মানুষ বিভ্রান্ত হবে।
আরো কিছু আয়াতের পরস্পর বিপরীত কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। আমার বিশ্বাস সেগুলোতেও এরকম জালিয়াতি করে কোরআনকে মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করা হয়েছে।
আমার কাছে যা প্রথমে স্পষ্ট বিপরীত মনে হয়েছিল তা-ই আগে দেখেছি। আর বাকী আয়াতগুলোর ব্যাপারে ইসলামী ব্লগারদের মতামত পেলে আরো ভাল হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।