মুখে দুজনে যতই অস্বীকার করুন, তাঁদের মধ্যে একটা অলিখিত লড়াই স্পষ্ট। লিওনেল মেসি বনাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এই দ্বৈরথে আসলে উপকৃত হচ্ছে ফুটবল, সবচেয়ে লাভবান হচ্ছে ফুটবলপ্রেমীরা। রোনালদো গোল করলে সেটার পাল্টা জবাব মেসি গোল দিয়েই দেন। একইভাবে মেসিকে কোনো বার্তা পাঠাতে চাইলে গোল করাটাকেই সবচেয়ে ভালো উপায় মনে করেন রোনালদো। স্প্যানিশ লিগের ‘সুপার সানডে’টি দেখল এমনই একটা জবাব-পাল্টা জবাব।
অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে গোল করে রোনালদো এই মৌসুমের খাতা খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেসি করলেন হ্যাটট্রিক। সেটিও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধেই। মেসির হ্যাটট্রিকের পরেও কিন্তু স্বস্তিতে নেই বার্সা। নিজেদের মাঠে ৪১ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ভ্যালেন্সিয়া মোটেও হতোদ্যম হয়ে পড়েনি। বরং প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রোনালদোরই পর্তুগাল সতীর্থ হেলদার পস্তিগার সৌজন্যে।
৪৫ মিনিট এবং এবং প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দুটো গোল করে ম্যাচটি জমিয়ে তুলেছেন পস্তিগা। এর মধ্যে প্রথম গোলটি এসেছে দুর্দান্ত এক ভলিতে। ম্যাচে কী হয় বলা মুশকিল। তবে এই ম্যাচে বার্সার সবচেয়ে বড় স্বস্তি হয়ে দেখা দিতে পারে মেসি-নেইমার জুটি জমে ওঠার পূর্বাভাস। মেসির তৃতীয় গোলটি নেইমার-মেসির দুর্দান্ত বোঝাপড়ার ফসল ছিল।
৪১ মিনিটের সেই গোলের আগেই অবশ্য ১১ ও ৩৯ মিনিটে মেসি-সুলভ ঝলক দেখিয়ে দুটো গোল করেন এই আর্জেন্টাইন। সামনে মেসি হলেও নেপথ্যে বার্সার আসল কারিগর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত মৌসুমের শুরু থেকে দিচ্ছেন সেস ফ্র্যাব্রিগাস। লিগে মেসি তিন ম্যাচে পাঁচটি গোল করলেন ঠিকই, কিন্তু তিন ম্যাচে এরই মধ্যে ছয়টি গোল করিয়ে ফেলেছেন এই ফ্যাব্রিগাসই। জমজমাট দ্বিতীয়ার্ধের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেটি মিস করতে না চাইলে এক্ষুনি স্টার ক্রিকেট খুলে বসতে ভুলবেন না! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।