আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।
পোষ্টটির সূত্র: নতুন ব্লগাররা ওয়েবসাইটের দিকে নজর দিন ~ পাঠককে ওয়েবসাইটকে ধরে রাখুন
ব্লগ আর ওয়েবসাইট – যেটাই শুরু করেন না কেন, প্রথমদিন থেকে ক্ষেত্রবিশেষে পরবর্তী ৩/৪ মাস ওয়েবসাইটের জন্য অগ্নিপরীক্ষার সময়। এসময়ের মধ্যেই প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ নতুন ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। ওয়েবসাইটের মালিকগণ হয় পরিকল্পনা ছাড়াই ওয়েবসাইট শুরু করে ভুল বুঝতে পারেন কিংবা মহাপরিকল্পনা করেও লাভ হয় না। য়থেষ্ট ভিজিটর পান না কিংবা ভিজিটরদের ধরে রাখতে পারেন না।
এর জলজ্যান্ত প্রমান পাবেন আমার ফোরামে , ওখানে অনেকেই অনেক উদ্যোমের সাথে ফোরামে অংশগ্রহন শুরু করে কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
ওয়েবসাইটের অপটিমাইজেশন নিয়ে অনেকবারই অনেক কথা বলেছি , ওয়েবসাইটের ভিজিটর পেতে অপটিমাইজেশনের বিকল্প নেই। আর আজকে ওয়েবসাইটের গঠন এবং এর উপাদান নিয়ে কিছু কথা বলব। ওয়েবসাইটের ডিজাইন পাঠককে ওয়েবসাইটে ধরে রাখার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশের ৩ সেকেন্ডের মধ্যে পাঠক ওই ওয়েবসাইটে থাকা কিংবা না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।
এই ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে ডিজাইন ছাড়া পাঠকের চোখে আর কিছুই পড়ার কথা নয়।
১. প্রথমত ওয়েবসাইটের background এ কোনো ছবি ব্যবহার করবেন না, নিতান্তই ব্যবহার করতে হলে খুবই হালকা রংয়ের ব্যবহার করুন। কখনই কালো কিংবা গাঢ় background এ সাদা ফন্ট ব্যবহার করবেন না।
২. অনেকে চোখের শান্তির জন্য ফন্টের রং কালোর (#000000) এর পরির্বতে গাঢ় ধূসর (#333333) ব্যবহার করে থাকেন।
৩. সুন্দর একটা ব্যানার ব্যবহার করুন।
নিজে ডিজাইন না করতে পারলে বন্ধুদের সাহায্য নিন। ব্যানারে ওয়েবসাইটের নামের সাথে সাথে ওয়েবসাইটের সাবটাইটেলও ব্যবহার করুন।
৪. Wordpress.com এর ফ্রি ব্লগে ডিজাইনে কোনো পরিবর্তন করা যায় না, তবে blogger.com এর ব্লগের ডিজাইন পরিবর্তন করা যায়। এজন্য পারলে blogger.com এর ব্লগের বোরিং ডিজাইন পরিবর্তন করে ফেলুন। এখানে ব্লগারের জন্য কিছু সুন্দর ম্যাগাজিন স্ট্যাইল ডিজাইন আছে।
এছাড়াও গুগলে সার্চ দিয়েও হাজার হাজার ব্লগারের জন্য টেমপ্লেট পাওয়া সম্ভব। আর নিজের সার্ভারে ওর্য়াডপ্রেস কিংবা জুমলা ব্যবহার করলে তো কোনো কথাই নেই – হাজার হাজার টেমপ্লেট পাওয়া যায়।
৫. ওয়েবসাইটে যতসম্ভব কম রং ব্যবহার করুন। এবং রংগুলো যেন একে অপরের সাথে ম্যাচ করে।
৬. প্রতিটি ক্যাটাগরি, সাবক্যাটাগরি, লেবেল ইত্যাদি পরিস্কারভাবে নির্বাচন করুন।
৭. প্রতিটি পোষ্ট সম্ভবমতো প্যারা করে, পয়েন্ট আকারে, হেডিং ব্যবহার করে লিখুন। এক নাগাড়ে লিখবেন না – তাতে পড়তে যেমন অসুবিধা তেমনি যারা দ্রুততার সাথে পড়তে চায় তারা স্ক্যান করতে পারে না।
৮. অনেকেই নানা ধরনের এনিমেশন ব্যবহার করেন, ওয়েবসাইটের সাথে সর্ম্পকিত না হলে ওগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই।
৯. অহেতুক হোমপেজে সংবাদপত্র, বিনোদনের ওয়েবসাইটের লিংক দেবার দরকার নেই। যতদূর পারেন পাঠককে নিজের ওয়েবসাইটেই আটকে রাখুন।
পাঠককে ওয়েব ট্রাফিকের তথ্য দেবার দরকার নেই। এতে পাঠক সংখ্যা কম হলে পাঠকের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
১০. কার্সরে এনিমেশন, বিভিন্ন widgets, অহেতুক background এ গান ব্যবহারের দরকার নেই। এগুলো কেবল ওয়েবসাইটকে ধীরগতিরই করে না বরং বিরক্তির উদ্রেকও করে।
১১. ভদ্রতার সাথে প্রতিটি মন্তব্যের উত্তর দিন।
এমনকি ইমেইল করেও মন্তব্যের উত্তর দিতে পারেন।
১২. পাঠককে RSS Feed কিংবা ইমেইল নিউজলেটার সাবস্ক্রাইবে উৎসাহিত করুন। এমনকি বুকমার্কেও উৎসাহিত করতে পারেন।
১৩. যত্রতত্র বিজ্ঞাপন ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। এ বিষয়ে পরর্বতীতে বিস্তারিত লিখতে চেষ্টা করব।
১৪. নিয়মিত নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্লগ পোষ্ট করুন, কপি-পেস্ট করা থেকে দূরে থাকুন।
১৫. প্রথম পাতায় অনেকগুলো পোষ্ট প্রকাশিত করা থেকে বিরত থাকুন। ৪/৫টির বেশি পোষ্ট একসাথে দেখানোর প্রয়োজন নাই।
১৬. আবার পোষ্ট বড় হলে পুরো পোষ্টও দেখানোর দরকার নেই। এতে করে স্ক্রলিং বেড়ে যায়।
১৭. ইংরেজিতে ব্লগ বানালে, বাংলিশ শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
আপাতত এই পয়েন্টগুলো মনে পড়ছে। তাই একটানে লিখে ফেললাম। পয়েন্টগুলো পড়তে থাকুন, নতুন আরও কিছু টিপস নিয়ে আবার হাজির হব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।