খুজে বেরাচ্ছি কিন্তু পাচ্ছিনা
ল্যান্স করপোরাল উইলিয়াম উইন্ডসর , লোকে চিনে বিলি নামে ।
তিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত একটানা কর্তব্যররত ছিলেন বৃটিশ আর্মির রয়্যাল ওয়েলসের প্রথম পদাতিক ব্যাটালিয়নে । শুধু মাঝে ২০০৬ সালে তিন মাসের জন্য তাকে ফুসিলিয়ার পদে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল । অবশ্যই যেনতেন কোন কারনে নয়, রাণীর জন্মদিনের পার্টিতে বেয়াদপির কারনে তাকে এই শাস্তি পেতে হয়েছিলো , তিনি তখন কর্মরত ছিলেন সাইপ্রাসে ।
তিন খুব বন্ধুসুলভ এবং মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করেন ।
২০০১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর তিনি বিদেশেও দায়িত্ব পালন করেছেন, সাক্ষাত করেছেন রাজপরিবারের সদস্যদের সাথেও ।
রেজিমেন্টের প্রত্যেকটি কুচকাওয়াজে তিনি উপস্থিত থাকতেন । মূলত তার কাজ ছিল কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেয়া ।
আট বছর দায়িত্ব পালন শেষে বিলি অবসর নেন বার্ধক্যজনিত কারনে ।
২০০৯ এর ২০ মে বিলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয় ।
তখন তিনি পরিধান করে ছিলেন আনুষ্ঠানিক পোষাক, আর পরেছিলেন ১৯৫৫ সালে রাণীর কাছ থেকে উপহার পাওয়া একটা শিরোভূষন ।
রেজিমেন্টের সৈন্যরা দাঁড়িয়ে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছিল ।
বিলি কিন্তু কোন মানুষ নয়, সে কাশ্মীর প্রজাতির একটা ছাগল । ছবি দেখে তা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন । রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০০১ সালে এটাকে ওয়েলস রেজিমেন্টে প্রদান করেন ।
আর্মিতে কর্তব্যরত অবস্থায় সবসময় দেখভালের জন্য তার সাথে থাকত একজন ল্যান্স করপোরাল । তাকে বলা হত 'গোট মেজর'
২০০৬ সালের ১৬ জুন , রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৮০তম জন্মোৎসবে সে লাইন থেকে বেরিয়ে পরেছিলো এবং একজন ড্রামারকে শিং দিয়ে গুতো মারার চেষ্টা করেছিলো
এবং গোট মেজর তাকে সামলাতে ব্যার্থ হয়েছিল । এই 'অনাকাংখিত এবং শিষ্টতাবর্জিত আচরন' এর কারনে তার পদচ্যুতি হয়েছিল
বিলিকে হুইপ্সনেড চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে । সেখানে তার বাকি জীবনটা আরামেই কাটবে
ও আচ্ছা , ভালো কথা ...
বিলি অবসর নেয়ার ২৬ দিন পর আরও একজন অবসর নিয়েছে । তবে বৃটিশ আর্মি থেকে নয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।