আল বিদা
সেই কবে এসএসসি আর এইচএসসি দিয়েছি মনেই নেই। সেই সময় সাময়িক একটা সনদপত্র তুলেছিলাম। মূল সনদপত্রটি নেয়া হয় নি। হঠাৎ বহুকাল পরে মনে হল মূল সার্টিফিকেট তুলি। সেই উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার রাতের বাসে চট্টগ্রাম যাওয়া।
আমার এসএসসি হালিশহরের গরীবে নেওয়াজ স্কুল থেকে আর এইচএসসি চট্টগ্রাম শাহীন কলেজ থেকে। সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম নেমে প্রথমেই গেলাম শাহীন কলেজে। কারন শাহীন কলেজ সকালেই শুরু হয়। যখন পড়তাম তখন কলেজে ঢুকার সময় গেটের এয়ারফোর্সের গার্ডরা অযথা মাতব্বরী করত। তখন কিছু বলতে পারতাম না।
এবার তাই রেডী ছিলাম। কিন্তু গেটে কেউ কিছু বলল না। কলেজে ঢুকেই একের পর এক দেখা মিলল কলেজের স্যার/ম্যাডামদের সাথে। আমি এমন কোন বিখ্যাত স্টুডেন্ট ছিলাম না যে তারা আমাকে মনে রাখবে। বললে হয়ত বলত হ্যা চিনেছি তুমি আমাদের এক্স স্টুডেন্ট!! তাই আমি আমার কোন পরিচয় না দিয়ে কাজ করেছি আর দূর থেকে শুধু দেখে এসেছি।
ক্লাসরুমের সামনে দিয়ে গেলাম আর মনে করতে থাকলাম স্মৃতিগুলো। একসময় কতই না ভয়ে ভয়ে এই কড়িডোরে হাটতাম। আমি যখন কলেজ ছেড়েছি তখন এখনকার যারা পড়ছে, তারা ভর্তিও হয়নি। তাই তাদের এক্টিভিটি দেখে ভালই লাগল। খুব সহজেই কাজ শেষ করে গেলাম স্কুলে।
হালিশহরে বাসা থাকার কারনে গরীবে নেওয়াজ স্কুলে পড়েছি। স্কুলের স্যাররা আমার খুবই প্রিয়। তাদের অনেকেই আজও আমাকে দেখে চিনতে পারে। এদের মধ্যে ২জন স্যার আমাকে পারসোনালি বাসায় পড়াতেন। তাই আমার কাছে তাদের অবদান বা দাবী খুবই বেশী।
আফসোসের কথা এই যে আমি এখন আর তাদের সামনে যাই না। কারন আমাকে নিয়ে তাদের অনেক আশা ছিল। আমি তার অর্ধেকও পূরন করতে পারি নাই। অন্য দুয়েক জন স্যার যখন আমাকে দেখে জানতে চাইল এখন কি করছি, আমি বলতে খুব দ্বিধায় পড়ে গেলাম। একটা একটা স্যার/ম্যাডামদের দেখছিলাম আর মনে পড়ছিল।
আমার কাছে স্কুলের স্মৃতি অনেক বেশী। কোন স্যার কিভাবে পড়াতেন, কিভাবে মারতেন, কিভাবে কথা বলতেন তা মনে করছিলাম। আফসোস আমি আমার প্রিয় স্যারের সামনে গিয়ে সালাম দিতে পারলাম না। কতটা অপদার্থ হলে এমন দূর্ভাগ্য হয় মানুষের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।