নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
কাচাঁ মরিচের বাজারে আগুন লেগেছে। তিন আংগুলে যে কটি মরিচ ধরে তাই দিয়ে দোকানী ৫ টাকা দাম হাঁকছে। আর ২টা চাইলে ১০ টাকা। ওজন দিয়ে নিতে চাইলে ১০০ গ্রাম ২০টাকা। অর্থাৎ কেজি ২০০ টাকা! আর আংগুলের চিপায় যে বেচাবাট্টা তাতে নিশ্চিৎ কেজি ৩/৪ শ টাকা পড়ছে।
রীতিমত হরিলুট চলছে কাচাঁমরিচ নিয়ে। সামনেও চলবে ইনশাআল্লাহ। দেশ বাচানো আর দিনবলদের হাউকাউয়ে কান দিয়ে আমগো লাভ নাই। তাই চলুন কাজে নেমে পড়ি।
মরিচ ছাড়া চলবে না
তরকারিতে ঘ্রান, ভাতের সাথে কামড়ে খাওয়া, ভর্তা বানানো ইত্যাকার নানান রসনায় বাংগালী উদর মরিচের জন্য হাপিত্যেশ করবেই।
তবে যেহেতু বেশী পরিমান কাচাঁমরিচ লাগেনা তাই ঘরে-বাড়িতেই একটা বন্দোবস্ত করা যেতে পারে।
আসুন টবে মরিচ গাছ লাগাই
ব্লগ মূলত: শহুরে লোকদের আখড়া। তাই টবই ভরসা। বারান্দা, ছাদ, কার্নিশ ভরে দিন মরিচ গাছ দিয়ে। ফুল গাছ লাগানোর কায়দা কানুন যেমন, মরিচের ক্ষেত্রেও তেমন।
নতুন জেগে উঠা চরে বা পাহাড়ের ঢালে মরিচ গাছ ভালো হয়। অর্থাৎ বেলে দোঁআশ মাটি। আরেকটা কথা গাছের গোড়ায় পানি জমলেও শেষ আবার শুস্কতায় গাছ মরে যাবে। সুতরাং, সেচ হবে হালকা। আলো লাগবে।
সেটার দিকেও লক্ষ্য রাখুন।
মরিচেরও নানান জাতপাত আছে। কিছু বারমাইশ্যা, কিছু শীতকালীন। আকার ও স্বাদেও আছে পার্থ্ক্য। বীজ কিনেও লাগাতে পারেন, পারেন নার্সারি থেকে রেডিমেড চারা কিনতে।
ফুল, ফল সহ গুলো দেখতে ভাল লাগলেও বয়সে বুড়া। ঠকবেন। সুতরাং, নেমে পড়ুন ঘরে মরিচ চাষে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।