সদ্যই চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। লিওনেল মেসির ফিটনেস নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিলই। তবে সেই সংশয়কে গত রাতে মিথ্যে প্রমাণ করলেন বার্সা জাদুকর। মৌসুমের নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নিলেন, লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে দলকে জেতালেন ৩-২ গোলে।
ম্যাচের পাঁচ গোলের সব কটি হলো প্রথমার্ধে।
প্রথম তিনটি গোল মেসির। বাকি দুটি গোল ভ্যালেন্সিয়ার ফরোয়ার্ড হেলডার পসতিগার। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ সৃষ্টি হলেও কোনো প্রচেষ্টাই সফল হয়নি।
প্রথম আবির্ভাবে ব্যর্থ হলেও কাল দারুণ কার্যকর ছিল মেসি-নেইমার জুটি। নেইমার নিজে গোল করতে না পারলেও মেসির তৃতীয় গোলটির উত্স ছিলেন তিনিই।
ম্যাচের ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। ফ্যাব্রিগাসের বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। একদম ভুল করেননি বার্সার প্রাণভোমরা। ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণভাগে বাধার মুখোমুখিও হতে হয়নি মেসিকে। গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে বেশ সহজেই বল জড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের জালে।
নয় মিনিট পর গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। তবে তাঁর শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ২৬ মিনিটে সুযোগ আসে ইনিয়েস্তার সামনে। গোলে শটও নিয়েছিলেন, তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় অল্পের জন্য। ৩৮ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার ফরোয়ার্ড পাবনের শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ভিক্টর ভালদেস।
৩৯ মিনিটের মাথায় ফ্যাব্রিগাসের পাস থেকে আবারও বল পেয়ে যান মেসি। সুযোগটাও মিস করেননি আর্জেন্টাইন তারকা। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে সহজেই পরাস্ত করেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষককে। মেসির হ্যাটট্রিক গোলটা আসে ঠিক দুই মিনিট পর। ভ্যালেন্সিয়ার ডি বক্সের ভেতরে মেসির দিকে বল বাড়িয়েছিলেন নেইমার।
বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় চোখের পলকে তা জালে জড়ান মেসি। মেসির হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। মনে হচ্ছিল, বেশ বড় জয় পেতে চলেছে বার্সা। সেটা হয়নি পসতিগার কারণে। প্রথমার্ধের খেলা শেষের বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে নাটকীয়ভাবে স্কোরলাইন ৩-২ করে ফেলেন ভ্যালেন্সিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।