ভাল লাগে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে...
আশরাফুলের একদিন
(এই গল্পের চরিত্রগুলো আংশিক কাল্পনিক)
সারাটা সকাল ঘুমিয়ে কাটালো আশরাফুল। বিদেশের মাটিতে কোন সিরিজ শেষ করে ফিরলে এই সমস্যা হয়- সময়মত ঘুম ভাঙ্গে না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ১২টা বেজে গেছে। ভাত খাবে না নাস্তা খাবে ঠিক করতে পারলো না। এই সময় খবরের কাগজটা হাতে নিল।
সাংবাদিকরা আজ কাল যা লেখে না! এখন তারা জোড় দাবী তুলছে দল থেকে বাদ দেবার জন্য, আবার দল থেকে যদি বাদ দেয় তাহলে আবার তখন আশরাফুলের পক্ষই নেবে। এদের চরিত্র ভালই জানা আছে। আর তাছাড়া দল থেকে বাদ দেয়া এত সহজ নাকি? লিপু ভাই, ফারুক ভাই, আতাহার ভাইরা আছেন না? এই ওয়েস্টইন্ডিজ সিরিজটাই ভাল গেল না মাত্র, তাতে কি? এই বছর একটা ফিফটি আর একটা থার্টি মারতে পারলেই আগামী এক বছর নিশ্চিন্তভাবে অনেকগুলো ডাক খাওয়া যাবে। আর তাছাড়া ৫০টা টেস্ট হয়ে গেল, ৫টা সেঞ্চুরী, ৭টা ফিফটি- যা তা কথা নাকি? আর তাছাড়া সামনে শ্রীলংকার সাথে একটা সিরিজ পেলে তো হয়েই গেল! (৫টার মধ্যে ৪টা সেঞ্চুরীই শ্রীলংকার বিরুদ্ধে)।
ব্রাশে পেস্ট নিয়ে আশরাফুল ভাবলো, এইবার একটা টুথপেস্টে অ্যাড করতে হবে; দাঁতে ব্যথা আর সহ্য হচ্ছে না।
টুথপেস্টের অ্যাড করলে অনেকগুলো পেস্ট ফ্রি দিবে, সাথে টাকা আর ডাক্তার তো পাবই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো একটা।
(চলবে)
*** আশরাফুলের একদিন (দ্বিতীয় পর্ব)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।