আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাংলাদেশ



ভু- প্রাকৃতিক অবস্থান সহ অনেক কারনে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকা গুলোর মধ্যে অন্যতম। যা সকলের কম বেশী জানা, এবং এর কারনে প্রতি বৎসর বাংলাদেশের মানুষকে পড়তে হয় নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের মধ্যে যেমন ঘূর্ণীঝড়- জলোচ্ছাস, বন্যা ইত্যাদি। এছাড়া ও যে কোন সময় আমরা পড়তে পারি ভয়াবহ ভুমিকম্পের কবলে। যা হতে পারে ভারত, পাকিস্তান, ইরান ও চায়নার চেয়ে ও ভয়াবহ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে সময় উপযোগী পদক্ষেপ সঠিক ও সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা ও পর্যাপ্ত পরিমান উদ্ধার সামগ্রী, প্রচুর পরিমান প্রশিক্ষিত জনবল হতে পারে ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর ও জানমাল রক্ষার উপায়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় চোখ খুলুন, এখনই সময় সবকিছু গুছিয়ে আনুন সামনে কঠিন ও বড় বিপদ। সুতরাং যা করা দরকার তা হতে পারে নিম্ন রূপ (আমার মতে)ঃ- ১)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ যেখানে ঘূর্ণীঝড় ও জলোচ্ছাস আঘাত হানে, সেগুলোতে মজবুত স্থায়ী ও সু-উচু বাঁধ নির্মান । (যা হতে পারে কুমিল্লার গৌমতী নদীর বাধের মত উচ্ছতা হতে পারে ২৫ থেকে ৩০ ফুট) ২)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ, প্রত্যেকটিতে ৪টি করে বড় মজবুত ও আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা, দুটো হবে মানুষের জন্য এবং দুটি হবে গবাদীপশুর জন্য । ৩)ঘুর্ণীঝড় ও জলোচ্ছাস আঘাত হানে এমন এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে মজবুত পাকাবাড়ী বানাতে উৎসাহিত করা, প্রয়োজনে সরকারী খরচে তা করে দেয়া। ৪)আবহাওয়া বিভাগকে সর্বাধুনিক ও উন্নতকরা।

প্রয়োজনে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ যা আবহাওয়ার জন্য জরুরী। ৫)প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর বার্তা পাওয়ার পর, দুর্যোগ এর পূর্বে কি ভাবে খাদ্য ও পানিয় সংরক্ষন বা নিরাপদে রাখাবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা । যাতে দুর্যোগ এর পর তা ব্যবহার করতে পারে। ৬)যেখানে ঘূর্ণীঝড়, জলোচ্ছাস ও বন্যা আঘাত হানে সে এলাকাতে নিরাপদ পানি সরবরাহ করার জন্য পানির ট্যাংকি তৈরী করা। ৭)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ গুলোতে হেলীপেড নির্মান করা।

যাতে দুর্যোগ কালীন সময় বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে জরুরী প্রয়োজনে আক্রান্ত এলাকায় সহজে অবতরন করতে পারে। ৮)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপের জনগনকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তথা ঘূণীঝড় ও জলচ্ছাস ও বন্যা ইত্যাদি থেকে নিজেকে রক্ষা করার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। ৯)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপের জেলেদের মাছ ধরার উন্নতমানের নৌকা ও ট্রলারের ব্যবস্থা করা। যাতে থাকবে উন্নত যোগাযোগ সামগ্রী ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম। ১০)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ গুলোতে যোগ-যোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা।

১১)উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ গুলোতে বিশেষ গুদামের ব্যবস্থা করা যাতে দুর্যোগ কালীন সময়, উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত খাদ্য ও পানিয় পাঠানো যায়। ১২)বন্যা মোকাবেলায় দেশের সবকটি নদী ও খাল পূণখনন করে বা ড্রেজিং করে নাব্যতা বাড়ানো এবং পাড় সংরক্ষন করতে হবে। শহর এলাকার নালা ও ড্রেণ গুলোকে সচল করে পানি নামার পথ সুগম করতে হবে। ১৩)উপকূলীয় জেলা গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান উদ্ধারকারী সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা ও প্রচুর পরিমান প্রশিক্ষিত উদ্ধার কর্মী তৈরী করা। (প্রয়োজনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উদ্ধর অভিযানের বা দুর্যোগ বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী দের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা)।

১৪)ভুমিকম্পের ব্যপারে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচারনা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন ও তৈরী করা যেতে পারে, প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ও প্রচারনা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ১৫)ঘূণীঝড় ও জলোচ্ছাস ভুমিকম্পের মত দুর্যোগ এর পর উদ্ধার এর জন্য যা দরকার তা হতে পারে মোটামুটি নিন্ম রুপঃ- ক) CH-47 Chinook হেলীক্‌পটার ক্রয় করা (যার দুটো পাখাই বড়) যা দিয়ে সাধারন হেলীকপ্টারের চেয়ে কয়েকগুন বেশী পন্য পরিবহন করা যায় এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সৌনিক বহন করা যায়। যার পরিমান হতে পারে ১০টি । (এখানে বলে রাখা ভাল যে, বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সময় হেলীক্‌পটার এর অভাবে ত্রাণ কার্য পরিচালনা করতে অনেক সময় ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে)। খ) প্রচুর পরিমানে ব্যাটারী চালিত করাত, বুলড্রেজার, ক্রেন, ইত্যাদি, ইত্যাদি ।

গ) প্রচুর পরিমানে ,উদ্ধারকারী নৌ-যান, , হেলমেট, অক্সিজেন মাস্ক, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাড্রোলিক ও এয়ার ড্রিলিং মেসিন । (এছাড়া ও দেশী, বিদেশী বিশেজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আরো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় করতে হবে। ) ঘ) প্রচুর পরিমানে প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী ও চিকিৎসক এর ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। তার পর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো জনগনের মধ্যে সচেতনতার জন্য প্রচার এর উপর জোর দেয়া। এ ক্ষেত্রে দেশের মিডিয়া গুলো অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.