অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
(ডিসক্লেইমার, আমি পুস্টটির কপিপেস্টার মাত্র। পড়ার সুবিধার জন্য একটু প্যারা দিয়া দিলাম। এর বক্তব্য আমার নিজস্ব বলিয়া ধরিয়া নিলে ধরা খাইবেন)
কারওয়ান বাজারের সিএ বিল্ডিংয়ের নীচতলায় থমথমে পরিবেশ। কবরের নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে গেছে উপরের প্রতিটি ফ্লোরে। দেশের এক নম্বর দৈনিক এবং সর্বাধিক পাঠকপ্রিয় পত্রিকা বলে দাবিদার দৈনিক প্রথম আলোর অফিসে শোকাবহ এই পরিস্থিতির কারণ তাদের সার্কুলেশনে বিশাল ধ্বস নেমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পত্রিকাটির সার্কুলেশন ম্যানেজার এই প্রতিবেদককে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেছেন বিশ্বমন্দার এই সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কি খাবো। চাকুরিটা তো আর থাকলো না। আজ ১০ কপি কম বিক্রি হয়েছে প্রথম আলো।
কারণ হিসেবে জানা যায় সম্প্রতি ল্যাম্পপোস্ট নামে প্রগতীশীল ছাত্র-ছাত্রীদের একটি সংগঠন ভারতীয় দুতাবাসের সম্মুখে মৌন বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কুটনৈতিক প্রটোকলের নামে পুলিশি লাঠিচার্জের শিকার হয়। বেধড়ক মারের পর তাদেরকে রিমান্ডেও নিয়ে যাওয়া হয়।
দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিবেদক অসমর্থিত এক সূত্রের বরাতে সংগঠনটিকে চরমপন্থী পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগী বলে অভিহীত করেন। যদিও খবরটি লিড নিউজ হয়নি এবং ওই প্রতিবেদকের বক্তব্য প্রথম আলোর নিজস্ব স্ট্যান্ড হতে পারে না বলে কর্তৃপক্ষ ফিসফাস করছেন।
কিন্তু এই ফিসফাসকে রেড হেরিং বলে বক্তব্য অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া কূটচক্রান্ত বলে মনে করছে দেশের প্রগতীশীল ব্লগজীবিরা। বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর জন্য ভারতীয় ব্রাক্ষন্যবাদীদের ১০ বছরের পুরানো চক্রান্তকে তাবেদার আওয়ামীলীগ সরকারের সঙ্গে গলা মিলিয়ে নতজানু মনোভাবে মেনে নেওয়া পত্রিকাটি প্রতিবাদীদের কণ্ঠস্বর দাবিয়ে রাখার নীলনক্সা বুনছেন বলে মনে করেন তারা।
প্রসঙ্গত বলা যায় যে বাংলাদেশকে মরুভূমি বানিয়ে সেইখানে কার রেলী করার ষড়যন্ত্র ভারত অনেকদিন ধরেই করছে কারণ তাদের গোবী মরুভূমি প্রতিবেশী পাকিস্তান চক্রান্ত করে মরুদ্যান বানিয়ে ফেলেছে।
আর সাহারা মরুভূমিও অনেক দূর। বাংলাদেশে একটা মরুভূমি করা গেলে টাটা বিড়ালার মতো ভারতীয় গাড়ি কোম্পানিগুলো প্রচুর রেলিকার বিক্রি করতে পারবে বলে তার এই চক্রান্তে অর্থসহযোগিতা দিচ্ছে আর তার ভাগ পাচ্ছে প্রথম আলো।
এরপর ব্লগে ব্লগে দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় একটি ঘোষণা যে প্রথম আলো নামের এই ভন্ড এবং পুজিবাদীদের মুখপাত্রটিকে আর পড়া উচিত হবে না দেশের স্বার্থ ভারতের কাছে বিকিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদকারী প্রগতিশীলদের। যেই দামে প্রথম আলো কেনা যায় সেই দামে একটি নয়া দিগন্তের সঙ্গে একটি আমাদের সময়ও কিনতে পারবেন তারা যারা ভারতীয় এই নব্য উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সদাজাগ্রত হয়ে সংবাদ পরিবেশন করছেন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ কপি পত্রিকা কম বিক্রি হয়েছে।
সংখ্যাটি আরো বাড়ত পাড়তো, কিন্তু বেসিক আলী, শব্দযোগ এবং খেলার পাতার ভক্তরা এতদিনের অভ্যাস ছাড়তে গড়িমসি করছেন বলে বাড়েনি। তবে উক্ত পাঠকরা ঠিক করেছেন তারা তাদের প্রিয় পাতাগুলি বাদে অন্য পাতাগুলো জমিয়ে মাস শেষে কেজি দরে বিক্রি করে কটকটি খাবেন।
উল্লেখ্য পত্রিকাটির এমন বিপর্যয় নতুন নয়। এর আগে আলপিন নামক একটি ফান ম্যাগাজিনে মহানবী (দ.) বিষয়ে আপত্তিকর কার্টুন আকার দায়ে হিজবুত তাহরীর নামে একটি ছাত্র সংগঠনও প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলো। তাদেরকে তখন ইসলামী জঙ্গীদের সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রমাণ করার হীন প্রয়াস নিয়েছিলো প্রথম আলো।
সেই ঘটনার পর পত্রিকাটির সার্কুলেশন আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিলো। এবারও একইরকম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রগতীশীল ব্লগজীবিরা।
শুধু তাই নয় পত্রিকাটির মুখোশ খুলে দিতে অভিজ্ঞ ও বিদগ্ধ একজন সাংবাদিক ব্লগারকে সম্পাদক করে নতুন একটি পত্রিকা খোলার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে ফিনান্সার খুজতে বেইজিংয়ে শিগগিরই একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। অসমর্থিত এক সূত্রে প্রকাশ ইরানেও একটি দল পাঠানোর ব্যাপারে প্রথম আলো বিরোধী কিছু ব্লগার প্রস্তাব করেছেন।
মতবিরোধ হলে রেডিও তেহরানের একজন পুরানো সাংবাদিককে দিয়ে আরেকটি পত্রিকা বের করার হুমকি দিয়ে রেখেছেন তারা।
তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিবাদ হিসেবে প্রথম আলো ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
সূত্র: ভোরের কাগজ ব্লগ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।