আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কপিপেস্ট, আর্সেনিকের ওষুধের নামে প্রতারণা হচ্ছে

Click This Link আজ খবরে প্রকাশ "পৃথিবীর কোথাও আর্সেনিকোসিস রোগের ওষুধ নেই, আবিষ্কৃতও হয়নি। কিন্তু রাজধানীর মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধের বাজারে আর্সেনিক দূষণের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘এটা প্রতারণা। ’ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ বাংলাদেশ’ প্রকল্পের পরিচালক মাহফুজার রহমান এক দশকের বেশি আর্সেনিক নিয়ে গবেষণা করছেন। বাংলাদেশে আর্সেনিকোসিস রোগের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে জেনে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আর্সেনিকোসিস রোগ নিরাময় করছে এমন ওষুধের নাম শুনিনি। আদর্শ চিকিৎসা হচ্ছে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করা। ’ ‘আর্সেনক্স’ নামের একটি ইনজেকশনের দুটি ভায়াল প্রথম আলো সংগ্রহ করেছে। শিরায় দেওয়া এই ওষুধ ভারতের ইন্তাজ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি। একটি ভায়ালের দাম ৭৫০ টাকা।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা ব্যবস্থাপত্রে এসব ওষুধের নাম লিখছেন। একাধিক দোকানে এসব ওষুধ বিক্রিও হচ্ছে। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, তারা এই ধরনের কোনো ওষুধ তৈরি বা বিক্রির অনুমতি দেয়নি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আর্সেনিকোসিস চিকিৎসার কোনো ওষুধ নেই। বাজারে এ ধরনের কোনো ওষুধ থাকার কথা না।

নিশ্চিয়ই কেউ প্রতারণা করছে। ’ তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ কারও কাছে পাওয়া গেলে অধিদপ্তর আইনি ব্যবস্থা নেবে। ’ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক শনাক্ত করে। ২০১০ সালে প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট বলেছিল, বাংলাদেশের সাড়ে তিন থেকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ আর্সেনিকদূষণের শিকার। সরকার ১৯৯৬ সালে ২৩ জন আর্সেনিকোসিস রোগী শনাক্ত করে।

রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ৩৮৯ রোগী চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ হাজার ৭৫৮। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় আর্সেনিকদূষণের শিকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচির উপব্যবস্থাপক এ কে এম জাফর উল্যাহ বলেন, ‘রোগীদের ভিটামিন দেওয়া হয়।

কিন্তু ওষুধ বা ইনজেকশনের ব্যবহার নেই। অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহারের অনুমতিও নেই। ’" "পৃথিবীর কোথাও আর্সেনিকোসিস রোগের ওষুধ নেই, আবিষ্কৃতও হয়নি। " আর্সেনিকোসিসের কিছু ওষুধ অনেকদিন আগে থেকেই আবিষ্কৃত হয়ে আছে। রেফারেন্সের জন্য দেখতে পারেন Goodman and Gilman's Pharmacology Books " The Pharmacological Basis of Therapeutics" chapter- Heavy Metal poisoning: arsenic. আর্সেনিকোসিস ট্রিটমেন্টের জন্য Pharmacological উপায় হলো- ১।

চিলেটিং এজেন্ট ড্রাগ হিসাবে দেয়া- এরা মুলত আরসেনিকের সাথে কো-অরডিনেট কোভ্যালেন্ট বন্ড তৈরি করে পানিতে দ্রবণীয় আরসেনিক ফরম তৈরি করে যা সহজেই প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যেতে পারে। কতগুলো চিলেটিং এজেন্ট হলো -১) dimercaprol, এটা আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালে। ২) DMSA (meso–2,3-dimercaptosuccinc acid, Succimer, Chemet)- সলুবল এনালগ অব dimercaprol -৩) DMPS (sodium 2,3 – dimercapto-1-propane sulfonic acid, Dimaval)- সলুবল এনালগ অব dimercaprol -৪) D-Penicillamine- এটা আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালে, সিন্গেল অথবা dimercaprol এর সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়। -৫) Retinoids বা Vitamin A- More than 50 years ago, Hall (1946) and colleagues described a beneficial effect of oral supplementation with Vitamin A (retinol) in the treatment of cutaneous arsenicosis. এর সাথে সাপোরটিভ এবং সিম্পটমেটিক ট্রিটমেন্ট দিতে হবে। ভারতীয় Arsenox হলো sterile injectable solution of arsenic trioxide, যা ইনটাস বায়োফারমাসিউটিক্যালস তৈরি করে।

এটা একটা আর্সেনিক যৌগ যা কিছু ক্যান্সার (acute promyelocytic leukemia ) ট্রিটমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর্সেনিক ট্রিটমেন্টের জন্য এর দুরতম সর্ম্পক নেই। এটা কিভাবে আর্সেনিক ট্রিটমেন্টের জন্য বিক্রি হ্য় তা ঔষধ প্রশাসনের অবশ্যই দেখা উচিত, আর এর আমদানীকেও প্রতিরোধ করা দরকার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.