আমার কথা সিরিয়াসলি নিয়া বাঁশ খাইলে নিজ দায়িত্বে বাঁশ খাইয়েন
এক দেশে এক ব্লগার ছিল। নাম শুঁটকি মাছ। তার মনে বেজায় দুঃখ। কারণ সবাই তার নামটা শুনলে নাক সিটকায়। সে কোনো পোস্ট দিলে মাঝে মাঝে কেউ কেউ কমেন্ট করে-শুঁটকি মাছ আনলাইক।
একবার তো এক ব্লগার বলেই বসল, “এই নাম কিভাবে দেয়?”
কেউ তো আর জানেনা,এই নামের পিছনে কত আবেগ জড়ায়ে আছে। এক কালে যে অতিরিক্ত শুকনা থাকার কারণে তার অনেক ক্লাসমেট তারে শুটকি ডাকতো,তা এই ব্লগাররা কেমনে জানবে?
যাই হোক,শুঁটকি ভাবল-সে এই্টার একটা হেস্তনেস্ত কইরা ছাড়বে। সে প্রমাণ কইরা দিবে শুটকির কত রূপ। যা ভাবা তাই কাজ। শুঁটকি হাজির হইল-শুঁটকির নানা পদ নিয়া।
১। কাঁঠালের বিচি শুঁটকি
উপকরণঃ
কাঁঠালের বিচি আধা কাপ, শুঁটকি মাছ ১ কাপ, রসুন কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদসামান্য, কাঁচামরিচ ফালি ৪-৫টি, তেল
আধা কাপ, লবণ স্বাদ অনুসারে, জিরারগুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ।
প্রণালীঃ
শুঁটকি মাছ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কাঁঠালের বিচি ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে রসুন কুচিদিয়ে একটু নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একে একে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে শুঁটকি ওবিচি দিয়ে কষাতে হবে।
খুব ভালো করে দুবার কষিয়ে তেলের ওপর উঠলে নামিয়েনিতে হবে।
২। লইট্যা শুঁটকির ভুনা (আমার বিশেষ পছন্দ। আম্মু যা রান্দে এই আইটেমডা!)
উপকরণ : লইট্যা শুটকি ২০০ গ্রাম। রসুন মোটা করে কাটা হাফ কাপ, পেঁয়াজমোটা করে কাটা হাফ কাপ, লাল শুকনো মরিচ ৪/৫ টি, কাঁচা মরিচ আস্ত ২/৩টি, হলুদ গুড়া ২ চা চামচ, মরিচের গুড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, তেজপাতা ২টি, তেল পরিমাণ মতো এবং পানিও পরিমাণ মতো।
প্রণালী : প্রথমে একটি কড়াইয়ে পানি দিয়ে তা গরম করে তাতে শুটকি মাছ দিয়েপ্রায় ৫মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এখন শুটকি মাছের পানি ফেলে দিয়ে তারপর একটিপাত্রে অল্প গরম পানিতে শুটকি মাছ ভিজিয়ে রেখে মাছের কাঁটাগুলো ছাড়িয়েনিয়ে তা পরিস্কার পানিতে আবার ধুয়ে নিতে হবে। এখন একটি কড়াইয়ে তেল গরম করেতাতে প্রথমে পেঁয়াজ, তেজপাতা, শুকনো মরিচ শুটকি মাছ ও লবণ দিয়ে ভাল ভাবেভাজা ভাজা করে তাতে একে একে হলুদ গুড়া, মরিচের গুড়া ও পরিমাণ মতো পানি দিয়েচুলায় রাখতে হবে প্রায় ১০ মিনিট। নামানোর আগে কাঁচামরিচ দিয়ে নামাতে হবে। তৈরি হয়ে গেল অতি সুস্বাদু এই বৈশাখের বিশেষ খাবার লই শুটকি ভুনা।
একটি সার্ভিং ডিশে ঢেলে তা নিজের পছন্দনুযায়ী সাজানো যেতে পারে।
৩। বালাচাও (সিদ্দিকা কবিরের রেসিপি)
ছুরিশুটকী ২৫টা মরিচ, বাটা ১/৩কাপ
টমেটো ১১/২কেজি লবণ ১টে.চা
রসুন, বাটা ১/২কাপ তেল ১কাপ
১। শুঁটকী খুব ভালভাবে ধুয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে গুড়া কর।
২।
টমেটো সিদ্ধ করে চালনিতে চেলে নাও।
৩। তেল গরম করে রসুন ও মরিচ দিয়ে কষাও।
৪। শুটকী দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না কর।
লবণ দাও।
৫। টমেটো দিয়ে ২০ মিনিট জ্বাল দাও। তেলের উপর উঠলে নামাও।
৬।
বালাচাও দিয়ে স্যান্ডউইচ করা যায়। বালাচাও কয়েক সপ্তাহ সংরক্ষণ করা যায়।
৪। লইট্যা শুটকি ভর্তাঃ
উপকরণঃ
লইট্যার শুটকি ১২টুকরা(১ইঞ্ছি করে কাটা)
পেয়াজ কুচি (মাঝারি ১টি)
রসুন ২কোয়া
নারকেল কোড়ানো ১টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ (৫/৬টি টালা/ভাজা)
ধনেপাতা ১টেবিল চামচ (কুচানো)
লবন পরিমান মত।
প্রনালীঃ
শুঁটকির টুকরা ভাল করে ধুয়ে টেলে নিন।
এরপর শুকনা মরিচ(টালা),লবন ও শুটকি এক সাথে বেটে নিন। সাথে পেয়াজ,রসুন,নারকেল,ধনেপাতাও বেটে নিন।
এরপর পাটা থেকে তুলে আরেকবার মেখে নিন।
এবার সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আপাতত এই চাইরখানা রেসিপি দিলাম।
ইনশাল্লাহ পরে আবার দিবনে। কারণ গুগলে শুঁটকি রেসিপি লিখে খোজ লাগাইলে রেসিপির অভাব হয়না। আশা আছে,ভবিষতে শুঁটকির বিরানী রান্নার রেসিপি দিব। দোয়া রাইখেন। (একটি কাট-কপি-পেস্ট প্রকাশনা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।