আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যীশুর মৃত্যু এবং আজকের বাস্তবতা

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

কোনো কাজ নেই, সুযোগ পেলে টিভি দেখি, আজও দেখছিলাম। একটা ডকুমেন্টারী চলছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে, যীশুর জীবনের উপরে। যীশুর জন্ম এবং মৃত্যুর পরে আরও ১৯৮০ বছর কেটে গেলো, এখনও ধর্মপ্রাণ খ্রীষ্টানেরা এই মানুষের তৎকালিন বাস্তবতা তালাশ করছে। আমার নিজের তেমন ধর্মপ্রাণতা নেই, সুতরাং আমি ভক্তিভরে দেখবার অবকাশ পাই নি, এবং এটা তেমন করে ধার্মিকদের উদ্দেশ্য নির্মিত কোনো ডকুমেন্টারী নয়। তথ্যটা আগে জানা ছিলো না আমার, ছোটো একটা নগর কিংবা গ্রামের বাসিন্দা যীশু জেরুজালেমে আসবার ৩ দিন পরেই মৃত্যুবরণ করে।

ক্ষমতার লড়াই খুবই তীব্র, এবং যীশুর মৃত্যুর জন্য আসলে কাউকেই দায়ী করা যায় না, পৃথিবীর বাস্তবতাই এমন। সাধারণ একজনের অসামান্য হয়ে উঠবার গল্প হয়তো খ্রীষ্টান ধর্মের সূচনা। ইশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে দেখানো অলৌকিক ঘটনাগুলোকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিলে যীশুর জীবনে কি অবশিষ্ট থাকে? দরিদ্র এবং অখ্যাত একটি গ্রামে একজন জন্মগ্রহন করে বড় হচ্ছে। এবং কালানুক্রমে সে হয়ে উঠছে সেখানকার নেতা। ইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া এই মানুষটার ভক্ত-ভক্তার সংখ্যা কম নয়।

অলৌকিকত্ব দেখবার প্রত্যাশায় কিংবা অন্য যেকোনো মোহে আপ্লুত ভক্তরা তার সঙ্গ দিচ্ছে, এটা বাইবেলের বয়ান, হয়তো সত্য এমন নয়, তবে তার সাথে আলোচনা করতে কিংবা কথা বলতে কিংবা তাকে অনুসরণ করবার মতো মানুষের কমতি হয়তো তখন ছিলো না। ঢাকা শহরের ধানমন্ডিতে এক মানুষকে দেখলাম, বয়স্ক একজন, তার পেছনে অন্তত ৫০ জন হাঁটছে, কোনো কারণ নেই, এরপরও এই অদ্ভুত কাফেলা দেখে জানলাম, এই মানুষটা অনেক দিন ধরেই এভাবে দলবল নিয়ে হাঁটাহাঁটি করছে এখানে। ফরেস্ট গাম্প ছবির সবচেয়ে হাস্যকর দৃশ্যের একটা ছিলো, গাম্প ছুটছে, হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই, তার পেছনে ছুটছে অনেক মানুষ, হঠাৎ করেই সে দৌড় থামিয়ে দিলো, তাকে অনুসরণ করে আসা মানুষগুলো হয়তো কোনো কিছুর প্রত্যাশা করছিলো, তবে তাদের সেই আশাবাদ পূর্ণ না করেই ফাম্প নিজের মতো চলে গেলো। এই বাবার গল্পও তেমন হতে পারে, কিছুটা মানসিক বিকার হয়তো আছে তার, কিন্তু যেহেতু সে কোনো কাজ না করেই হুদাই হাঁটাহাঁটি করছে, এই হাঁটাহাঁটির ভেতরে অলৌকিকত্ব খুঁজে পাওয়ার মানুষের অভাব হবে না। এবং তারা অলৌকিক কিছু দেখবার প্রত্যাশায় তার আশেপাশে ঘুরতে থাকবে।

মানুষের ভেতরে একটা আদিম মুর্তিপূজারীর বসবাস, সে পূজা করতে চায়, পূজ্যস্পদ খুঁজে পেতে চায়, এবং এই বাসনা কিংবা খোঁজ সে নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছে, আস্তিকতা নাস্তিকতার খোলসে সে খুঁজছে আসলে একজন পূজ্যপদ, যাকে পূজা করতে পারবে, যার উপরে দিনযাপনের গ্লানি ফেলে সে নির্ভার নিশ্চিত জীবন যাপন করতে পারবে। পীরবাদ কিংবা এইসব মাজারসংস্কৃতির জন্মও এইসব সহজে পূণ্য খোঁজা মানুষের নিজস্ব চাহিদার প্রেক্ষিতে। যীশুর চারপাশে এমন লোকজন খুঁজে পাওয়ার সম্ভবনা এড়িয়ে যাওয়া যায় না, যারা তার গুনমুগ্ধ ভক্ত, এদের একজন মেরী- ম্যাগডোলান, একজন বিধবা, তবে যীশুর প্রণয়ী হতে তাতে বাধা নেই, সেই যীশু এবং তার ভক্তদের মাঝেমাঝে খাওয়ার দেয়, যীশুর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া এই মেরীকে তার প্রেয়সী কিংবা ভক্তা না বলে অন্য কোনো উপাধিতে ভুষিত করা যায় না। ভবঘুরে নিরন্ন একদল মানুষ, যাদের নিয়মিত আহারের সংস্থান নেই, এবং ভক্তিবাদী মানুষদের এসব নিয়ে বিকার থাকে না , তারা নিজস্ব নিয়মেই ভক্তিপ্রদর্শন করে, এমনও হতে পারে যীশুর কল্যানে পাওয়া সকল উপঢৌকনকেও তারা অলৌকিকত্বের পাল্লায় মেপেছে। সেখানে ২ বছর যীশু সমাজের বৈষম্য এবং এর প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

তার এই আলোচনার বিষয়বস্তু কি ছিলো, সেটা বাইবেলে উৎকীর্ণ আছে। সুতরাং আমরা সেখান থেকে চলে যাই শেষ দৃশ্যের দিকে। ৩০ খ্রীষ্টাব্দ- যীশু জেরুজালেমে তীর্থ যাত্রা করেছেন, সাথে তার ভক্তেরা। যেরুজালেম তখন সকল বিশ্বাসীর তীর্থ, কা'বা হওয়ার আগে সে দিকেই ছিলো বিশ্বাসীদের কেবলা। সেখানে শাসন করে রোমান সম্রাটেরা।

উপাসনালয়ের আয়ের বখরা যায় পুরোহিতদের কাছে। এই পুরোহিতগুলো সবাই ধনী এবং সবাই ইহুদি। তাদের বড় একটা সংগঠন আছে। এবং এই সংগঠনই মানুষের উপাসনার ধরণ নিয়ন্ত্রন করে। উপাসনালয়গুলো দাতব্য কোনো প্রতিষ্ঠান ছিলো না, সেসরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছিলো, সেখানে বিভিন্ন স্থানের তীর্থযাত্রীরা এসে বিশ্রাম নিতো এবং তাদের নির্দিষ্ট বখরা দিতে হতো উপাসনালয়গুলোকে।

জেরুজালেমের অর্থনীতি এবং থাইল্যান্ডের অর্থনীতির সে আর্থে তেমন তফাত নেই, তেল ফুরিয়ে গেলে সৈদি আরবের অর্থনীতিও এমনই রূপ ধারণ করবে। যীশু তার দলবল নিয়ে প্রথমেই এই অর্থনৈতিক চক্রে আঘাত করলো। তারা উপাসনালয়ের এই অর্থনৈতিক চক্রকে অস্বীকার করলো। এটার প্রতিক্রিয়া দুটি, ধনী পুরোহিতগণ যাদের নির্বিঘ্ন উপার্জনের রাস্তা এই উপাসনালয়ভিত্তিক তাদের দাঁত, মুখ, নখ বের হয়ে আসবে এমনটাই স্বাভাবিক। তারা নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় এবং যেকেউ এই নিয়ন্ত্রনকে অস্বীকার করলে কিংবা তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে তারা সর্বশক্তি দিয়েই এই বিদ্রোহ দমনের উদ্যোগ নিবে।

আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাও এমনই কট্টরপন্থী হয়ে উঠে, রাষ্ট্রের নিজস্ব অর্থনৈতিক চক্রে যা কিছু বিঘ্ন আনতে পারে, সবকিছুকেই সমূলে উচ্ছেদ করে দেয় রাষ্ট্র। একই সাথে এই পুরোহিতগণের যেহেতু লোকবল সীমিত তাই তাকে রোমান সম্রাটকে কর দিয়ে নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হয়, এবং এই তীর্থ ভ্রমনার্থীদের নিয়ে সাজানো এই কারদ অঞ্চলে যেকোনো নতুন নেতার উত্থান রোমান বাহিনী দমন করে কঠোর হস্তে। জেরুজালেমের শাসক দক্ষ এবং কঠোর, দলিত-নিষ্পেষিত এবং দরিদ্র ইহুদীদের ধারণা নতুন কোনো এক নবীর জন্ম হবে যে তাদের এই দুর্ভাগ্যের জীবন থেকে উদ্ধার করবে মুসার মতো। মুসার মতো কোনো একজন এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাবে- এই আশাবাদের বীজ বপন করেছে পুরোহিতগণ। এটাই তাদের ব্যবসা, সামান্য আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে না রাখলে দরিদ্র মানুষেরা কোনো সময়ই ধর্মের ভিত্তিতে শোষিত হতো না।

যীশু ঠিক এই ঝামেলায় প্রবেশ করলো নিজেকে ইহুদিদের প্রতিশ্রুত নবী ঘোষণা দিয়ে, নিজেকে ইহুদীদের কল্পকথার রাজা ঘোষণা দেওয়ার পরে ক্ষমতাবানদের সাথে তার দ্বন্দ্বের সূচনা হলো। রাজার সৈনিকেরা আসলো তাকে গ্রেফতার করতে, কিন্তু ভক্তিবাদ আশ্ছর্য বিষ কিংবা অমৃত, সুতরাং এই শোষণে ক্ষিপ্ত মানুষেদের দেখে সৈনিকেরা যীশুকে আটক না করেই ফেরত যায়, এবং যীশু তীর্থ যাত্রার অবশিষ্ট দুই দিন শান্তিতেই তার বানী প্রচার করেন। ঘটনার শেষাংশ সবারই জানা, যীশুকে এরপর জেরুজালেম শহরের বাইরে থেকে আটক করা হয়, তার প্রিয় শিষ্য জুডাস বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে তুলে দেয় রাজার সৈনিকের হাতে, জুডাসকে বিশ্বাসঘাতক বলা যায় হয়তো, সম্পূর্ণ ঘটনায় এই একজনেরই কিছু করবার ছিলো, তবে অর্থ এবং স্বচ্ছলতার লোভও মানুষের ভেতরে আছে। যীশুকে তড়িঘরি বিচার করে ক্রুশে ঝুলানো হয়, যীশুর শাস্তিটা বিবেচনায় ছিলো দৃষ্টান্তমূলক। রাজা এবং পুরোহিত তন্ত্রের অবাধ্যতার শাস্তি কতটা কঠোর হতে পারে এটা ছিলো তার একটা নিদর্শন, এবং এটাকে যথেষ্ট নিষ্ঠুর করবার কোনো তরিকাই তারা বাদ রাখে নি।

জেরুজালেম শহরের রাস্তা দিয়ে যীশুকে নিজের ক্রুশ নিজেকে বহন করে আনতে হয়েছে। এবং ক্রমাগত চাকবে ছাল ছিলে নেওয়া হয়েছে তার। তার সকল শিষ্যই এটা অবলোকন করেছে, তবে কেউ কোনো বিদ্রোহ কিংবা বিপ্লব করবার সাহস পায় নি। তার গোড়ালীতে কীলক গেঁথে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয় শেষ বিকেলে, হাতের কব্জিতে কীলক। গোড়ালীর উপরে সম্পূর্ণ শরীরের ভর, এই ভরে প্রতিটা স্নায়ুতে ছড়িয়ে পড়বে অসহনীয় ব্যথা, এবং এরই প্রতিক্রিয়ায় শরীরকে উপর দিকে টেনে নেওয়ার একটা তাড়ণা বোধ করবে মানুষ, কিন্তু সে উপায়ও নেই, কব্জিতে গাঁথা কীলক এই সামান্য সস্তিটুকুও দিবে না তাকে।

রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধতার শাস্তি হতে পারে এমনই দৃষ্টান্তমূলক। প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচারণের প্রতিক্রিয়া ক্ষমতাসীনেরা এভাবেই দেখায়। চীনে কিংবা বার্মায় কিংবা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে, সবখানেই চিত্রটা একই। ব্যপক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এমন একটা উপায় উদ্ভাবন করেছে রাষ্ট্র যেখানে কষ্টের পরিমাণ সর্বোচ্চ এবং আমি বলেছিলাম আমি ইহুদীদের রাজা, এবং এই অপরাধের জন্যই এই শাস্তি পেতে হচ্ছে আমাকে এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বিদ্রোহী সকলকে ভীত করে ফেলবার একটা আয়োজন ছিলো সেখানে। সম্পূর্ণ বিষয়টি আদতে পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিত নিষ্ঠুরতার উপস্থাপন, যা দেখে সকল বিদ্রোহী কিংবা বিপ্লবী আতঙ্কে বিপ্লবের ভাবনা ভুলে যায়।

বিষয়টা অন্য দিক দিয়ে দেখলে একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একজন সামান্য মানুষ কতটা তুচ্ছ এবং অসহায় শুধুমাত্র এই নাট্যাংশের রূপায়ন ছিলো সম্পূর্ণ শাস্তিটাই। ব্যাথার তীব্রতা যেমনই হোক মানুষ অজ্ঞান হতে পারে না, আত্মবিস্মৃত হতে পারে না। তীক্ষ্ণ ব্যথার অঙ্কুশ বিঁধছে সম্পূর্ন শরীরে, শরীর বেঁকে চুড়ে বীভৎস চিৎকার বের হচ্ছে কিংবা গোঙানী, চিৎকার করতে করতে একসময় অবসন্ন মানুষটি রাষ্ট্র এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাত্র ৬ ঘন্টায় মরে যান। দরিদ্র মানুষের ক্ষোভ তীব্র, তাদের হারানোর কিছু নেই, সুতরাং তারা যেকোনো নেতার উত্থানে মরিয়া হয়েই প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধতা করবে, তবে তাদের আতঙ্কিত করে দেওয়া সম্ভব। তারা হয়তো এটাকে ভুলে যাবে না, কিন্তু একতাবদ্ধ হওয়ার মতো নেতার অভাবে বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠবে না।

শুধু এটুকু নিশ্চিত করতে পারলেই চলে ,সুতরাং প্রকাশ্যে বিকেলে ঘোষণা দিয়ে এমন শাস্তির আড়ম্বর দেখানো সম্ভব হয়েছিলো রোমান শাসকের পক্ষে। তার কাজ ছিলো যতদ্রুত এবং যতটা সফল ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রনে আনা যায় সেটার ব্যবস্থা করা। এবং এই ব্যবস্থা খুবই ফলপ্রসু হয়েছিলো, পুরোহিতগণের ভুমিকাও যেমন হওয়ার তেমনই হয়েছে। একজন যীশু ক্রুশে ঝুলে মৃত্যু বরণ করলেও তাদের ধর্মের শুদ্ধতা অক্ষুন্ন থাকে। কাউকে না কাউকে বলি হতে হতো, কাউকে না কাউকে নিজের প্রচলিত স্বভাবের বাইরে যেতে হতো।

যীশুর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে নি। আমাদের নিজস্ব জীবনে এর বাইরে কোনো গল্প আছে আদৌ? আমরাও একই রকম শৃঙ্খলিত, নিজস্ব ধান্দা এবং জীবিকার ফিকিরে নিজস্ব উপলব্ধি এবং মানবিকতার বোধগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে রাখি, প্রতিদিনের আত্মগ্লানিতে নিজের উপলব্ধি দাফন করি। প্রতিটা মুহূর্তে বিল্পব আর বিদ্রোহের কথা ভাবলেও অভ্যস্ত জীবনের তাগিদে কিংবা অন্য সব পরিচিত জনকে বিপদে না ফেলবার বাসনায় এইসব বিদ্রোহ আমাদের দিবাস্বপ্ন কিংবা কাজের অবসরের বিনোদন হয়েই টিকে থাকে । এবং আমরাও প্রতিদিন একজন নেতা খুঁজি, কাউকে খুঁজতে থাকে, যাকে পুজা করবো, ভজনা করবো। যীশুর মৃত্যু ব্যর্থ হয় নি মোটেও।

রোমান সম্রাজ্য বিকৃত ভাবে হলেও যীশুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে। তবে পুরোহিত তন্ত্রের উত্থান আটকাতে পারে নি, বরং যীশুর ধারণার বিপরীতে গিয়ে পৌরিহত্ব্য আরও বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিটা সফল বিপ্লবই এক ধরণের প্রতিবিপ্লবী মানসিকতার জন্ম দেয়। বিপ্লবের লক্ষ্য আদতে পরিবর্তন সাধণ কিন্তু পরিবর্তন চলমান, স্থির কোনো বিষয় নয় । যীশু হয়তো এমনটা চায় নি, কিন্তু তার প্রতিবাদ এবং তার রক্তক্ষয় বৃথা যায় নি।

আমাদের যীশুদের রক্তক্ষয়ও হয়তো বৃথা যাবে না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.