কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
বাংলাদেশে এমন কোন খাল নাই যা দূষিত হচ্ছে না। তার সাথে আছে অবৈধ দখল ।
চা বাগান অধ্যূষিত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় সবকটি খাল দূষনের কবলে।
একদিকে প্রকৃতিক নৈস্বর্গ। অপরদিকে চা প্রক্রিয়াকরন কারখানা গুলোর বিষাক্ত বর্জ্য পাহাড়ী খাল গুলো হয়ে মৎস্য অভয়ারন্য হাইল হাওয়ের জলাশয় গুলোতে প্রবেশ করে মাছের স্বাভাবিক বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্থ করছে।
বিষাক্ত বর্জ্য পরিবেশ অধিদপ্তরে নজরে আসে না। কারন কিছুকাল পুর্বেও এই চা বাগান মালিকদের মধ্যে ভীতি কাজ করতো। এই বর্জ্য সন্ধার পরে অথবা গভীর রাত্রে খালে ছেড়ে দিতো।
এখন তারা এতই ক্ষমাতাশালী যে কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে দিনে বেলায় এই বর্জ্য খালে ছেড়ে দেয়।
নিয়ম হলো বড় কোন গর্তে এই সব বর্জ্যকে পরিশোধন এর ব্যাবস্থা করা।
সরাসরী খালে ছাড়া কোন কোম্পানী আইনে নাই।
চা বাগান মালিকরা যে মুনাফা করছে তা কল্পনাতীত। কিন্তু পরিবেশ বিষয়ে তারা সচেতন হতে চায় না। মুনাফাই তাদের একমাত্র লক্ষ।
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আজ অবধী কোন মামলা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
প্রায় সব শিল্পপতিরা ভূলতে বসেছে যে পরিবেশ বিষয়ক একটি অধিদপ্তর বাংলাদেশে বিদ্যমান। এবং তাদের কাছ থেকে এখন মানূষ শুধু ছাড়পত্র নিতে যায়। কিন্তু প্রতিবছর পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাই বাছাই এর কোন কাজ করতে দেখা যায় না।
সব মালিক পক্ষের কাছে আছে একটা ছাড় পত্র কিন্তু তার মনিটরিং এর কোন ব্যাবস্থা নাই। এই অনুমোদন নিয়ে সেই শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিবেশের যে কত ক্ষতি করছে তার কোন হিসাব নাই।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মনিটরিং জোরদার করা এবং এই বিষয়ে মামলা করা খুবই জরুরী।
সাথে ছবিটি জাকছড়া চা বাগান থেকে দিনের বেলায় নির্গত কারখানার বর্জ্য। ছবিটি শ্রীমঙ্গল কাকিয়াবাজার সংলগ্ন জাকছড়া খালের। যেখানে টলটলে সচ্ছ পানি থাকার কথা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।