প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
দেশে প্রথমবারের মত "দিনের আলো সঞ্চয়" চালু হয়েছে, সেটা প্রবাসে বসেও বাংলা টিভি ও ইন্টারনেটের বদৌলতে জানতে বাকি ছিল না। ২২জুন রবিবার দেশে ফোন করি সবার সাথে কুশলাদি জানতে। প্রথমে ফোন করি বাড়ীতে বড় ভাবীর কাছে। জানতে চাইলাম সময় একঘন্টা এগিয়ে নেয়া হয়েছে, কি অবস্থা আপনাদের? উনার কথায় তেমন কোন পরিবর্তন খুঁজে পেলাম না। উনি যা বললেন তা হল, "ঘড়ির কাটা একঘন্টা সামনে এসেছে সন্ধ্যা হচ্ছে অনেক দেরিতে, সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে।
বাচ্চারা সন্ধ্যা ৮টার আগে পড়ার টেবিলে বসছে না। এদিকে স্কুলের পড়া শেষ না হতেই ঘুমানোর সময় হয়ে যাচ্ছে। " কথাগুলি শুনে আমার কিছু বলার ছিলোনা ফোনটা রেখে দিলাম।
দ্বিতীয় ফোনটা করি আমার চট্রগ্রামে আমার কাজিনকে। হ্যালো বলার সাথে সাথে ওপার থেকে জোরালো কন্ঠে ভেসে আসে " প্রধানমন্ত্রী দেশের বারটা বাজালেন"।
কথাটা শুনে 'থ' বনে গেলাম। দেশের বারটা বাজলে তোমরাদেরও বারটা বাজার কথা। তোমরা দেখি সবাই ঠিক ঠাক মত আছো। ভালো আর থাকলাম কৈ? প্রধানমন্ত্রী রাত ১১টায় ঘড়ির কাটা ১২টা করে একঘন্টা কেড়ে নিয়েছে আমাদের থেকে। সন্ধ্যা ৮টাও দিনের আলো ঝকমক করে।
অহহহহ সে কথা! সেটা তো বিশ্বের অনেক দেশেই চালু আছে। গ্রীষ্মকালে দিনের আলো একঘন্টা এগিয়ে , আবার শীতকালে একঘন্টা পিছনে নিয়ে যায়। টেলিফোনে ওপার থেকে আবার ভেসে আসে " উন্নত দেশসমুহ যা করে আমাদের কি তাই করতে হবে? আমরা তো গরীব দেশ, কৃষি প্রধান দেশে কতটুকু প্রভাব ফেলবে এ নিয়ে সবারই মনে প্রশ্ন জাগছে।
দিনের আলো সঞ্চয়( গ্রীষ্মকালীন সময়)
দেশে প্রথমবারের মতো দিনের আলো সঞ্চয়( DST) প্রমাণ সময়ের পরিবর্তন করে রাত ১১ তে মধ্যরাত্রি করায় অনেকের ঘুমের সমস্যার কথা উঠেছে। বিশেষ করে চাকুরীজীবি ও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।
দিনের আলো সঞ্চয় অথবা গ্রীষ্মকালীন সময় একটি সিষ্টেমে বসন্তকালে এবং কাজের ঘন্টা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিনের আলোর ঘন্টা মিলিয়ে একঘন্টা এগিয়ে নিয়ে এসে সময় সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে কয়েকটা দিন সমস্যা হলেও এক ঘন্টা উৎপাদন বাড়ে। বৈদ্যুতিক সাশ্রয় হয়। সেটা বাদ দেয়া যায় না। DST(Daylight Savings Time)- এর পারিভাষিক আর্থ গ্রীষ্মকাল সময়।
গ্রীষ্মকালে যেহেত দিন বড় ঘড়িকে এক ঘন্টা এগিয়ে নিয়ে এসে অপরাহ্নে যাতে আরো বেশি দিনের আলো পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা। গ্রীষ্মকালের এগিয়ে দেয়া একঘন্টাকে সমন্বয় সাধন করা হয় হেমন্তকালে একঘন্টা ঘড়িকে পিছিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। নিউজিল্যান্ডর Entomologist Vernon Hudson প্রথম DST এর প্রস্তাব করেন। অনেক দেশ এটি ব্যবহার করে আসছে এরপরও কখনো কখনো নিজেদের সুবিধামত পরিবর্তন করে আসছে। অপরাহ্নের সুবিধা, খেলাতে দিনের আলো যোগ করা।
অন্যান্য কাজে ১ ঘন্টা বেশি সময় হাতে রাখা। আধুনিক যুগে যদিও আমরা সময় জ্ঞানে অনেক সচেতন। প্রাচীন সভ্যতায়ও গ্রীষ্মকালে দিনের আলোর সময় সমন্বয়সাধন করে আসছিল সেক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালে দিনের ঘন্টা দীর্ঘতর ছিল। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, রোমান জল ঘড়ির বছরের প্রতিটি মাসের জন্য আলাদা স্কেল ছিল। সুর্যোদয় থেকে রোমের অক্ষাংশ তৃতীয় ঘন্টাতে আধুনিক মানদণ্ডসমূহের মধ্যে শুরু হয়েছিল।
সৌর সময় এবং শীতকাল অরনে ৪৪ মিনিট। গ্রীষ্মকালে অয়নে শুরু হত ৫৮ এবং ৭৫ মিনিটে প্রাচীন সময়ের পর অসামরিক ঘড়ি ব্যবহার হয়। ১৮৯৫ সালে Hudson আধুনিক DST উদ্ভাবন করেন। ১৮৯৫ সালে ওয়েলিংটন দার্শনিক প্রথম দুই দিনের আলোর স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিল পরবর্তীতে সেটা বাতিল হয়ে ১৮৯৮ সালে একঘন্টা DST অনুসরণ করে। ১৯০৫ DST এর স্বাধীন স্বীকৃতি পায়।
১৯১৫ সালে যুক্তরাজ্যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯১৬ সালের দিকে ইউরোপীয়নরাও অনুসরণ করে। রাশিয়া এবং অল্প সময়ের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট ১৯১৮ তে এটি অনুসরণ করেছিল। এর পর থেকে বিশ্বে অনেক দেশে তা অনুসরণ করে আসছে।
DST বাস্তবক্ষেত্রে কিরুপ প্রভাব ফেলে এর দিকে একটু নজর দিলে প্রথমে আসে দেশের অর্থনীতির কথা। একটা দেশের ভিত দাঁড়িয়ে থাকে দেশের অর্থনীতির উপর।
অর্থনৈতিক প্রভাবঃ বহির্মুখী খেলাধুলা, দোকান এবং অন্যান্য অতিরিক্ত অপরাহ্ন দিবালোক থেকে সুবিধা হিসাবে DST কার্যকারিতা নিয়ে ১৯৮৫ সালে Fortune ম্যাগাজিনে রিপোর্টে দেখান হয়েছে যে DSTএর সাত সপ্তাহের বর্ধিতাংশ ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার জমেছিল। গল্ফ ফাউডেশন বর্ধিতাংশ গল্ফ শিক্ষা রাজস্ব ২০০ মিলিয়ন থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে DSTএ প্রায় ৩% অতিরিক্ত বর্ধিতাংশ দেখানো হয়েছিল। আবার কোন সেক্টরে এর বিপক্ষে যুক্তি দেখানো হযেছে। বিশেষ করে কৃষি খাতে তেমন প্রভাব পড়ে না বলে জরিপে প্রকাশ পেয়েছে।
কারণ গ্রীষ্মকালে কৃষকরা যে পরিমান সূর্যের আলো পায়। হেমন্তকালে ঘড়ির কাটা আবার পিছিয়ে দেয়ার ফলে একঘন্টা আবার উৎপাদন পিছিয়ে যায়। ঘড়ির সময় পরিবর্তনের ফলে DST এর নিয়মের প্রত্যন্ত মিটিং, কাম্পিউটার (গনকযন্ত্র) অ্যাপলিকেশন এবং অনুরূপ সমর্থন করবে একটি সরাসরি অর্থনৈতিক খরচে অতিরিক্ত খাত বরাদ্দ করতে হয়। ২০০৭ সালে এক জরিপে দেখান হয়েছে যে উত্তর আমেরিকার রুল পরিবর্তনের খরচ আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জনগনের নিরাপত্তাঃ দিনের আলো সঞ্চয়ের ফলে ১৯৭৫ সালে আমেরিকার জনগনের নিরাপত্তার এর সমীক্ষায় দেখানো হয়েছিলো যে, DST এর সময় যানচলাচল ৭% হ্রাস সনাক্ত হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৭৬ সালে এন বি এস পর্যালোচনা করে প্রকৃত কোন পার্থক্য খুঁজে পায়নি। মহাসড়ক নিরাপত্তার জন্য ১৯৯৫ সালে ইন্সুরেন্স সংস্থাতে ২% এর হ্রাসকরণ হিসাব খুঁজে পেয়েছিল। গ্রীষ্মকালে একঘন্টা এগিয়ে এবং শীতকালে একঘন্টা পিছিয়ে নেয়ার ফলে যুক্তরাজ্যে ৩% থেকে ৪% যানচলাচলে দুর্ঘটনার রেকড় পাওয়া গেছে। ঘড়ির স্থানান্তরে দুর্ঘটনার কবলে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনে কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। দুই ঋতুতে ঘড়ির পরিবর্তন আইনকানুন ও প্রশাসনের ক্ষেত্রে।
১৯৭০ সালে ১০% থেকে ১৩% হ্রাস খুঁজে পেয়েছিল।
স্বাস্থ্যঃ DST এর সময়ে স্বাস্থ্যে মিশ্রিত প্রভাব বিরাজ করে। শরীর চর্যা, বহির্মুখী কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একঘন্টা বেশি পাওয়া যায়। ত্বকে সূর্যালোকে ফলে ভিটামিন D সংশ্লেষন হয় কিন্তু অতিরিক্ত সূর্যালোর ফলে ত্বকে ক্যান্সার (Cancer) হতে পারে বলে চিকিৎসাবিদরা জরিপে বলেছেন। ঘড়ির স্থানান্তর হিসাবে একটি অধ্যয়নে ২০০৮ সালে সুয়েডীয় খুঁজে পেয়েছিল যে, প্রথম দিন সপ্তাহ গ্রীষ্মকালে ও শরৎকালে ঘুমের কারনে স্বাস্থ্যের অবনতি লক্ষ্য করা গেছে।
ঘড়ি স্থানান্তরের দরুন স্বাস্থ্যহানি চিহ্নিত করে ২০০৫ সালে কাজাখাস্তানের সরকার DST বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
নীচের ছবিতে(হলুদ ও সবুজ : DST চালু দেশগুলো)
কালো: DST ব্যবহার করে না দেশগুলো)
[দিনের আলো সঞ্চয় (গ্রীষ্মকাল সময়) উত্তর গোলার্ধ (২০০৯/২০১০)
DST শুরু ২০০৯ DST শেষ ২০০৯ DST শুরু ২০১০
ইউরোপ
ইউপিয়ান ইউনিয়ন ও অন্যান ইউরোপ
( আইসল্যান্ড ব্যাতিত) ৯- মার্চ-, ২৫-অক্টোবর, ২৮-মার্চ,
রাশিয়া ২৯ -মার্চ , ২৫-অক্টোবর , ২৮-মার্চ,
উত্তর আমেরিকা
ইউ. এস.
(হাওয়াই, আরিজোনা ব্যতিত ০৮-মার্চ- , ০১-নভেম্বর, ১৪- মার্চ,
কানাডা ০৮-মার্চ, ০১-নভেম্বর, ১৪- মার্চ,
মেক্সিকো
(সোনোরা ব্যাতিত) ০৫ এপ্রিল- ২৫-অক্টোবর ০৪ এপ্রিল
সন্ত পিয়েরে এবং মিকুয়েলন-০৮-মার্চ, ০১-নভেম্বর, ১৪- মার্চ,
গ্রীনল্যান্ড (ডেনমার্ক) ২৮-মার্চ, ২৪-অক্টোবর ২৭ মার্চ,
সেন্ট্রাল আমেরিকা/ ক্যারাবিয়ান
কউবা( হাভানা) ০৮-মার্চ ২৫-অক্টোবর -
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ (নাসাউ) ০৮-মার্চ, ০১-নভেম্বর, ১৪মার্চ,
বার্মুডা (হ্যামিলটন) ০৮-মার্চ, ০১-নভেম্বর, ১৪- মার্চ,
তুর্ক এবং কাইকস দ্বীপপুঞ্জ ০৮-মার্চ, ০১-নভেম্বর, ১৪- মার্চ,
এশিয়া
আর্মেনিয়া (ইয়েরেভান) ২৯- মার্চ, ২৫-অক্টোবর ২৮-মার্চ
আজারবাইজান (Baku)
২৯-মার্চ ২৫-অক্টোবর ২৮-মার্চ
বাংলাদেশ (ঢাকা) ২০-জুন, - -
গাজা, প্রাশ্চাত্ত্য দেশ ব্যাঙ্ক (বেথেলহাম, প্রাশ্চাত্ত্য দেশ ব্যাঙ্ক)
২৭-মার্চ, ২৭-সেপটেম্বর -
ইরান (তেহরান) ২২-মার্চ ২২-সেপটেম্বর -
ইজরায়েল
(তেল আবিব, জেরুজালিম) ২৭-মার্চ ২৭-সেপটেম্বর -
জর্ডান (আম্মান) ২৭-মার্চ ৩০-অক্টোবর-
লেবানন (বৈরুত) ২৯-মার্চ ২৪-অক্টোবর ২৮-মার্চ
পাকিস্তান (ইসলামাবাদ) ১৫-এপ্রিল ০১-নভেম্বর, -
সিরিয়া (দামাস্কাস) ২৭-মার্চ ৩১-অক্টোবর -
আফ্রিকা
মিশর (কায়রো) ২৪-এপ্রিল ২৪-সেপটেম্বর -
- মরক্কো (রাবাত) ০১-জুন ২১-aug, -
তিউনিসিয়া (তিউনি বাতিল করেছিল-
দিনের আলো সঞ্চয় সময় (গ্রীষ্মকাল সময়) দক্ষিণ গোলার্ধ (২০০৯/২০১০)
DST শেষ ২০০৯DST শুরু ২০ DST শেষ ২০১০
অস্ট্রেলিয়া
অষ্ট্রেলীয় রাজধানী ভূখন্ড
নিউ সাউথ ওয়েলস (সিডনি)
ভিক্টরিয়া (মেলবর্ন) ০৫-এপ্রিল ০৪-অক্টোবর
অস্ট্রেলিয়া- দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া- পাশ্চাত্য অস্ট্রেলিয়া (পার্থ)
২৯-মা র্চ - -
অস্ট্রেলিয়া- লর্ড দ্বীপ ০৫-এপ্রিল ০৪-অক্টোবর -
নিউজিল্যাণ্ড (ওয়েলিংটন, অকল্যান্ড)
০৫-এপ্রিল ২৭-সেপটেম্বর -
নতুন নিউজিল্যাণ্ড -
ক্যাথাম দ্বীপ ০৫-এপ্রিল , ২৭-সেপটেম্বর -
দক্ষিণ আমেরিকা
চিলি (স্যান্টিয়াগো) ১৫-মার্চ ১১-অক্টোবর -
চিলি- ইষ্টার দ্বীপ ১৪-মার্চ ১০-অক্টোবর -
- আর্জেন্টিনা (আর্জেন্টিনা বুয়েন্স আয়ার্স, , কর্ডোভা, ,
সান্তা ফে, স্যান্টিয়াগো ১৫-মার্চ ১৮-অক্টোবর -
ব্রাজিল
(ব্রাজিল রাষ্ট্রপুঞ্জ সান্তা , সাও পাওলো, রিও ডে জেনিরো, )
১৫-ফরব্রুয়ারী, ১৮-অক্টোবর -
ফকল্যাণ্ড দ্বীপপুঞ্জ (মালভিনিয়) (স্ট্যানলি)
১৯-এপ্রিল, ০৬-সেপটেম্বর,
প্যারাগুয়ে ০৮-মার্চ, ১৮-অক্টোবর -
- উরুগুয়ে (মন্টেভিডিও) ০৮-মার্চ ০৪-অক্টোবর-
আফ্রিকা
মরিশাস ((পোর্ট লুইস) ২৯-মার্চ DST কার্যকরি না -
নামিবিয়া ০৫-এপ্রিল , ০৬-সেপটেম্বর
অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ মেরু ০৫-এপ্রিল ২৭-সেপটেম্বর
অ্যান্টার্কটিকা- ম্যাকমেরদু স্টেশন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
০৫-এপ্রিল ২৭-সেপটেম্বর -
অ্যান্টার্কটিকা -
স্কট স্টেশন (এন.জে) ০৫-এপ্রিল ২৭-সেপটেম্বর
অ্যান্টার্কটিকা -
পাল্মার স্টেশন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ১৫-মার্চ ১১-অক্টোবর
অ্যান্টার্কটিকা - O'Higgins স্টেশন (চিলি)
১৫-মার্চ ১১-অক্টোবর
## যখন এডিট করি টাইম ভালো দেখায়, পোষ্ট করার পর কেমন জানি হয়ে যায় ## এই লিংকে ক্লিক করে ইংরেজি Daylight Saving Time দেখে নিতে পারেন। http://www.worldtimezone.com/daylight.html পড়ার সুবিধার জন্য বাংলা করে দিতে চেয়েছি....
টার্মিনোলজিঃ ১৯১১ সালে গ্রীষ্মকাল সময়ের মধ্যে ব্রিটেনে খসড়া আইনে দিনের আলো সঞ্চয় প্রতিস্থাপন করেছিল। পরবর্তীতে ইউরোপ, ফ্রান্স ও জার্মানিতে অনুরূপ ব্যবহার করেছিল। আমেরিকায় দিনের আলোর সঙ্গে প্রমাণ সময় প্রতিস্থাপন করে শব্দ সংক্ষেপ উদাহরনের জন্য প্যাসিফিক প্রমাণ সময় (PST) প্যাসিফিক দিনের আলোর সময় ((PDT)।
ব্রিটিশ কেন্দ্রিয় ইউরোপিয়ান সময় (CET)। কেবল কেন্দ্রীয় ইউরোপিয়ান সময় (CEST)। আনুমানিক বিশ্বে প্রায় ৭০ দেশে দিনের আলো সঞ্চয় (DST) চালু করেছে। ২০০৯ সালের ২০ জুন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত DST ব্যবহার করে। এটা একটি বির্তকিত পদ্ধতি।
বিকালের দিকে একঘন্টা বেশি আলো যোগ করায় কেনাকাটা খেলাধুলা লাভ হলেও কৃষিকাজে তেমন প্রভাব পড়ে না বলে ধারণা করা হয়। আমাদের দেশে কৃষকরা কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করে সন্ধ্যার আগেই কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে। এক্ষেত্রে কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব না পড়লেও লোডশেড়িং এর দেশ "বাংলাদেশ" এ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেখা যাক কতটুকু সাশ্রয় হয়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।