২০০৪ এর ২১শে জুন কলেজ থেকে বের হয়েছিলাম...... ক্যাডেট কলেজে ৬টি বছর পার করার পরেও সেদিন বের হয়ে আসতে খুব একটা কষ্ট হচ্ছিল না কারণ ক্যাডেট লাইফটা আমার মোটেও ভালো লাগতো না....... থাকতে হয়েছিল জন্যে ছিলাম..... বের হওয়াটা একরকম শান্তির মত ছিল....... আরো একটা ব্যাপার ছিল : যদিও আমরা সব বন্ধুরাই একসাথে ছিলাম তথাপি আমি জানতাম আমি সবাইকে অবশ্যই সেরকমভাবে মিস করব না কারণ আমার বন্ধু ছিলই হাতেগোণা কয়েকজন এবং তাদের সাথে আমার কন্ট্যাক্ট থাকবেই....... হয়েছেও তাই...... আজও তাদের সাথে একই রকম হৃদ্যতা, সখ্যতা বজায় থেকেছে.......
সব বিদায় মনে হয়না একই রকমের হয়....... নইলে আজ গ্রাজুয়েশন পার্টিতে এত মন খারাপ হত না......... আমার বুয়েট লাইফটা খুব একটা স্বস্তির ছিলনা কখনোই কারণ বুয়েটে সিএসই'তে পড়া ভীষণ কঠিন একটা কাজ....... আর টিপিক্যাল বুয়েটিয়ানদের মত আমার ফ্রেন্ড সার্কেল ফেসবুক ও হলের কিছু চেনামুখেই সীমাবদ্ধ.......
এরপরেও কোনভাবেই মানতে পারছি না বন্ধুরা মিলে এখনকার মত মজা,আড্ডা আর কিছুই হবেনা..... হয়তো হবে, তবে সেটা লিমিটেড আকারে অবশ্যই..... মিস করব সবাইকে.... প্রচন্ডভাবে মিস করব.....
ক্যাডেট লাইফ থেকে বন্ধু আসা উচিত ছিল বেশী কিন্তু আমার উল্টাটা হল...... ভাল বন্ধু সব বুয়েটে এসে পেলাম...... আমার বন্ধুগুলো সবাই নিঃস্বার্থ..... ঢাবি'র বন্ধুগুলো যখন বলে ভার্সিটি লাইফে সবাই স্বার্থপর তখন আনন্দভরা কন্ঠে উত্তর দেই: আমার বন্ধুরা নয়......... এটা আমার জন্যে খারাপ এক দিক দিয়ে... কারণ চাকুরী জীবনে স্বার্থপর মানুষের সংখ্যাই বেশী থাকবে অবশ্যই..
আবোলতাবোল আর না লিখি........ ক্যাডেট লাইফের শেষ দিনে এতটা খারাপ লাগেনি যতটা আজ লাগছে....... একই তো সব... বিদায় তো বিদায়ই.... তবে বুয়েটের মুক্ত পরিবেশে এবং সবাই যেখানে বলে ভার্সিটি লাইফে নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব পাওয়া কপালের ব্যাপার সেখানে এতগুলো সাদা মনের কিছু অসম্ভব ভাল কিছু মানুষের বন্ধুত্ব পাওয়ার কারণেই হয়তোবা থেকে থেকে কেঁদে উঠছি মনে মনে.........
মিস করব সবাইকে......... যেখানেই থাকিস, ভাল থাকিস সবাই....
-সিউল.....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।