বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ূ বড় জোর এক বছর।
উৎপত্তিঃ
গ্রাফিক শব্দটা গ্রীক (গ্রাফিকোস) থেকে থেকে এসেছে। এমন কিছু দৃশ্যপটকে গ্রাফিক্যাল ডিজাইন বলা যায় যা কোন সমতল অথবা যে কোন মাধ্যমে খুদিত, মুদ্রিত, অঙ্কিত অথবা যে কোন ভাবে প্রকাশিত, যা যে কোন দর্শককে একটা মেসেজ প্রদান করে অথবা চিন্তা সঞ্চালন করে। সময় ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে এর প্রকাশ মাধ্যমেরও পরিবর্তন সেসছে কিন্তু মূল উদ্দেশের কোন পরিবরতন হয়নি।
গুহা চিত্র থেকে আধুনিক রোমান প্যাটার্নের টাইপোগ্রাফিতেও এর স্বকীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।
আরও বিশাল অর্থে প্রকাশ করলে এর মূল বিষয়ের সাথে শিল্পকলার ইতিহাসও জড়িয়ে পড়ে।
ইতিহাসঃ
খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০০ সালে মানবজাতির প্রথম শিল্পকর্ম দেখা যায় দক্ষিন ফ্রান্সের Chauvet Cave এ। একেই গ্রাফিক ডিজাইনের প্রথম প্রচেষ্টা ধরা যায়।
কিছু ঘোড়ার ছবি সমান্তরাল ভঙ্গিতে আঁকা, প্রয়োজন অথবা রিচুয়াল-যেভাবেই হোক , এটাকেই মানব সভ্যতার শিল্পের দিকে যাত্রার প্রথম প্রয়াস ধরা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০০ এও এমন কিছু নিদরশন মেলে Lascaux গুহায়, এটিও ফ্রান্সে।
এগুলো মূলত শিকারিদের আঁকা ছিল বলেই ধারনা করা হয়। সাক্সন অথবা ভাইকিং দের পূর্বপুরুষ রাই তখন ফ্রান্সে সভ্যতা গড়ে তুলছিল।
প্রত্নপ্রস্তর যুগের যে সমস্ত চেষ্টাকে শিকারিদের কৃষি কাজের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল এটা তার প্রথম লক্ষন, জীব জন্তুকে স্থির চিত্রে ধরে রাখার প্রয়াস থেকেই পশুপালনের প্রথম ধারনার উদ্ভব বলা যায়।
খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ সাল অব্দি মানুষ বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট চিহ্নের দ্বারা কিছু সুনির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করতে শুরু করে, বলা যায় সেই সমস্ত চিহ্ন থেকেই গ্রাফিক আর্টের একটা সুনির্দিষ্ট পরিধি পায়।
(পরবর্তী পর্বে গ্রাফিক ডিজাইনের উন্মেষ যুগের আলোচনা করা হবে, যেটা মুলত শুরু হয়েছিল অ্যাসিরীয়, ব্যাবিলন, মেসোপটেমীয় ও ইজিপ্ট সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে।
কিউনিফর্ম ও হায়ারোগ্লিফিক্সের ব্যাবহারই মূলত গ্রাফিক ডিজাইনকে একলাফে ভিজুয়াল মিডিয়ার সাথে ব্লেন্ড করে দিয়েছিল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।