ওই ব্যবস্থায় কাজ করার জন্য নিজেরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে সচিবরাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত অর্থাৎ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে।
নির্বাচনকালীন ওই সরকারকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ সরকার বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে।
সেক্ষেত্রে ২৫ অক্টোবরের পর মহাজোট ক্ষমতায় থাকলেও নীতিগত গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলেই সোমবার সচিবদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
“ওই ব্যবস্থায় কাজ করার জন্য সচিবরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন,” বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন ভূইঞা।
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ের সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে সচিবদের ধারণা স্পষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের মেয়াদ আছে।
এর আগের ৯০ দিন সংসদ থাকলেও এই সময় সংসদ অধিবেশন বসবে না বলে সংবিধানের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। ”
সংসদীয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার পালাবদল যেভাবে হয়, তা পর্যবেক্ষণ করতেও সচিবদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ৫৮ জন সচিব উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ২৩ জন বক্তব্য দিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের বর্তমান ধারা অনুসরণ করে নির্বাচনের কথা বললেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির এতে আপত্তি রয়েছে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে তারা বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।