মিসরে কয়েক দিন ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর করণীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসছে দেশটির অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে দেশটির সরকার। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাউয়ি গতকাল বলেছেন, সরকার আপস-মীমাংসার পথে যাওয়ার কথা ভাবছিল, কিন্তু যাদের হাতে রক্ত, তাদের সঙ্গে আর কোনো আপস নয়। নিষিদ্ধ করা হলে ব্রাদারহুড আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হবে এবং তা মিসরের জন্য আরও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকেরা।
মিসরে রাজপথ থেকে মুরসিপন্থীদের সরিয়ে দিতে গত বুধবার সরকারি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানের পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ওই দিনের অভিযানে নিহত হয় অন্তত ৬৩৮ জন। বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগের নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। জরুরি অবস্থা ভেঙে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখায় সেনা ও পুলিশের গুলিতে প্রাণহানি বাড়ছে মিসরে।
রাজধানী কায়রোর একটি মসজিদে মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীরা গত শুক্রবার অবস্থান নিয়েছিল।
গতকাল শনিবার ব্যাপক গুলিবিনিময়ের পর তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কায়রোর কেন্দ্রে আল-ফতেহ মসজিদে অবস্থানকারীদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে নারী-পুরুষসহ ব্রাদারহুডের সমর্থক এক হাজারেও বেশি মুসলিম ওই মসজিদের ভেতর আশ্রয় নেয়। মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই বিক্ষোভ করে আসছে তাঁর সমর্থকেরা। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুরসিপন্থীদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত শত শত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে।
গত বুধবার এক দিনেই নিহত হয় অন্তত ৬৩৮ জন। বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগের নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।