মন তুমি কৃষিকাজ জানো না, এমন মানবজমিন রইলো পতিত; ফলালে ফলতো সোনা
চাচামিঞা যখন প্রথম আওয়াজ দিছিলো তখন অপেক্ষাকৃত নতুন ব্লগার হয়েও আমি ফাল দিছিলাম, এতদিনের রহস্যময় মানুষগুলাকে দেখা যাবে এই আশায়। পরে একটা আজাইড়া কাজ আর রাইতে বন্ধুর বিয়া পড়ে যাওয়াতে ভাবসিলাম যাওয়া হবেনা। কিন্তু লোভ বহুত খারাপ জিনিষ। ৭টার দিকে যখন ফ্রি হলাম তখন লোভ হতে লাগলো, বিয়ার তো দেরী আছে, ঘুইরাই আসি কি হয়! আবার অস্বস্তিও লাগতেছিলো, কাউরে চিনিনা জানিনা, ব্লগেও ঐরকম পেয়ারও কারো লগে হয়নাই, যাওয়াটা কি ঠিক হইবো? লোকজন যদি পাত্তা না দেয়?
শেষ পর্যন্ত লোভ জয়ী হলো। ব্লগ থেকে পাওয়া নাম্বারে ফোন দিলাম শামসীরকে।
সে যেভাবে হইচই করে আমাকে আসতে বললো তাতে আরো ভড়কাই গেলাম...ঘটনা কি? মনে হলো আমাকে গণ দেয়ার জন্য বোধহয় সবাই ওয়েট করতেছে। ব্লগে কারো সাথে তো কখনো তেমন ধাক্কাধাক্কি হয়নাই, তাহলে এরা এতো উৎসাহী কেন? ভয়ে, সংকোচে গিয়ে হাজির হলাম কালপুরুষদার ঠিকানায়। নিচে দারোয়ান বললো, কই যাবেন? পরে গেলাম আরেক ফাঁপড়ে। আসল নামতো জানিনা। দারো্যান ও দেখি সরু চোখে তাকায়।
তখন খুব স্মার্টলি একটা ভাব নিয়ে উপরে টাইপের কিছু একটা বলে তাড়াতাড়ি ঢুকে গেলাম লিফ্টে, সোজা ছাদ।
চমৎকার একটা ছাদ, পিছনে গোধূলী আলোর টকটকে একটা আকাশ, সামনে কিছু বিচ্ছিন্ন মানুষ। আমি কয়েক সেকেন্ড বোকা বোকা ভাব নিয়ে দাড়ায় থাকলাম। উল্টা ঘুরে আবার হাঁটা দিবো ভাবতেছি এই সময়ে দেখি পাথুরে চেহারার একজন আমার সাথে এসে পরিচিত হলো, সাথে পল্লী বাউল আর মানবিক। প্রথম দুইজন দেখি আবার আমার চাঁট্গার মানুষ (প্রথমজন আবার একি স্কুলের)।
বুকে একটু সাহস ফিরে পেলাম। তখন দেখি পিছন থেকে মূল উদ্যোক্তা চাচামিঞা(উনার সাথে কথা বইলাই মনে হয়ছে না আসলেই ভুল হইতো) আওয়াজ দিলেন, কিছুক্ষন পর দেখি নাম না নেয়া সত্ত্বেও শয়তান হাজির। যার সাথে পরিচয় হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিলো, সেই কালপুরষদাও খাবারের বাক্স হাতে হাজির। (আমি যখনি কোন ব্লগারের(বিশেষ করে মেয়েদের) ব্লগে ঢু মারি, তখনি দেখতাম কালপুরুষ নামে একজন ২/১ লাইন লিখে আর তাতেই সবাই খুশীতে গদগদ হয়ে যায়। আমি ভাবতাম, সমস্যা কি! আমি ৫ লাইন লিখলেওতো দেখি কেউ(অনেকে এ জায়গায় আবারো মেয়েরা পড়ে নিতে পারেন) পাত্তা দেয়না।
কালপুরুষদা, আপনার সাথে পরিচিত হয়ে আমিও সিম্পলি মুগ্ধ হয়ে গেলাম)। একটু সরে এসে আড্ডা দিতে শুরু করলাম আমারি আশেপাশে থাকে এমন সব লোকজন শামসীর(যার সাথে আমার আজ থেকে ১০ বছর আগেই পরিচয় হতে পারতো), পাথুরে, উদাসী স্বপ্ন, যীশুদার সাথে। এরমধ্যে উদাসীর গোপন সিভি ভান্ডারের খবরও সবাই জেনে গেলো চাচামিঞা চাচীর কাছ থেকে পোলাপাইনের জন্য কোন সিভি আনতে পারেননাই এজন্য একটু ধিক্কারও খাইলেন। এরমধ্যে আরো পরিচিত হয়ে গেলাম ক্ষুদে () ব্লগার শ্রাবণসন্ধ্যা, জানপরী (যেসব লুল ব্লগার আড্ডায় ছিলেননা তারা জানেন না কি মিস করছেন), বেকার, লুলুপাগলা, শামীম, রাতমজুর, মাতব্বর, কাক ভুষুন্ডি , কৌশিকদার সাথে....(২/৩টা নাম মনে হয় মিস করতেছি!!!)। যখন আড্ডায় আসতেছিলাম তখন ভাবতেছিলাম, কত তাড়াতাড়ি ফুট দিবো, আর আড্ডা শুরু হওয়ার পরে উঠতেই ইচ্ছা করতেছিলোনা।
বন্ধু বিয়ে করে ফেলতেছে দেখে তাড়াতাড়ি চলে আসতে হয়ছে..কিন্তু বারবার মনে হচ্ছিলো অসাধারণ একটা আড্ডা মিস হয়ে যাচ্ছে )। আরেকটা জিনিস মনে হয়ছে...অনেক রহস্যই আর রহস্য থাকিলোনা........
(পরে অবশ্য বন্ধুর বিয়েতেও খুবি ভালো টাইম কাটছে। ওর শ্বশুরপক্ষের নারীকূল দেইখাতো আমি পুরা মুগ্ধ। যা বুঝতেছি বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব আরো বাড়াই দিতে হবে )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।