দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে ।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। প্রকৃতির সেরা দৃশ্য । আগামী ২২শে জুলাই দেখা যাবে পৃথিবীর পূর্ব গোলার্ধে ভারত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ভুটান, চিন এবং জাপানের একটা অংশ হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়বে চাঁদের কালো ছায়া । পূর্ণগ্রাসের স্হায়িত্ব সবচেয়ে বেশি হবে প্রশান্ত মহাসাগরে, ৬মিনিট ৩৯ সেকেন্ড ।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সবচেয়ে সুন্দর এবং বিরলতম অংশ ডায়মণ্ড রিং, বা করোনা এবং আবার ডায়মণ্ড রিং তৈরি । গ্রহণের চূড়ান্ত পর্যায়ও এটাই ।
'' ভারতের মধ্যে এবারে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ খুব ভালোভাবে দেখা যাবে আমার জেলা জলপাইগুড়িতে। এতে আমি ভীষণ খুশি । ইতিমধ্যেই আমার শহরে আসতে শুরু করেছে দেশ বিদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানিরা ।
এখন থেকেই আকাশের দিকে তাক করতে শুরু করেছে বড় বড় সব আধনিক দূরবিন। এ সব দেখে আমি যেমন হতভম্ব এবং তার সাথে ভীষণ উৎসাহী সেই দিনের অপেক্ষায় । ''
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ভারতে শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালে এবং এরপরে দেখা যাবে ২০৩৪ সালে ।
উত্তরবঙ্গের মানুষ শেষবার এই দূর্লভ এবং অবর্ণনীয় সৌন্দর্য সরাসরি দেখেছিল ১৭৮৮ সালের ৪জুন অর্থাৎ ২২১ বছর আগে । আবার সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন আগামী ২২শে জুলাই ।
উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা যারা ওই দিন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি দেখা থেকে বঞ্চিত হবে তারা আর কোনদিনই এই বিরল দৃশ্য দেখতে পারবেন না । কারণ উত্তরবঙ্গে সূর্যের পূর্নগ্রাস আবার সরাসরি দেখা যাবে আগামী ১৪ মে, ২১২৪ সালে । অর্থাৎ ১১৪ বছর পরে ।
[ সমস্ত সংস্কার, ভয় ভুলে এই বিরল, প্রকৃতির সুন্দরতম সৌন্দর্যকে উপভোগ করুন । তবে খালি চোখে কোনভাবেই এই গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে না ।
সূর্যগ্রহণ দেখার চশমা ব্যাবহার করুন। নতুবা একসাথে ৩-৪টা এক্সরেপ্লেট ব্যাবহার করতে পারেন । ]
জলপাইগুড়িতে গ্রহণ শুরু - ৫:৩০:২০,
জলপাইগুড়িতে প্রথম ডায়মন্ড রিং - ৬:২৬:২৯,
জলপাইগুড়িতে পূর্ণগ্রাস - ৬:২৮:২৮,
জলপাইগুড়িতে দ্বিতীয় ডায়মন্ড রিং - ৬:৩০:২৮,
জলপাইগুড়িতে গ্রহণ শেষ - ৭:৩৩:২৪,
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।