কি আর বলবো!
গতকাল থেকেই মনটা কেমন যেন খচখচ করছে। গতকাল বিডিনিউযে খবরটা দেখেছিলাম। আজকে সব পত্রিকাতেও বেশ গুরুত্ত্বের সাথে ছাপালো। সকালে মর্নিং ওয়াকে বের হয়ে ঢাবি শিক্ষকের স্ত্রী শিক্ষানবিশ গাড়িচালকের গাড়ি চাপায় নিহত।
আচ্ছা আপনি বাসায় কখন যাবেন?
এইতো ছয়টার দিকে।
আজকে কষ্ট করে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত থাকলে আমাকে একটু নামায় দিতেন।
আরে কি বলেন ভাইয়া! এটা কোন ব্যাপার নাকি!? অফকোর্স্।
মাঝে মাঝেই বসের এই ফরমায়েশটা খাটতে হয়। দুপুরে যখন লান্চে তখন ইচ্ছা করেই প্রসন্গটা উঠলাম।
ভাইয়া আজকে পেপারে দেখসেন কি অবস্থা!
কোনটা?
ঐ যেহ ডি.ইউতে এক্সিডেন্টটা যে হল।
ইসস্ হুমম্ খারাপই লাগলো।
একটা জিনিস খেয়াল করসেন?
কি?
যে ড্রাইভার ছিল তার কিন্তু লাইসেন্স নাই। খালি লার্নার্স্ আছে।
তাই নাকি!?
হুমম্ এখনতো বেচারার খবর আছে। লাইসেন্স থাকলে তাও পার পেতে পারতো।
আচ্ছা!?
হ্যাতো! নাহলে সোজা মার্ডার কেস।
আচ্ছা আপনি কি লাইসেন্স পেলেন এখনও?
না ভাইয়া। আর পেলাম কৈ? এখনও লার্নার্স্ দিয়ে চালাচ্ছি। ডেইট দিসে নেক্স্ট মান্থের ২৬ তারিখে।
ওওহ।
ছয়টা বাজার পর বেশ কিছুক্ষন ধরে বসকে টেবিলে দেখিনা! শেষে সেলে ফোন করলাম:
হ্যালো ভাইয়া আমি কিন্তু বসে আছি আপনার জন্য।
ও তাই নাকি? কেন?
বললেন যে আজকে আমার সাথে যাবেন?
ওহ! নাহ লাগবেনা। আমার ড্রাইভার আজকে চলে আসছেতো। সরি আপনাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
না ভাইয়া অসুবিধা নাই।
আমি চলে যাচ্ছি তাহলে।
হ্যা ঠিকাছে।
মনে মনে ভাবছিলাম উদ্দেশ্য সফল। কাহিনি শুনে ডরে আমার লগে যায়নাই। ঝামেলা থেকে বাঁচা গেল।
কিন্তু খচখচ ভাবটা যেন যাচ্ছেই না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।