আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাঝে মাঝে মনে হয় সভ্যতা একটি বৃহদাকার বোঝা

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
সকাল ৯টায় পায়ে সু লাগাই। পা উসখুস করে বেলা বাড়লে। ছুঁড়ে ফেলতে মন চায়। পারিনা। এটা অফিস।

বাসায় গিয়ে যে পায়ে মাটি লাগাব সে জো নেই। সভ্যতার টাইলস সবই ঢেকে দিয়েছে। লুঙ্গির জন্য হাসঁফাসঁ করে মনটা সারাক্ষন। কবে যে বাসায় যাব। এটা অন্তত: পরা যাবে।

কেন যে অফিস গুলো লুঙ্গি Allow করেনা। কাজ বলতেতো Ms Office এ কীবোর্ড ঠোকাঠুকি, কিছু ফোনকল আর মিটিং। বলুনতো, লুংগি পরে এর কোনটা করতে কি অসুবিধা? ঝাঁপ দিয়ে পুকুরে নামা, এক ডুবে ওপার- বড্ড প্রিয়। সভ্যতার বালতি মগ, শাওয়ার বা টাব কোনটাতেই তৃপ্তি মেলেনা। বসার টুলে পা তুলে হাঁটু মুড়ে কলা চা বিস্কুট মুড়ি চিবাতে চিবাতে রাস্ট্র, ধর্ম, নারী, কোর্স, টিচার, অর্থনীতি হেন কোন শাস্ত্র নেই, ক্যাম্পাসের টং দোকানে ঝড় উঠাইনি।

সভ্যতা এখন বাধা দেয়। অফিসে নাকি উচ্চস্বরে কথা বলতে নেই। কাঠের হাতলওয়ালা চেয়ার বড্ড প্রিয়। সভ্যতার অফিসে তুলতুলে ব্যাথা, অশান্তি বাসায়। নরম সোফার টনটন।

দখিনা বাতাসের জন্য কত না মন কাদেঁ। এসির অত্যাচার আর সয়না। মাঝে মাঝে মনে হয় ছেড়েছুড়ে ফেলে দিই সব আয়োজন। স্থাবর অস্থাবর সব কিছু বেচে দিই সের দরে। তথাকথিত ক্যারিয়ার, মেকি কথার সম্ভার, অপ্রয়োজনীয় ইংরেজী শব্দের ক্যাচঁক্যাচানি, সকল সার্টিফিকেট।

দুর কোন গাঁয়ে গিয়ে বেছে নিই ভিন পেশা। সাঝঁবাতির আলোতে, স্টোভে দু'টা চাল চড়িয়ে, এশার নামাজ পড়ে শক্ত বিছানায় গা এলিয়ে দিই। কাকভোরে ছুট দিই মুয়াজ্জিনের ডাকে। হাজার খানেক বইয়ের পাহাড়ে দিনের বাকী সময় ডুব দিই। খেতাপুরি সভ্যতার ইঁদুর দৌড়ের।

গন্তব্যহীন ম্যারাথনের। বিশ্ববাসীকে, ক্লাশমেট আর নিকটস্থ কলিগদের ডেকে হাঁক দিই- খোদা হাফেজ বন্ধুরা। তোরা এগিয়ে যা! আমি আর নাই!! ভাল থাকিস!!!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.