পৃথিবীর বাধা-এই দেহের ব্যাঘাতে/ হৃদয়ে বেদনা জমে;-স্বপনের হাতে/ আমি তাই/ আমারে তুলিয়া দিতে চাই। আজকে বিশেষ এক কাজে আগারগাঁও গিয়েছিলাম। তো, কাজ শেষে রিকশা নিলাম শিশুমেলার (শ্যামলী) উদ্দেশ্যে। পাশে কলিগের সাথে গল্প করতে করতে আসছিলাম। হঠাৎ শিশু হাসপাতালের সামনে ট্রাফিক আমাদের রিকশাটা থামিয়ে দিল।
এখান থেকে শিশুমেলা পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার মত এনার্জি নাই। সকাল থেকে হাঁটার উপর আছি। আমার সামনে ৩/৪টি রিকশা থেমে আছে। হায়! হায়! করি কী।
এমন সময় মজার একটা ঘটনা ঘটল।
যা টিভি-পত্রিকায় দেখা যায়। দেখলাম, এক রিকশাঅলা অতিদ্রুত ২ টাকা/৫ টাকা ট্রাফিকের হাতে গুজে দিল। ট্রাফিকও আরো দ্রুততার সাথে টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে নিল। ঘটনাটা এত ক্ষিপ্রভাবে ঘটল যে উসাইন বোল্ট ফেল। টাকাটা দিয়েই ওই রিকশা সামনের দিকে যেতে লাগল।
আমি ত থ!
তৎক্ষণাত আমার মাথায় একটা দুষ্টামী চাপল। রিকশামামাকে বললাম, মামা, সামনে আগাও।
রিকশাটা ট্রাফিকের কাছাকাছি আসামাত্র ট্রাফিক বলল- রিকশা আর যাবে না। এখানে নেমে যান। (কয় কী? এত দূর হেঁটে যাব! উনার কী মেয়ের জামাই নাই!)
আমি একটুও মজার ছলে ট্রাফিকের নেম ট্যাগে মুহূর্তে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বললাম- আরে সাইফুল ভাই, সামনের রিকশা থেকে কয় টাকা নিলেন?
কথাটা বলার সাথে সাথে তার চেহারাটা দেখার মত হইছিল ।
সাইফুল ভাইয়ের এই বেবাচেকা অবস্থার মধ্যে আমাদের রিকশামামাকে বললাম-মামা আগাও। সাইফুল ভাই কিছুই কইতে পারল না। রিকশা সামনে এগিয়ে চলল। আমরা হাসতে হাসতে শেষ। দেখলাম, রিকশামামাও মিটমিটাইয়া হাসে।
জীবনে কাউকে এমনভাবে সরাসরি বিব্রত করি নাই। কিন্তু আজ একটু মজা করলাম। দেখলাম, মাঝে মাঝে মজা লওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।