oracle.samu@googlemail.com
বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালচিত এশিয়ান হাইওয়ে ও ডিপ সি পোর্ট নিয়ে সর্গরম সরকার, সংবাদ মাধ্যম, সচেতন নাগরিক এবং অতি উত্সাহি রাজনৈক বড়-মাঝারি-পাতি নেতা কর্মি এনং অবশ্যই ব্লগারবৃন্ধ।
চরিত্রগত ভাবেই আমরা অতি দুতই কোন একটা পক্ষ নিয়ে নিয়েছি .........যত টা না বুঝে .....তার চেয়ে বেশী রাজনৈক মতাদর্শ এর জন্য দায়ী।
এক দল বলছে এশিয়ান হাইওয়ে, ডিপ সি পোর্ট হবে অন্যরা হতে দেবে না। প্রথমেই আসি ডিপ সি পোর্টের ব্যাপারে, বেশী দূরে নয় সিংগাপুর, হংকং কে দেখুন .. নিজেরা তাদের ডিপ সি পোর্টের ১৫% ও ব্যাবহার করে না অথচ তাদের জাতিয় আয়ের ৬০% যোগায় তাদের পোর্ট।
রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ইউরোপের দরিদ্যতম দেশ হলেও এক দশকে ট্রান্স ইউরোপিয়ান হাইওয়ে তাদের চেহারা বদলে দিয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের আবশ্যই এশিয়ান হাইওয়ে, ডিপ সি পোর্ট দরকার এবং এ ব্যাপারে কারোরই কোন দ্বিমত নেই আশা করছি।
ভারত দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম বাজার এবং ভৌগলিক কারনে ভারত মায়ানমার আমাদের এই আবকাঠামোর প্রধান গ্রাহক। ভারত করিডোর ও আমাদের বন্দর ব্যাবহার করতে চাচ্ছে। অর্থনৈক ভাবে লাভ জনক প্রমানিত হলে আমাদের তা দেওয়া উচিত তবে অবশ্যই স্বিয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কারন নিরাপত্তা খর্ব হলে অর্থ মূল্যহীন হয়ে যাবে।
ইংলেন্ড- ফ্রান্সকে দেখুন জাতিগত ভাবে চরম বৈরী ভাবাপন্ন হলেও শুধু মাত্র আর্থিক কারনে এক হয়েছে। আমরা যেমন নেপাল-ভূটানের মত ভারতের নিয়ন্ত্রনে থাকতে চাই না ঠিক তেমনি কিউবার মত দেশের দরজা-জানালা বন্ধকরে বসে থাকতে চাই না।
কিউবায় ২০০৮ সাল পযর্যন্ত কম্পিউটার ব্যাবহার নিষিদ্ধ ছিল ...যেমন আমাদের দেশ দরদী মূর্খ নেতাদের কারনে ২০০০ সাল পর্যন্ত আমরা অপটিকাল ফাইবার কানেকশন থেকে বন্চিত ছিলাম।
আমাদের দেশ আলু-পটল নয় যে আন্যে নিয়ে যাবে, আমাদের ভৌগলিক অনস্থানকে দায়বদ্ধতা নয় বরং সম্পদে পরিনত করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।