প্রতিটি দিনের কাছে অনেক যে ঋণ...
প্রিয় ব্লগারগণ,
একটু ভাল করে ওই মৃত দীর্ঘ পাবদা মাছটির দিকে তাকিয়ে দেখুন - তার পেট ডিমে পূর্ণ হয়ে আছে। এই একটি মা পাবদা থেকে হয়তো শতশত পাবদার জন্মহতে পারতো!... আমাদের সমাজের একশ্রণীর অসৎ মৎস্যশিকারীদের কাছে এমন মাছের প্রজনন কেবলই বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল একটি হাওর সমৃদ্ধ উপজেলা। এই হাওরে পানি আসে পাহাড়ী ছড়া থেকে। বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয় এখানে।
প্রায় ৭০-৮০% পুকুর বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েন তখন। দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষ বাড়ীর আঙ্গিনা থেকেও মাছ শিকার করছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাইক্কা বিল দেশের অন্যতম একটি স্থায়ী অভয়াশ্রম। আয়তন প্রায় ১০০ হেক্টর ।
এর মাঝে শুষ্ক মৌসূমে আশ্রয় নেয় দেশীয় প্রজাতির মাছ। যেমন- রুই, কাতলা, গনিয়া, বোয়াল, চিতল, পাবদা, মেনি, কৈ, শিং, মাগুর, শোল, টাকি, গজার, পুটি, মলা, ইছা, বইছা, টেংরা, দারকিনা, চান্দা, বাইমসহ আরও অন্যান্য প্রজাতির মাছ। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এ সব প্রজাতির ৬০-৭০% মাছই তাদের প্রজনন সম্পন্ন করেছ অর্থাৎ ডিম ছেড়েছে। কিন্তু কিছু মাছ ডিম ছাড়ার আগেই মাছগুলো ধরা পড়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশী ধরা পরেছে বিলুপ্তপ্রায় গনিয়া, বোয়াল, শিং, মাগুর, কৈ, টাকি ইত্যাদি মাছ।
ছোট মাছের মধ্যে পুটি, মলা ও দারকিনা।
প্রজনন মৌসুমে ডিমওলা মাছগুলো ধরার চিত্র শুধু শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলেই নয়। দেশের প্রত্যেকটি হাওড়-বিলে একই সমস্যা। এ মৎস্যসম্পক-কে রক্ষার জন্য দেশব্যাপী দেশীয় মাছগুলোর প্রজননব্যবস্থার প্রয়োজনীতা তাই অনস্বীকার্য।
ঝড়ো জনমত গড়ে উঠবে কবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।