আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিরোনামহীন আবজাব

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

যতো ঝামেলা এড়িয়ে চলা যায় ততো মঙ্গল। তবে পাবলিক ঝামেলা থেকে মু্ক্তি দিতে চায় না। দেশ থেকে এসেছি অনেকদিন হলো। তারপরও এই সমস্যা সেই সমস্যা নিয়েই থাকতে হয়।

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উপদেশ আর কথা শোনাতেই সীমাবদ্ধ। সপ্তাহান্তে দুইদিন ফোনালাপেই শেষ। এই ব্লগে অনেকেরই চিকিতসার জন্য আবেদন আসে। দেশের মানুষগুলো বিশেষ করে যুবসমাজ যে এখনো এতো নির্দয় হয়নি সেটা বারবার প্রমান করেছে। এতো এতো কষ্টের মাঝেও লোকজন বিভিন্ন উদ্যেগ নিচ্ছে ভেবে নিজেকে বেশ দুরের মনে হয়।

এইসব ব্যাপারে সরকারী অথবা বেসরকারী কোন উদ্যেগই দেখা যায় না। দেশ থেকে বাইরে চিকিতসার যে খরচ যাতায়াত আর থাকা-খাওয়ার খরচ প্রায় অর্ধেক। দেশে চিকিতসার ব্যবস্হা হলে অনেক অনেক সাশ্রয় হতো। সরকারী অথবা বেসরকারীভাবে কেন হচ্ছে না বুঝি না। ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ই কি ব্যবসার কথা চিন্তা করেও একটু এগিয়ে আসতে পারে না?? ইউরোপের অনেক দেশে বিভিন্ন কারনে যেতে হয়েছে।

কিছু কিছু জায়গায় বিভিন্ন প্রয়োজনে থাকতেও হয়েছে। চিকিতসার ব্যবস্হা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। সবকিছু থেকে জার্মানির ব্যবস্হা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও বিভিন্ন সময় মন খারাপ হয় এতো এতো টাকা মাস শেষে কেটে নিয়ে যায় (মাসিক ৭০০ ইউরো। বেতনের উপর ইন্স্যুরেন্সের টাকা নির্ভরশীল।

ছাত্রাবস্হায় মাত্র ৫৫ ইউরো) । তারপরও সান্তনা যে যখনই ডাক্তার প্রয়োজন সাথে সাথে পাওয়া যায়। যেকোন ডাক্তারের কাছে এপোয়েন্টমেন্ট চাওয়া অথবা পাওয়া যায়। শহরের ভেতরে ইমারজেন্সি কল করলে ১০মিনিটের ভেতরে আসতেই হবে। গাড়ি না আসতে পারলে অথবা রোগীর অবস্হা খারাপ হলে হেলিকপ্টার আসবে।

রাস্তায় সাইরেন শুনলে সামনের গাড়ি যে যেভাবে পারে সাইড দিতে বাধ্য। চিকিতসা খরচ যাই হোক না কেন ইনস্যুরেন্স অবশ্যই কাভার করবে। এখানে সবার ইন্স্যুরেন্স থাকতেই হবে। খাও অথবা না খাও ঐটা পরের চিন্তা হেলথ ইন্স্যুরেন্স আগে। এইসব ব্যবস্হা যদিও আমাদের দেশে অসম্ভব।

কিন্তু মিনিমাম টাকা দিয়েও তো সুবিধাটুকু দেওয়া যেতে পারে। নিজে বার রকমের মানুষের সাথে থেকে সবকিছুতেই বিভিন্ন স্বাধ পেতে চাই। বছরদুয়েক আগে বাংলা নাটক দেখেছিলাম। তারপর অনেক লম্বা বিরতি। হঠাত করে চ্যানেল আইয়ের গানরাজ দেখতে বসলাম।

যতোক্ষন বাসায় সারাক্ষন পিচ্চিদের গান শোনা। হঠাত করে একদিন টিভিতে জার্মানির পরবর্তি সুপার মডেল দেখতে গিয়ে একটা গান বুঝতে পারিনি। ছোটবোনকে জিঞ্জেস করলে বল্লো ঐটা নাকি ব্রিটনী'র। এই সময় উনি একটু বিল্লা মারলো। কি আর করার বাংলা থেকে ডাইরেক্ট ইংরেজি গানে কয়েক সপ্তাহ।

তারপর আউল-ফাউল লিঙ্ক ঘুরে হিন্দি গানে। ওল্ড গোল্ড, সারেগামা চল্লো কয়েক সপ্তাহ। গতকাল রাতে ডাইনিং রুম দিয়ে আসার সময় বাউল আব্দুল করিমের একটা গানের একটি কলি শুনতে পেলাম। সাথে সাথে বাবা চ্যানেল বদল করে ফেল্লেন। বছর তিনেক থেকে ড্রয়িংরুমের টিভিতে বাংলা স্যাটালাইট চ্যানেল যুক্ত আছে।

ঐ টিভি শুধু মা-বাবার জন্য। আমি ঐটা কিভাবে অপারেট করে জানি না। মাঝে মাঝে আসা যাওয়াতেই যা দেখা হয়। বাউলের গানের কলি মাথায় সারা রাত ঘুরতেছিলো। বাউলের গানগুলো যদিও অনেকবার শুনেছি।

অফিসে যাওয়ার পথে গাড়িতেও মনেমনে গাইতেছিলাম। অফিসে বেশ ঝামেলার জন্য খুব একটা মনে পড়েনি। আসার সময়ই একই অবস্হা। কিন্তু আমার গাড়ির সিডি প্লেয়ার নষ্ট সেইটা আমার বোন আবিষ্কার করেছে। বাসায় আর একটা সিডি প্লেয়ার আছে।

কিন্তু লাগাতে ইচ্ছে হয় না। যদিও মাঝে মাঝে গান শুনে ড্রাইভ করতে ইচ্ছে করে। এইসব ব্যাপার আমার ছোটবোন আমার থেকে অনেক বেশী বুঝে। উনি গাড়িতে উঠলেই কোনটা ঠিক আর কোনটা নষ্ট আমার থেকে ভালোই বুঝে। আজ থেকে আবার বাউল গানের ভক্ত।

এই গাড়ির হর্নও গতপরশু পর্যন্ত জানতাম না। এখানে হর্ন দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি এতোদিন। গতদিন ভাইয়ার সাথে ড্রাইভ করতেছিলাম। সামনে একটা গাড়ি অনেক্ষন ধরে দাড়িয়ে ছিলো। আমার একটু তাড়া ছিলো।

ভাইয়া বল্লো হর্ন দে (বেয়াদবি করলে হর্ন দিতে হয়)। আমি বল্লাম হর্ন কোথায় সেইটা তো জানি না। ভাইয়া কি বলবে বুঝতে পারলো না। শুধু হেসে বল্লো তোমার হর্ন স্টিয়ারিংয়ের কাছেই (উনি আমার গাড়ি মাত্র একদিন ড্রাইভ করেছেন)। ততোক্ষনে সামনের গাড়ি এগিয়ে গিয়েছে।

হর্ন দিতে হয়নি। বাসায় অথবা অফিসে অনেককিছু থেকে ইচ্ছে করেই এগিয়ে চলি। গতসপ্তাহে একটু ঠান্ডা পড়েছিলো। ফুলহাতা শার্ট খুজতে গিয়ে অস্হির। কোনটাই মনমতো হচ্ছিলো না।

তাই আর পরা হয়নি। সপ্তাহান্তে ভাইয়া এসেছিলেন। চান্সে শার্টের কথা বলে ফেল্লাম। উনি বল্লেন কিনে দিবেন (আমার জ্যাকেট, শার্ট, পেন্ট পর্যন্ত মাঝে মাঝে উনি কিনে )। বেচে গেলাম।

ছোটভাইকে দিয়ে জুতো কেনালাম। অফিসে পিসি তে একটি সমস্যা হচ্ছিলো। আইটি সেক্টরে ফোন করলাম। ওরা আমার একাউন্ট দেখে বলে তুমি কি এই অফিসে নতুন? বল্লাম গত তিনবছরের উপরে এই অফিসে। শুনে মনে হলো না সে লজ্জা পায় নাই।

উল্টো বলে তোমার মেইল একাউন্টে মাত্র কয়েকশো মেগাবাইটের মেইল। এখনো তো গিগা তে যায়নি। অথচ অন্যদের সার্ভারে সাইজের জন্য ঝগড়া করতে হয়। মনেমনে বলি এখনো চুপচাপ আছি। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ তারপর আমিও ঝগড়া করবো।

ম্যানেজার আমাকে বাইরের কিছু প্রজেক্টে এসাইন করেছে। কাজের চাপে মরিতে চাইনা এই সুন্দর ভুবনে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।