ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্ট লীগ বা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বা সহকারী সম্পাদক ছিলেন ক্যাপ্টেন আজিজুল হক নামে একজন। তাঁর বাড়ি পাবনা। তাঁকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা থেকে ৭ জানুয়ারি ১৯৫৮ এক ব্যক্তিগত চিঠিতে লেখেন:
My dear Captain,
মনে রাখিবা ব্যক্তি নেতৃত্বের জামানা বর্তমানে নাই। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ আজ গণতন্ত্রকামী, তারা চায় আজ সুখ-সমৃদ্ধিসম্পন্ন রাষ্ট্র ও সমষ্টিগত সুখময় জীবন গড়ে তুলতে।
মুজিব ভাই’
শ খানেক শব্দের চিঠিটিতে দলীয় সাংগঠনিক কিছু বিষয় ও ব্যক্তিগত কুশলাদির কথা ছিল।
মাই ডিয়ার ক্যাপ্টেন—সম্বোধন তাৎপর্যপূর্ণ। তাতে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার প্রকাশ ঘটেছে। এই ক্যাপ্টেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নয়। চিঠির প্রাপক অজ্ঞাত, চিঠির লেখক অজ্ঞাত নন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা।
শুধু তা-ই নন, এর আগে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তানের দ্বিতীয় গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হয়েছিলেন। আতাউর রহমান খানের মন্ত্রিসভায় শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও দুর্নীতি দমনমন্ত্রী ছিলেন। এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ১৯৫৮-র মার্চে বা এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে দলকে সংগঠিত করতে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
(এখন ওই আত্মঘাতী কাজ কেউ করলে তাঁর বাড়িতে মরাকান্নার রোল পড়ে যাবে। ) সুতরাং ওই চিঠির লেখক কোনো চাট্টিখানি মানুষ ছিলেন না। কিন্তু চিঠির নিচে যে স্বাক্ষর করেছেন, তাতে তিনি লিখেছেন ‘মুজিব ভাই’। এতে বোঝা যায়, নেতা একজন সাধারণ ছাত্রনেতার ভাই হয়ে থাকতেই পছন্দ করতেন—বস নয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।