কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি ।
স্টিফেন হকিং আমার খুবই প্রিয় একজন ব্যাক্তিত্ব। খুবই প্রিয়। উনার সবগুলো বই আমি পড়েছি। ইংরেজি আর বাংলা দুই ভাষাতেই।
উনার লেখা যতউলো আর্টিকেল আছে, বেশিরভাগই পড়েছি। বিজ্ঞান বিষয়ক উনার চিন্তা-ভাবলা ত আমার ভাল লাগেই, তবে উনার মন মানসিকতা আর চিন্তা-ভাবনার ধরণটাও আমাকে আকর্ষণ করে অনেক।
কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট দেখলাম, স্টিফেন হকিং নাকি নাস্তিকতাকে বিজ্ঞান ধারা প্রমাণ করেছেন। আর সেটা যে ভুল, তা নিয়ে আবার এক কাটমোল্লা বই লিখেছে। সেখানে স্টিফেনের সব সূত্রকে ভুল প্রমাণিত করা হয়েছে।
সেখানকার পয়ন্টগুলোই ওই পোস্টে লিখা হয়েছিল। আমি অবাক হলা, স্টিফেন হকিং কখনই নাস্তিক-আস্তিক নিয়ে সরাসরি কোন কথা বলেন নি।
আবার আরেক পোস্টে দেখলাম, জনৈক নাস্তিক দাবী করেন যে, স্টিফেন হকিং সূত্রগুলোই নাকি বলে দেয় ঈশ্বর বলে কিছু নেই। আরো কিছু হাবি জাবি।
আমি কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
টাইম মেশিনের সম্ভাবনা আর নাস্তিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে। সেখানে অনেক আগুন জ্বলে। অনেক গালি খাই, অনেক সমালচিত হই, আবার কয়েকজনের কাছে প্রশংসিতও হই।
ওখানে টাইম মেশিন নিয়ে আমি আমার ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। গতির ঋণাত্মকতা নিয়ে।
সেটা নিয়ে যে কারও পশ্ন করার অধিকার আছে। হয়ত, আমি যেভাবে বুঝি কেউ সেভাবে বুঝল না, বা উনাদের পয়েন্টটা আমিই বুঝিনি। এমন অনেক কিছুই।
কিন্তু, নাস্তিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আমি ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার ধারণা ব্যাখ্যা করি। যেটা নিয়ে কারও সাথে বিতর্কে জড়াতে হয়নি তেমন।
গতির ব্যাখ্যা বিষয়ক জটিলতায় আমার দেয়া প্রশ্নের উত্তরগুলো পিছে পড়ে যায়। এটা নিয়ে কারও কোন কথা নাই। হয়ত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ঘটনা হল, মাত্রা ধারণা কিন্তু আমার না। এটা হকিং এর ব্যাখ্যায় ছিল।
ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম এ। যার থিওরী দিইয়ে ধর্মের কিছু বিষয় আমি ব্যাখ্যা করি, তাকে কিভাবে ঢালাও নাস্তিক বলা যায় ?
ইউটিউবে খুঁজলে এমন অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে, যেখান উনাকে আস্তিক বানিয়ে আবার নাস্তিক বানিইয়ে অনেক যুক্তি দেয়া হয়ছে।
তবে আমার ধারণা, উনি হলেন সংশয়বাদী। নাস্তিক বলতে যা বোঝায়, উনি তা নন। মানে, ঈশ্বরকে অবিশ্বাস।
তিনি সরাসরি ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করেন এমন কথা কোথাও বলেন নি। এমন কি, কোন লেখায় এই এঙ্গেল থেকে কিছু বলেন নি।
মজার ব্যাপার হল, উনার বিভিন্ন থিওরীতে মন হয়, ব্রম্মাণ্ডে ঈশ্বরের ভূমিকা নাই। সেখানে আবার তিনি নিজেই এমন কিছু দিক প্রকাশ করেন, সেই দিক থেকে ভাবলে ঈশ্বরের ভূমিকা যে আছে, সেটা বিশ্বাস করা যায়।
আবার এর উল্টাটাও উনার অনেক লেখায় আমি পড়েছি।
উনার অনেক থিওরীতে মনে হত, ব্রম্মাণ্ডে ইশ্বরের ভূমিকা আসামান্য। তখন আবার অনেক পয়েন্ট তিনি নিজেই দিতেন, যেটা পড়লে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে আবারও চিন্তা করতে হয়।
এই ব্যাক্তিকে কী ঢালাও ভাবে আস্তিক বলা যায়? নাকি নাস্তিক বলা যায়?
উনি গাণিতিক ভাবে দেখান, কেয়ামত হবার সম্ভাবনা(এটা মানে কিন্তু পৃথিবী ধ্বংস ন, বিশ্বব্রম্মাণ্ড ধ্বংস) ৪ ভাগের তিন ভাগ।
এটা আস্তিকতার লক্ষণ কি নাকি নাস্তিকতার ??? তিনি ধর্মের ব্যাপারে ভাবেন, হতেও পারে।
উনার একটা আলোচিত বক্তব্য ছিল।
তিনি বলেছেন, ঈশ্বর হয়ত থাকতেই পারেন, কিন্তু বিশ্বব্রম্মাণ্ড তৈরীর পরে তিনি এর উপর আর হস্তক্ষেপ করেন না।
স্টিফেন হকিং এর স্বপ্ন সর্বময়তার সূত্র আবিষ্কার করা। যার একাংশ তিনি প্রায় শেষ করে এনেছেন বলে শেষের বইটাতে অফটপিকে লিখেছিলেন। সেটা খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার কাছে। এটা এমন এক সূত্র যা দিয়ে বিশ্বের সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত হয়।
আমি এ ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে একটা পোস্ট লিখব।
নরাধম বলেছেন:
হকিং নাস্তিকও না, আস্তিকও না। সংশয়বাদী হতে পারেন। তবে তার কাজ এবং বই যে নাস্তিকতাকে চরম প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় সেটা অনস্বিকার্য। বার্কলে-তে দেওয়া তাঁর সর্বসাম্প্রতিক লেকচার দেখেন।
Click This Link
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
২. ১২ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫
জয় রায় বলেছেন: আপনার আগের পোষ্ট পড়ব, বিজ্ঞান বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার বা বোঝার আগ্রহ আছে, সমস্যা হলো ব্লগে বিজ্ঞানের লেখা গুলো নিরেট বিজ্ঞান থাকে না, কোনো না কোনো গোষ্ঠী এর মধ্যে সযতনে ধর্ম ঢুকিয়ে দেয়, তখন মূল টেকনিক্যাল বিষয় শেষ, লেখক ও অনেক সময় সচেতন ভাবে একাজটা করেন।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
৩. ১২ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫
সুফিয়ান ডট কম বলেছেন: উনি সংশয়বাদী.... আস্তিকও না আবার পুরোপুরি নাস্তিকও না।
এখন যে যেইভাবে কচলাতে পারে... যেহেতু উনি আস্তিক না সেহেতু নাস্তিক। আবার যেহেতু উনি নাস্তিকও না সেহেতু আস্তিক।
"কৃষ্ণগহ্ববর এবং শিশুমহাবিশ্ব" বইতেও পুরোটা জুড়েই সংশয়বাদের কথাও শোনা যায়......
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
৪. ১২ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১০:২২
আবু তাশফীন বলেছেন: সংশয়বাদী হওয়াটা অস্বাভাবিক না।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।