আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপদার্থের জ্ঞান: প্রথমেই নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর নিয়া নাড়াচাড়া- ১; অতএব দূরে সাবধানে থাকেন!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

কিছু বেসিক আগে শিখা নেই, পরে আবার কইবো সবাই এইডাত খালি টেকনিক্যাল পুলাপানের পুস্ট হইয়া গেলো! নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর হইলো এমুন একটা যন্ত্র যেইখানে চেইন রিএ্যাকশন ঘটানো হয় অতীব সতর্কতার সহিত যেমুন এইটা যেনো কন্ট্রোলের বাইরে না চইলা যায়, স্হির ভাবে কাজ করে এবং চাহিদামাফিক স্হির হারে চলতে থাকে। অনেকটা বলা যায় একটা নিউক্লিয়ার বোমার বিপরীত গুণ সম্পন্ন যন্ত্র (ভয় নাই)! এইটা সাধারণত ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার বানাইতে ব্যাবহার করা হয়। এইখানে কিছু জিনিস থাকে যেমন নিউক্লিয়ার ফুয়েল। নিউক্লিয়ার ফুয়েল: দুই খান প্রক্রিয়ায় চেন রিএ্যাকশন ঘটানো যায় যেইটা আমরা ইন্টারে পড়ছি।

একটা হইলো ফিশাইল আরেকটা হইলো ফিউশন। ফিশাইল প্রক্রিয়ায় অক্সাইড ফুয়েল, মেটাল ফুয়েল, কেমিক্যাল ফুয়েল, লিকুইড ফুয়েল ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয় যার মধ্যে ইউরেনিয়াল থাকবোই আর অনয়ান্য যেইসব যৌগমূলক বা রেডিক্যাল থাকবে ওগুলান মূলত এর থার্মাল কন্ডাক্টিভিটি আর মেল্টিং পয়েন্ট কেমন হবে সেগুলো এ্যডজাস্ট করে মাত্র। এখানে ইউরেনিয়ামকে সরাসরি ব্যাবহার করা হয়। আর ফিউশনে সাধারনত প্লুটোনিয়াম বেশী ব্যাবহার করা হয়! নিউক্লয়ার মডারেটর: তা আমরা সবাই জানি চেইন রিএ্যাকশন একবার শুরু হইয়া গেলে সেইটারে থামানি চারটি খানি কথা না, কারন নিউট্রিনো যখনই ইউরেনিয়াম-২৩৫ নিউক্লিয়াসরে গুতানী মারবো তখনি আরও দুইটা নিউট্রিনো বাইর হইবো যারা আরো দুইটারে গুতাইবো। এই নিউট্রিনো যদি কন্ট্রোল না করন যায় তাইলে সাড়ে সর্বনাশ।

এগুলানরে কন্ট্রোল করার জন্য নিউক্লিয়ার মডারেটর যেগুলান মূলত গ্রাফাইট রড, বেরিলিয়াম, ভারী পানি ব্যাবহার করা হয়। সো এইডা নিয়াও চিন্তা কইরেন না! নিউক্লিয়ার পয়জন: এইডা হইলো বড় মাত্রার নিউট্রন খাওনের বিষ। মানে চেইন রিএ্যাকশনে যদি দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমানে নিউট্রিনো ঘুরাঘুরি করতাছে তাইলে এই বিষ ঢাললে লগে লগে মাথা ঠান্ডা! যেমন জেনন-১৩৫, সামারিয়াম-১৪৯ ইত্যাদি। কুলেন্ট: এইডা হইলো রিএ্যাকটর গরম হইয়া গেলে এইডাত দিয়া ঠান্ডা করন লাগে। অবশ্য কথায় না কইলে আপনেগো কোনো ধারনাই নাই একটা রিএ্যাক্টর কেমুন গরম হইবার পারে।

হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, সালফার হেক্সাফ্লোরাইড ইত্যাদি ঠান্ডা করানোর নামে ওস্তাদ! উপ্রে তো হেভী ওয়াটারের নাম তো শুনলেনই! দুনিয়ার বেশীর ভাগ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টই কিন্তু থার্মাল রিএ্যাক্টর। ৫৫০ ফারেনহাইটে একটা নিউট্রিনোর গতি হয় ৩৭০০ মিটার পার সেকেন্ড- আলোর গতির চেয়ে মেলা কম! খুটি নাটি বলা শেষ এইবার আসেন আমরা দুনিয়ার তাবৎ নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর গুলান কয় রকমের হয় সেগুলানরে চিনি। ১) প্রেসারাইজড ওয়াটার রিএ্যাক্টর: বাংলা করলে চাপাচাপিতে পানির রিএ্যাক্টর। নাম শুইনা বুঝতাছেন এর কামডা কি! পানিরে উচ্চ চাপে রাইখা গরম করাও তারপর এরে হিট এক্সচেন্জারের ভিতর দিয়া ঘুরাইয়া আইনা স্টিম বানাও যেইটা দিয়া জেনারেটর ঘুরানো হইবো। আর জেনারেটর ঘুরাইলেই তো বিদ্যুৎ আইবো! এই রিএ্যাক্টরে পানি দিয়া দুইটা কাজ করানো হয় একটা হলো স্টিম বানানোর কাজে আরেকটা হইলো কুলেন্ট এর কাজে।

এইখানে ফুয়েল হিসাবে ইউরেনিয়াম অক্সাইডের সিরামিকের রড গুলানরে জিরকালয় টিউবে নিয়া বান্ডিল আকারে বানানো হয়। একটা বান্ডিলে ১৭৯-২৬৪ টা রড থাকে আর এরকম প্রায় ১২১ থিকা ১৯৩ টা বান্ডিল ব্যাবহার করা হয়! সাধারনত ফুয়েল বান্ডিল গুলানে ১৪x১৪ বা ১৭x১৭ ফুয়েল রড ব্যাবহার করা হয়। ২) বয়েলিং ওয়াটার রিএ্যাক্টর: এইটার মানে হইলো ফুটন্ত পানির রিএ্যাক্টর। সবকিছু প্রেসারাইজড ওয়াটার রিএ্যাক্টরের মতোই তবে এইখানে প্রত্যেকটা বান্ডিল পাতলা টিউবের ভিতর ভইরা তারপর ক্যানের মতো কইরা ব্যাব হার করা হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বান্ডেলে ৯১, ৯২, ৯৬ টা রড লাগানো থাকে।

প্রত্যেকটা ফুয়েল রডের পিছনে ৩০০kPa প্রেসারে হিলিয়াম ভরা থাকে। বাকী সব কাজ আগেরটার মতোই। চলবো.....

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।