এডিট করুন
জীবনের লক্ষ্য-৩
জীবনের লক্ষ্য-২
জীবনের লক্ষ্য-১
ক্লাস ফোরের ফাইনাল পরীক্ষায় ৪র্থ হলাম। রেজাল্ট আগের থেকেও খারাপ হল। লতা যথারীতি প্রথম হল। এই মেয়েটা আমাদের সাথে ক্লাস টুতে ভর্তি হয়েছিল। টু-এর ফাইনাল পরীক্ষায় সে ৬ষ্ঠ বা ৭ম হয়েছিল।
সেই রেজাল্টের দিন তার মা অন্যান্য অভিবাবককে বলেছিলেন আমার মেয়ে পরেরবার থেকে ১ম হবে। আসলেই সে এর পর থেকে ১ম হত। ঐদিকে লতার ক্রমাগত ১ম হওয়া দেখে অভিবাবকরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তারা নিজেদের সন্তানের খাতা আর চামে চামে কিভাবে যেন লতার খাতা দেখে ফেলেন। এমনকি লতা আমাদের স্কুলের এক টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ে টাও জানি কিভাবে বের করে ফেলেন।
আমাদের স্কুলের টীচারদের কেঊ প্রাইভেট পড়াত না। বেশীরভাগ টীচার ছিলেন মহিলা(৯৯%)। এখনো ফরিদা আপার কথা মনে পড়ে। একবার বছরের শেষ ক্লাসের দিন উনি আমাদের সবার জন্য লজেন্স কিনে আনলেন। সবাইকে লজেন্সটা দেবার পর বলেছিলেন লজেন্সটা সবাই খাও তারপর আমি তোমাদের একটা গল্প বলব।
উনার আরেক ক্লাসের এক ছাত্র যে কিনা গতবছর স্কুল ছেড়ে গিয়েছিল তার সাথে কিছুদিন আগে রাস্তায় দেখা হয়েছিল। ছেলেটা নাকি তার লজেন্সটা না খেয়ে একটা বয়ামে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে জামা রেখেছে। এই আপা আমাদের কখনই মারতেন না। আমরা ঠিক করলাম লজেন্স না রাখতে পারলেও লজেন্সের প্যাকেটটা রেখে দিব। আজকে লিখতে বসে আপার মুখ মনে পড়ছে।
আপা আমাদের সাথে অনেক গল্প করতেন। আপার বড় দুই ভাই ছিল। তারা আপাকে অনেক আদর করত। আপা তাদের কাছে ছোটবেলায় গল্প শুনতে চাইলে তারা বলত, " এক দেশে ছিল এক রাজা। সে একদিন বিরাট এক জাহাজে করে বের হল পাশের রাজ্যে যাওয়ার জন্য।
জাহাজ চলছে তো চলছে। " আপা বলতেন তারপর? উনারা বলতেন জাহাজ এখনো চলছে। আগে রাজা পাশের রাজ্যে যেয়ে পৌছাক তারপর গল্পের বাকী অংশ। তাদের রাজার সেই চলা আজো শেষ হয় নি। আজ লিখতে বসে আপার কথা মনে পড়ল।
তা ক্লাস ফোরের রেজাল্টের পর মা বললেন আমাকে আর এই স্কুলে পড়াবেন না। এই স্কুলে আমার রেজাল্ট ছিল অদ্ভুত। আমি টুতে ২য়, থ্রীতে ৩য় আর ফোরে হলাম ৪র্থ। শিক্ষকরা নাকি পক্ষপাত করছে। তিনি আমাকে ৫ম শ্রেনীতে ভর্তি করিয়ে দিলেন এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম স্কুল যেটার কথা আগে বলেছি। তবে স্কুলটা এখন সরকারী হয়ে গেছে। স্কুলের মালিক তার জমিটা আর স্কুল বিল্ডিংটা দান করে দিয়েছেন। "পারশ আলী কিন্ডার গার্ডেন থেকে এখন এটা "পারিজাত কোনাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়"। আমি মহা আনন্দিত।
কারন আমার এই কিন্ডারগার্ডেনে জীবনের বন্দী জীবনগুলো কেটেছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের চরমহস্তে ভদ্র রাখা হত। ক্লাসে কেউ কোন দুষ্টামী করলে সাথে সাথে টিচারদের অফিসে বিচার চলে যেত। ছাত্র ছাত্রীরা ছিল পরম প্রতিহিংসাপরায়ণ। এমনকি আপনি "ক" কে একটা গালি দিলেন।
"খ" কে কিছুই বলেননি। কিন্তু "খ" যেয়ে অফিসে বিচার দিয়ে আসল। টিচার এসে জিজ্ঞাসা করতেন," আশরাফুল কি গালি দিয়েছে?" সবাই ভয়ে বলত হ্যা। সাথে সাথে হাত পাত এবং মার খাও। মাঝে মাঝে মা বা বাবা স্কুলে আসতেন ছুটির পর নিয়ে যেতে এবং আমার ক্লাসের কাছে ঘুরতে যেয়ে দেখতেন শেষ ধর্ম ক্লাসে আমি কান ধরে বেঞ্চির উপর দাঁড়িয়ে আছি।
আমার লজ্জা লাগত না। কানে ধরে দাড়াতেও আমার কোন সমস্যা নাই। সমস্যা হল বাসায় যেয়ে আরেকদফা মার খেতে হল এই জন্য যে কেন আমি কানে ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম, কেন পড়া শিখি নাই। আমি মুক্তি চাইছিলাম। মুক্তি পেলাম।
সত্যিকার অর্থেই আমি মুক্তি পেলাম। আরেকবার আমি বন্দি হয়েছিলাম দুই বছরের জন্য। তার কথা পরে আসবে।
আমি ভর্তি হলাম প্রাথমিকে। এখানে পুরোপুরি ভিন্ন পরিবেশ।
অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী পড়ালেখায় ভাল না। শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নেন না। দরকার হলে ক্লাস ফাকি দিয়ে স্কুল পালানো যায় যা কিনা আমার জীবনে ছিল অসম্ভব এক কাজ কিন্তু এই প্রাথমিকটায় তা সম্ভব। স্কুলে যেতে শুরু করার পর দ্বিতীয় দিনের মাথায় আমি মইনুলের হাতে এক বিরাট চড় খেলাম। আগে আমার ধারনা ছিল না যে একটা স্কুলের ভেতর এমন গন্ডগোল সবসময় চলতে পারে।
কিন্ডারগার্ডেনের নিয়ম অনুযায়ী আমি বিচার নিয়ে গেলাম হেড স্যারের কাছে। স্যার বললেন আমি আসতেছি তুই যা। স্যারেরা এখানে তুই তুই করে বলেন। উনি আজ পর্যন্ত আসেননি। আমি সপ্তাখানেকের মধ্যে ভাব বুঝে গেলাম।
স্কুলটাকে ছাত্ররা একটা রণক্ষেত্র বানিয়ে রাখত সবসময়। এত বিচার করলে স্যারেরা ক্লাস করাতে পারবেন না আর। তাই উনারা কোন বিচার করতে না। আর ছাত্চছাত্রীরাও বিচার দিত না। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে এই রণক্ষেত্রে যোগ দিলাম।
একদিন মইনুলের সাথে বেশ মারামারি হল। আমি জিততে না পারলেও ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল আর আমার দাতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ছিল। বুঝলাম হারলেও খুব একটা খারাপ না আমি শিক্ষানবিশ হিসাবে। ক্লাসের সবচেয়ে বদ ছিল রেজাউল। আমরা বাংলা ছবি দেখতাম।
তাই মারামারিটা বাংলা ছবির নায়কের মতই হত। দন্দযুদ্ধ বা ডুয়েল আমি ক্লাস ফাইভ থেকেই করি। সরাসরি একজন আরেকজনকে হুমকি দিতাম, মারামারিতে আহবান করতাম। মারামারির সময় প্রায়ই শার্ট খুলে নিতাম। কারনে মাটিতে গড়াগড়ির ফলে সাদা সার্টের বারটা বাজলে বাসায় মা আমার বারটা বাজাবে।
একদিন রেজাউল আমাকে হুমকি দিল মানে মারামারিতে আহবান জানালো। ওর প্রিয় নায়ক ছিল মান্না। মান্নার স্টাইলে "ঐ আশ্রাফুইল্লা সাহস থাকলে সামনে এসে দাড়া............" বলে যুদ্ধে নিমন্ত্রন করল। আমি গ্রহন করলাম সে নিমন্ত্রন। তৎক্ষনাৎ ফাইট শুরু হল।
রেজাউলকে হারালাম। এরপর সবাই আমাকে বেশ সমীহ করে চলত। কিন্তু একদিন ক্লাস ফোরের এক ছেলের কাছে হারলাম। আমার চোখে এমন এক ঘুসি মারল চোখ লাল হয়ে উঠল। তবুও থেমে থাকিনি।
আমার সাথে যারা পড়ত তারা প্রত্যেকেই আমার থেকে ৩ হতে ৭ বছরের বড় ছিল। আমাদের ক্লাসের ফার্ষ্ট বয় ছিল কবির। সে আমাদের সাথে পড়লেও তাকে অনেকেই নাম ধরে না ডেকে কবির ভাই বলে ডাকত। কারন সে একসময় উপরের ক্লাসে পড়ত। দুই বছর ধরে এক ক্লাসে পড়ার পর তৃতীয় বছর ১ম হয়ে সে পরবর্তী ক্লাসে উঠেছিল।
স্যার নাকি সবাইকে বলেছেন ওকে কবির ভাই বলে ডাকতে। কারন সে আমাদের থেকে বয়সে বড়। স্যার তুচ্ছার্থে নয় বরং তার প্রতি সম্মানার্থেই তাকে নামের শেষে ভাই বলে ডাকতে বলেছেন। কেউ কাউ নামের শেষে ভাই ডাকত কেউ কাউ ডাকত না। আমি ডাকতাম না।
তা সে নিয়মিত পড়াশুনা করত। আমি যথারীতি ঘুরে বেড়াতাম। এই স্কুলে এসে আমি নতুন একটি জিনিস আবিষ্কার করলাম তা হল ইংরেজীতে এরা খুব দূর্বল। সত্যি কথা বলতে কি আমি আমার কিন্ডারগার্ডেনের ক্লাস ফোরের ইংরেজী জ্ঞান দিয়ে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত চালিয়েছি। ইংরেজী পরীক্ষার আগের রাত ছাড়া পড়তাম না।
তবুও হাইষ্ট নাম্বার পেতাম। ক্লাস এইটে উঠে ইংরেজী পড়া একেবারেই ছেড়ে দেই এক বিশেষ কারনে। এরপর ক্লাস টেনের প্রিটেষ্টের আগে আবার শুরু করি। সে কথা পরে আসবে। এখনকার কথা বলি।
কবির খুব ভাল ছাত্র ছিল এবং প্রচন্ড পড়াশোনা করত। তার সখ ছিল বাংলা ছবি দেখা। সে বাংলা ছিনেমার গান খুব ভাল গাইত। মাসের শেষ বৃহস্পতিবার আমাদের স্কুলের ক্লাস ফাইভের ছাত্রদের নিয়ে স্যাররা আসর বসাতেন। সেখানে সে পাচ ছয়টা গান গেত।
আমরা চরম আনন্দ লাভ করতাম। আমার জীবনের সেরা সময় খুব নেই। তবে ক্লাস ফাইভের এই বছরটি ছিল আমার জীবনের সেরা সময়ের একটি অংশ। স্কুল ছুটির পর কামরুল রেজাউল এদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। আমাদের এলাকা দিয়ে তুরাগ নদীর একাংশ বয়ে গেছে।
তা ফলে সৃষ্টি হয়েছে এক বিরাট বিল। বিলের একংশের পানি নেমে গেলে ধানের চাষ হয়। সারা বিল আমরা তিনজন চষে বেড়াই। জোকে ধরত প্রায়ই। একবার কামরুলের পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ফাকে একটা জোক তার অর্ধেক শরীর ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
জোকটাকে চামড়ার গোড়া থেকে নখ দিয়ে কেটে ফেলার পর ভিতরে ঢুকে যাওয়া অংশ বের হয়ে এসেছিল। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি আর মার খাই। বৃত্তি পরীক্ষা দেব। বাবা আমার উপর প্রচন্ড নজর রাখছেন। ছয়টা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত পড়ি।
রাস্তার পাশে রফিক ভাইয়ের চায়ের দোকান। বাবা রফিককে বলে দিয়েছেন আমাকে বাকীতে চা খাওয়াতে। আমি চার সাথে বাকীতে কেকও খাই। রফিকভাই কিছু বলেন না। এই কবির ছিল চরম কুটিল প্রকৃতির।
কে কি পড়ছে সে তার খোজ নিত। স্কুলের মুকুল আপার কাছে প্রাইভেট পড়ত আর আমাদের বলত আমি প্রাইভেট পড়ি না। ধরা খাওয়ার পর কিছুই বলে না। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মত অবস্থা। তার সাথে শেষ পর্যন্ত আমি পেরে উঠি নাই।
সে ফাইভের প্রতিটা পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার সাথে সাথে বৃত্তিটাও পেয়েছিল। এই ছেলে তখনি ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় রাত দুটা পর্যন্ত পড়ত। যে ছেলে দিনে ১৬/১৭ ঘন্টা পড়ে তার সাথে কে পারবে? আমার পক্ষে অন্তত সম্ভব না। শেরে বাংলা হলে কিছু একটা করা যেত। তা এই প্রাইমারীতে আমরা সারা সময়ই দুষ্টামীর মধ্যে থাকতাম।
বাংলা ছিনেমার ধর্ষন দৃশ্য (মা বোনেরা মাফ করবেন, কাহিনীর খাতিরে বলতে বাধ্য হচ্ছি) পর্যন্ত আমরা চিত্রায়িত করতাম কোন দূর্বল ছেলের উপর। সত্যি সত্যি কিছু করতাম না, শুধু একটু অভিনয় করতাম। মেয়েরা আলাদা বেঞ্চে বসত। তাদের সাথে ছেলেদের খুব একটা সম্পর্ক ছিল না। আমরা কিন্ডারগার্ডেনে ছেলেমেয়েরা এক বেঞ্চেই বসতাম।
মাঝে মাঝে স্কুল ছুটির পর লতা, সুমি আমার সাথে আমাদের বাসায় যেত খেলতে। আমরা একসাথে খেলতাম। আমার মা বা বাবা তাদের পাউরুটিতে জেলি মেখে খেতে দিত। ওরা খুব মজা করে খেত। কোনদিন কোন সমস্যা হয় নি।
মেয়েরা যে আলাদা কিছু তা কোনদিন অনুভব করিনি। এই প্রথম বুঝলাম তারা আলাদা কোন বিশেষ এক জাতি। তাদের সাথে সহজে মেশা যায় না। কিছুটা হতাশ হলাম। আপনার বন্ধুদের পরিধি যদি হঠাৎ করে অর্ধেকে নেমে যায় তাহলে আপনি হতাশ হতে বাধ্য।
তা আমাদের উপর বাংলা ছিনেমার নায়কের প্রভাব ছিল বিস্তর। রুবেলের কোন ছবি মরে গেলেও দেখা বাদ দিতাম না। কারন ওখান থেকে মারপিটের বেশ কিছু কৌশল শিখতাম। ধীরে ধীরে আমি অনুভব করতে থাকি আমি একজন রুবেলের মত দক্ষ মার্শাল আর্টে পারদর্শী হয়ে উঠছি। ক্লাসের " " রোল নাম্বারের মেয়েটার প্রতি আমি সালমান শাহের মতই **** অনুভব করছি।
**** স্যার আর ***** আপার একসাথে টিফিনের সময় বসে গল্প করার মধ্যে চরম "মধুর মিলন" ছিনেমা দেখতে পারছি। এক বন্ধুকে আমরা আরেক বন্ধু "নায়ক নায়ক ভাব নায়িকার অভাব" বলে খেপাই। রাস্তার পাশের ফুটপাতের হকারের দোকানে ছিনেমার পোষ্টারে নায়ক নায়িকার ছবি দেখি প্রায়ই কিন্তু কিনতে পারি না। আমার বাবা আমাকে জীবনে হাত খরচ বলে কিছু দিত না। দিলে আমি ঐ পোষ্টার কিনে এনে আমার ঘরে ঝুলাতাম।
আমি বুঝতে পারি ঐ আলমগীর, রাজ্জাক, ওমরসানী, নাঈম, অমিত হাসান, সালমান শাহ (এই লোক এখনো আমার প্রিয় নায়ক) হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে আর মার খাবার আতঙ্কে বাস্তবের নায়িকা জোগাড় করতে পারি না। ভাবলাম এই দিন দিন না আরও দিন আছে। আমি বড় হয়ে বাংলা ছিনেমার নায়কই হব। ডিসের লাইন তখন সহজলভ্য ছিল না।
দুই একবার হিন্দি চ্যানেল দেখেছিলাম খালাদের বাসায় কিন্তু এক মিনিটের বেশী সহ্য হয়নি। আর আমি বড়ই লজ্জা পেয়েছিলাম। এই বড় বড় মেয়েগুলি কিভাবে পেট বের করে নাচে ( মা বোনেরা মাফ করবেন)! আজও আমি হিন্দি বুঝি না। আমার জীবনে আমি হিন্দি ছবি দেখেছি সর্বমোট সাড়ে এগারটা। অর্ধেক দেখেছিলাম আলবেলা ছবিটা স্কুল পালিয়ে সাহেদদের বাসায় যেয়ে।
এখন অবশ্য লজ্জা নাই কিন্তু দেখতে ভাল লাগে না। কয়েকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারি নাই।
চলবে...........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।