কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
স্বার্থপরতার মতো মানূষের ভোগবিলাসের বলি হচ্ছে গাছ। প্রতিদিন মানূষ গাছ কাটছে। কখনো ব্যাক্তি কখনো প্রতিষ্ঠান কখনো বনবিভাগ। তার প্রয়োজনে গাছ কাটছে। হাজারে হাজারে স-মিল গড়ে উঠেছে একেকটি বনাঞ্চলকে কেন্দ্র করে।
তার অনুমতি সরকার কর্তৃক দেয়া হয়। প্রায় সব জেলা এবং উপজেলা সদরে যত টাকা পয়সা ওয়ালা রাঘব বোয়ালদের দেখা মিলে তার বেশীর ভাগই সরকারের ক্রয় বিক্রয় বাণিজ্যের সাথে জড়িত। এবং গাছ কাঠ ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্ত। এতো উচ্চ মূল্যের কাঠ সরবরাহ করার পর্ও দেখা যায় ফার্নিচার ব্যাবসায় প্রচুর লাভ থাকে। কি করে সম্ভব।
এতো প্লাষ্টিক সামগ্রীর সাথে পাল্লা দিয়ে অটোবি বা নাভানার মতো ফার্নিচারের দোকান গড়ে উঠার পর্ও এই কাঠের ফার্নিচারের ক্রেতা কমেনি। বরং চাহিদা এবং সরবরাহ দুই বেড়েছে।
যা যা করণীয় ,সরকারের ক্রয়-বিক্রয় বাণিজ্যে কাঠের ফার্নিচার সরকার কর্তৃক না কিনে এই খাতকে উৎসাহ না দেয়া। এই ক্রয় নীতিমালায় হালকা বোর্ডের অটোবী অথবা নাভানার অন্য কোন কোম্পানীকে সূযোগ দেয়া। সরকারের বিক্রয় বানিজ্যে বন-বিভাগ কর্তৃক কোন কর্তনকৃত গাছের নিলাম না ডাকা।
কারন তার সাথেই গাছ কাটা এবং চুরির সম্পর্ক। কোন স-মিলের অনুমতি না দেয়া। এবং পর্যায়ক্রমে স-মিল বন্ধ করা বা সরকারের দখলে নিয়ে যাওয়া। যাদের অধীনে স-মিল আছে বিক্রয় করতে চাইলে সরকার তা কিনে নিতে পারে।
গাছ পরিবহন, গাছ কাটা ,সরকারের বন বিভাগের গাছ বিক্রয় নিলাম বন্ধ করা।
এমন কি কাঠের ফার্নিচারের দোকান বন্ধ করে দেয়া।
যদি এই সব কঠিন সিদ্ধান্ত সরকার আগামী ১৫ বছরের জন্য গ্রহন করতে পারে তাহলে দেশের ২৫%ভূমি বনায়ন করা সম্ভব।
গাছ চোরদের ভয়ে অনেক সাধারন গরীব মেহনতি মানূষ বৃক্ষরোপনে আগ্রহ প্রকাশ করে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।