মুহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন
বর্ষা।
আমার চেয়ে এক বছরের ছোট। স্কুল পর্যন্তই লেখাপড়া।
মাধ্যমিক পুরোটা শেষ করতে পারেনি। এক সময় বর্ষার বাবা বর্ষার অমতে বিয়ে দিয়ে দেয়।
বলা চলে বাল্য বিবাহ। কাছের কয়েক জন বাবাকে নিষেধ করেছিল। কিন্তু বাবা কিছুতেই সে বাধা মানেন নি।
দু বছর পর।
বর্ষার কোলে আসে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান।
কন্যা সন্তানই বর্ষার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। সমাজের, পরিবারের সদস্যরা বর্ষাকে ঘৃণা করে। একচোখে দেখতে শুরু করে।
বর্ষা ক্রমাগত সব বঞ্চনা সহ্য করতে থাকে একটু সুখের আশায়। মুখ বুঝে সব কিছুই মাথা পেতে নেয়।
কিন্তু সব কিছুরই তো সীমা থাকে?
বর্ষার কাছে সীমা কতদূর ছিল তা কাউকে বোঝাতে পারবে না। আর বোঝানোর চেষ্টা করে নি বর্ষা। কে দেখবে দু:খ, কে শুনবে কষ্টের কথা!
বর্ষা ঠিকই একদিন সব কষ্ট ঘোচাতে চেষ্টা করল।
পৃথিবীর সব মায়া বর্ষার কাছে তুচ্চ মনে হল। নিজের সন্তানকে সব আদর থেকে বঞ্চিত করে বর্ষা অনেক দূরে চলে গেল।
বর্ষা আর ফিরল না।
বর্ষার জন্য কেঁদে উঠে সন্তানটি।
কিন্তু কান্না বর্ষার কানে গিয়ে পৌছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।