আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিউশনি’র গল্প...১



স্টুডেন্ট লাইফে কমবেশি সবাই মনে হয় টিউশনি করি আমরা। ঢাকার বাইরে থেকে পড়াশোনা করতে আসা অনেক ছেলে, মেয়ে’রা একটু স্বাচ্ছন্দে চলার জন্য আবার কেউবা পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য টিউশনি করে থাকে। আমি সেই ছোটবেলা (!) থেকাই টিউশনি করি, মানে হচ্ছে ইন্টারমিডিয়েট থেকে। টিউশনির ঘটনা এটি... ২০০২-০৪ পর্যন্ত পড়াতাম দুই ভাইবোন শমী আর শম্পাকে। যেদিনের কথা বলছি শমী কোন কারনে পড়তে আসেনি, শম্পা একাই পড়ছিল।

যে জায়গায় বসে পড়াতাম তার সামনেই ছিল একটা জানালা আর জানালা দিয়ে বাড়ীর বাইরের দেওয়াল দেখা যেত। শম্পা সম্ভবত অঙ্ক করছিল তখন। হঠাৎ করেই শম্পা ছোটখাট একটা চিৎকার করে ধরমড় করে চেয়ার থেকে উঠে দাড়াল। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ক্লাস নাইন’এ পড়া একটা মেয়ে এমনভাবে চিৎকার করল কেন? ওর চিৎকার শুনেই আন্টি মানে শম্পার মা আর শমী রুমে উপস্থিত হল। উনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে একবার আমার দিকে আরেকবার শম্পার দিকে তাকাতে থাকলেন।

কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করাতে শম্পা যা বলল তা শুনে আমি হাসব না কাশব তা বুঝতে পারলাম না। ও বলল, একটা কাল বিড়াল নাকি দেওয়াল থেকে লাফ দিয়ে ওদের জানালার উপরে পড়েছিল... এবং এই জন্য সে ভয় পেয়েছে। আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম যাক বাবা ঘটনার সাথে আমি জড়িত না... ও মা, শমী তখন জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা বিড়ালটা আমার বালিশটা চাঁটা দেয় নাইতো?” ঘটনাটা ছোট্ট কিন্তু মনে পড়লে এখনও আমার হাসি লাগে... ওদের দুজনের এই শিশুসুলভ আচরনের জন্য। টিউশনির গল্প...২

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।