এরশাদের আমলের ঘটনা। স্বৈরাচার বিরোধী এক স্বাধীনচেতা সাহসী লোক রাস্তায় নেমে চিৎকার করে বলেছে যে, লে.জে হু.মু এরশাদ একটা চরিত্রহীন, লম্পট, গাধা, হাবা, ঘিলু বিহীন লোক..... ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আদালতে পাঠিয়েছে। বিচার-আচারের পর রায় হয়েছে যে ভদ্রলোকের ১৪ বছর তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড হবে। এর মধ্যে তিন মাস হলে রাষ্ট্রপ্রধানের নামে কুৎসা রটানোর দায়ে আর চৌদ্দ বছর হলো "রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করার দায়ে"।
২. এবারও লেজে হুমু। এরশাদ একবার সাংবাদিকদের বললো, "জাতীয় সংসদের সকল সংসদ সদস্য নাকি জীবনে দুইবার একমত হয়েছিলেন। "
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করল, "কোন দুইবার?"
এরশাদ বললো," এক হলো প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তে আর আরেকবার হলো সকল সংসদ সদস্যদের জন্য "সেগুন কাঠের ফার্নিচার কেনার" সিদ্ধান্তে। "
৩. কোন একটি রাজনৈতিক দলের এক প্রার্থী জীবনে বেশ কয়েকবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। তো দাঁড়ানোর সময় একেকবার তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে শিক্ষাগত যোগ্যতার একেক তথ্য দিয়েছেন।
একবার বলেছেন, স্নাতক পাশ। আরেকবার হয়তো বলেছেন, উচ্চতর ডিগ্রিধারী, আরেকবার দিয়েছেন ম্যাট্রিক পাশ। সবশেষে দিয়েছিলেন স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন।
শেষ বয়সে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার পর এক সাংবাদিকের কাছে বিশেষ এক সাক্ষাতকার দেয়ার সময় সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, "স্যার আপনি তো অভিজ্ঞ একজন রাজনীতিবিদ। নির্বাচনে দাঁড়ানোর সময়ে আপনি একেকবার শিক্ষাগত যোগ্যতা একেকটা দিতেন কেন? আসলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?"
প্রবীণ রাজনীতিবিদ জবাব দিলেন, " শোন বাবা, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।
নেত্রীর ইচ্ছায় প্রতিবার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা আপগ্রেড করেছি। দেশে যখন প্রাইমারি শিক্ষা বাধ্যতামূলক হল তখন দিলাম ফাইভ পাস। যেবার মাধ্যমিক শিক্ষা ফ্রী হল সেবার দিলাম ম্যাট্রিক পাশ। আর যখন ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হলো তখন দিলাম স্নাতক। আমরা আসলে কখনও স্থির থাকি না, জোয়ার যেদিকে যায় সেদিকেই যাই।
প্রকৃতপক্ষে আমি পিএইচডি ডিগ্রির অধিকারী। "
জানা যায় যে বছর সাক্ষাতকারটি নেয়া হয় সে বছর পিএইচডি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।