আপনি জানেন কি, আমাদের মাস্টার্স পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করতে বাংলাদেশের জনগন ও সরকারের কত খরচ হয়? কথাটা শুনে একটু আশ্চর্য হবেন। জনগন আবার কি করে আমাদের পিছনে টাকা খরচ করে। তবে শোনেন বলছি- মাস্টার্স পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করতে আমাদের পিছনে প্রায় কোটি টাকার মত খরচ হয়। সেটা কিভাবে সম্ভব তাই ভাবছেন! হে বলছি, আমরা পাড়ালেখায় থাকাবস্থায় নামমাত্র ফি দিয়ে প্রাইমারী থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত লেখাপড়া করি। একটু ভেবে দেখেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থেকে শুর করে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তা কর্মচারী সহ মন্ত্রনালয়, এমপি-মন্ত্রি এবং তৎসংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান পর্যালোচনা ও পরিচালনা করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হয়।
আর এ খরচের পিছনে উদ্দেশ্য হল দেশের মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। এবার একটু ভাবুন এ টাকা কোথা থেকে আসে। এ টাকা আসে সরকারের আয়ের যে খাতগুলো আসে সেখান থেকে, এখানে রিকসা চালক থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরের জনগনের কর বা খাজনা, বিভিন্ন অনুদান ইত্যাদি হল আয়ের উৎস। যখন একজন রিকসা চালক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোক টেক্স দেয় এবং আশাকরে সরকার এ আয় মহৎ কোন কাজে ব্যয় করবেন, তারমধ্যে একটি হল শিক্ষা। অর্থাৎ সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষও আমাদের পাড়াশোনার খরচ বহন করে।
তারা চায় আমরা লেখাপড়া করে, শিক্ষিত হয়ে দেশ দশের সেবা করব। তাদের দুঃখ গোচাব। জাতিকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাড়াতে সাহায্য করব। আমাদের দ্বারা জাতির কোন অমঙ্গল হবেনা। কিন্তু আপনি অধিকাংশ শিক্ষিত লোককে জিজ্ঞাসা করে দেখুন তাদের জীনের উদ্দেশ্য কি, তারা বলবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার সহ বড় বড় অফিসার, বেতন মোটামুটি ১৫,০০০-২০ বা ৩০,০০০ হাজার টাকা হলেই হবে।
তারা এটা বলবে না যে শিক্ষিত হয়ে আমি দেশ ও জাতির সেবা করব। আমি আমার বুদ্ধীমত্তা দিয়ে অনেক কিছু করব। আসলে আমরা সবাই স্বার্থপর, আমরা শুধু নিজেদেরকে নিয়েই ভাবি। অথচ নসই রিক্সা ওয়ালা যে আমাদের সুন্দর জবিনের অপেক্ষায় আছে, সেই দিনমজুর যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টকরে ফসল ফলিয়েছে আর সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেছে হে খোদা! তুমি আমাদের সন্তানদেরকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোল তাদের কথাকি আমরা একবারো ভেবেছি। একটু ভেবে দেখুনতো, তাদের পানি করা রক্তের দাম কোনদিন শোধ করতে পারব কি না।
তাই সকলের কাছে অনুরোধ, আসুন সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য থাকবে সকল মানুষের সহযোগিতা করা, দিন দুখীদের মনে হাসি ফোটানো। তার মানে এই নয় যে, আমরা বড় কিছু হতে পারবনা,. বরং কথা হচ্ছে আমরা অনেক বড় হব এবং সকলের মুখে হাসি ফোটাব। আমরা সবাই মিলে আমাদের এ দেশকে ফুল-ফসলে ভরিয়ে তুলব, দেশের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখব। সুখী ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজ এ পর্যন্তই শেষ করলাম।
আপনাদের মতামত ব্যক্ত করুনbr /> সম্রাট:- ০১৯২৫২৬৬২৬৬
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।