যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও এর বিরোধীতাকারীদের দেখে অবাক লাগে। এত পরস্পরবিরোধীতা এদের আচরণে, স্বাধীনতা প্রশ্নে। যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বের সহানুভূতি কামণা করে তারাই আবার অন্যের স্বাধীণতা হরণের জন্যও বিশ্বের সহানুভূতি প্রত্যাশা করে। সিংহলী এবং ভারতীয়রা মনে করে তামিলদের আলাদা রাষ্ট্রের দরকার নেই। যেমন মনে করে কাষ্মীরের ক্ষেত্রে, আসামের ক্ষেত্রে।
চীন মনে করে তিব্বতের স্বাধীনতা দরকার নেই। চেচনিয়াকে স্বীকার করে না রাশিয়া। প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হতে দেয় না ইজরায়েল। খুঁজলে এমন পঞ্চাশটা জাতি পাওয়া যাবে যাদের স্বাধীণতা সংগ্রাম চলছে নিজস্ব ভূখন্ডের জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য। অথচ তাদের যারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে তাদেরও রয়েছে স্বাধীণতা সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস।
দেখা যাচ্ছে বৃহৎ জাতি যারা স্বাধীন ও ক্ষমতার তখতে, তারা অস্বীকার করছে ক্ষুদ্র জাতির স্বাধীনতাকে। তার মানে শক্তিহীনতাই পরাধীনতার প্রধান কারণ। আজকের স্বাধীণ রাষ্ট্রকে শক্তি প্রদর্শন করেই স্বাধীন হতে হয়েছে এবং তাদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই অন্তস্থ স্বাধীণতার উন্মেষকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মায় স্বাধীনতার হুমকি রূপে চিন্থিত করে নির্মূল করতে হচ্ছে। তামিলদের স্বাধীন হতে হবে তাদের আগ্রহ ও শক্তিতেই। যুগে যুগে স্বাধীণতাকামীদের তাই করতে হয়েছে।
তামিলদের আলাদা রাষ্ট্রের দরকার আছে কিনা - এটা তো তারাই নির্ধারণ করবে, অন্য কারো নির্ধারণে কি আসে যায়? যদি তারা স্বাধীন হতেই চায়, প্রভাকরণ তো জন্মাবে ঘরে ঘরে....আমার সেটাই মনে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।