প্রতীকী এ সফরের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু তামিলদের ‘দুর্দশার দিকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বোয় এর আগে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের আলোচনা চলেছে মূলত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের শেষ দিকে তামিলদের ওপর সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে ঘিরে।
এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারত, মরিশাস এবং কানাডার নেতারা আগেই কমনওয়েলথ সম্মেলন বর্জন করলেও এ দলে যোগ দেননি ক্যামেরন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে তিনি সম্মেলনে যোগ দেন।
শ্রীলঙ্কার সব নাগরিকের প্রতি উদারতা দেখানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২০০৯ সালে তামিল বিদ্রোহীদের দমনে সামরিক অভিযানের সময় শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের যে অভিযোগ রয়েছে তা সঠিকভাবে তদন্ত করার ওপর জোর দেন ক্যামেরন।
সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য ‘সত্য কথা’ বলার প্রক্রিয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পর একজন বিদেশি নেতা হিসাবে ক্যামেরনই প্রথম দেশটির তামিল অধুষ্যিত উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিলেন।
সেখানে জাফনায় একটি পাঠাগার পরিদর্শন করেন তিনি।
যুদ্ধের সময় যেটি বার বার আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং পরে তা আবার নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তরঞ্চলীয় প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং তামিল ন্যাশনাল এলায়েন্সের সাবেক বিচারক সিভি ভিগ্নেশরনের সঙ্গেও দেখা করেন ক্যামেরন।
ক্যামেরনের সঙ্গে যাওয়া এক বিবিসি সংবাদদাতা জানান, তামিল এলাকার অধিবাসী বিশেষত, নারীরা ক্যামেরনকে শুভেচ্ছা জানায়। যুদ্ধের সময় স্বজন হারানোর কথাও ক্যামেরনকে জানায় তারা।
অনেকে তার হাতে হারানো প্রিয়জনদের ছবি ধরিয়ে দেয়াসহ নানারকম অনুরোধ জানানোর চেষ্টাও করে।
কলম্বোয় ফেরার আগে ক্যামেরন একটি শরণার্থী শিবিরসহ উদয়ন পত্রিকা অফিসও পরিদর্শন করেন। এ বছরের শুরুর দিকে যে পত্রিকাটির প্রেস জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এবং এর সাংবাদিকদের ওপর নিত্যদিনই হামলা হচ্ছে।
সচক্ষে বাস্তব পরিস্থিতি দেখার পর ক্যামেরন বলেন, “মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকারের দিকটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার সুযোগ এখনো শ্রীলঙ্কা সরকারের আছে”।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।