আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্ভুদ!

রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

যেকোন সাধারণ জিনিষকে সিরিয়াসভাবে নেয়ার বদঅভ্যাস আমার। রসিকতাকে ভয় করি শৈশব হতে। এর জন্য ভোগান্তিও কম হয়নি। ছোটবেলায় স্কুল যাওয়ার পথে এক দাদুর বাড়ি ছিল। আমার স্কুল যাওয়া-আসার পথে সেই দাদু আমার পথ আগলে ধরতো এবং নানারকম রসিকতায় আমার জীবনটা অতীষ্ট করে তুলতো।

তাই ঐ দাদুর বাড়ির সামনে এলেই আমার বুকটা দুরুদুরু করতো। ভয়ে! তাই ওনার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার আগে দুর হতে লক্ষ্য করতাম উনি রাস্তার পাশে আছেন কিনা! কিন্তু রাস্তার পাশে কি উনি না থেকে পারেন? আমাকে দেখলেই লাফিয়ে রাস্তায় এসে পথ আগলে ধরতেন, যেন আমার জন্যই উনি সর্বক্ষন অপেক্ষা করেন। ওনার রসিকতায় অতীষ্ট হয়ে মাঝে মধ্যেই ওনার বাড়ি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অন্যপথে অনেকদুর ঘুরে স্কুলে যেতাম আর আসতাম। সেই দাদু মারা গেছেন অনেকদিন, তারপর বন্ধুদের আড্ডায় অনেকবার ভুগতে হয়েছে রসিকতা নিয়ে। বার বার ঠকতে হয়েছে।

অগত্যা একসময় এভাবে ঠকতেই ভাল লাগতো। আঙুর ফল টক আর কি? এবার আসি আসল কথায়। সামহোয়ারে আসার পর দুদিন ধরা খেলাম। আর হি হি হি করে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরলো। আমাকে একা একা হাসতে দেখে প্রথমদিন আমার স্ত্রী হয়তো ভাবছিল, আমি ধীরে ধীরে পাগল টাগল হয়ে যাচ্ছি।

রান্না ছেড়ে দৌড়ে এলো ঘরে। ঘরে কেউ নেই। চারদিক তাকিয়ে, চেক করে দেখলো, আসলেই ঘরে কেউ নেই। অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, কি হাসছো কেন? আমি হাসি থামাতেই পারছিলাম না। হাসতে হাসতেই বললাম, এমনিই।

বড় বড় চোখে আমার দিকে তাগিয়ে ধীর পদক্ষেপে, আড়চোখে আমার দিকে বার বার তাগিয়ে স্ত্রী চলে গেল আবার রান্নাঘরে। আজ আবার একই ঘটনা। এবার আর রক্ষা নেই। আক্রমন করে বসলো, বলতেই হবে, হাসছি কেন? কি আর বলবো। সামহোয়ারের যে পোষ্ট ও আমার মতো ধরা খাওয়া বন্ধুদের মন্তব্য পড়ে হাসছিলাম, তা তাকে পড়তে বললাম।

সে পড়লো, কিন্তু হাসলো না মোটেও, বরং বললো, ‌এতে হাসির কি আছে? খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, অকাজ করা। কর্কশ কন্ঠে চড়া একটা বকা খেতে হলো। আজ পড়েছিলাম, ১৮+ ও পাঠক মন্তব্য; আগেরদিন পড়েছিলাম, আর্ন্তজাতিক পাসপোর্ট চেক করা বিষয়ক পোষ্ট, যেখানে দুটো মন্তব্য ছিল, বাপরে বাপ, কি ধরা খাইলাম! আরেকজন বলেছিলেন, আমিও! কি অদ্ভুদ চিন্তা সব! আসলে এভাবে ধরা খেয়ে বোকা বনে যাওয়াতে যে এতো আনন্দ থাকতে পারে, তা সামহোয়ারে না এলে বুঝতাম না। যাই হোক, বাস্তবজীবনের নিরাবেগ জীবনে একটু হাসতে পারছি, এটাই অনেক। অদ্ভুদ! বন্ধু।

ধন্যবাদ তোমাদের, তোমাদের চিন্তার বিস্তার দেখে। কিন্তু বন্ধুরা, দুঃখ লাগছে, আমার এই আনন্দটা তেমন কারো সাথে শেয়ার করতে পারছি না (প্রথম পাতায় যাচ্ছে না), কারণ কর্তৃপক্ষ আমাকে পর্যবেক্ষন করছেন। তারা বলেছেন, এক সপ্তাহ। জানিনা, ক'দিন হলো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।