স্বপ্নের হাতছানি আমাকে কাছে টানে, যদিও জানি এটা মরিচিকার মত। আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল শূধাইলনা কেহ।
সোনা খুবই দামি। বর্তমানে এক ভরীর দামও অনেক। এক ভরি কিনতে গেলেই বুক ধড়পড় করে।
আর আস্ত একটা সোনার হরিণ, ওরে বাবা তার দামতো কল্পনা করাও আমার মত বেকারের পক্ষে কঠিন। তবুও সোনার হরিণ ধরতে ইচ্ছা করে। কিন্তু তার থেকে আমার দুরত্ব সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে। যদিওবা সময়ে সময়ে খুবই কাছে আসে তবুও অদৃষ্টের লিখনের বাধা ছুতে দেয় না।
অনার্স শেষ করেছি এক বছর হতে চল্ল কিন্তু চাকুরি নামের সোনার হরিণকে ছুতে পারলাম না।
যদিও এইচ এস সির পর থেকেই চাকুরি খোজা শুরু করেছি। সময়ে সময়ে মনে হতো এবার বুঝি চাকুরিটা পেয়ে গেছি। কিন্তু অদৃষ্টের লিখন না যায় খন্ডন। চাকরি পাইনি। কেন পাইনি এ প্রশ্ন সবার মনেই আসতে পারে।
এর কারণ আমার কেইকেটা মামা চাচা দাদা নেই। তারপর নেই মোথলা ভরা টাকা। তাহলে চাকরি হবে কিসের জোরে?
কেউ কেউ হয়তো বাঁকা চোখে তাকাতে শুরু করেছেন। একটু সহ্য করেন ভাই, আমাকে বলার সুজোগ অন্তত দেন। আমার মত অভিজ্ঞতা হলে, আপনিও আমার দিকে বাকা চোখে তাকাতেই লজ্জা পাবেন।
তখন হয়তে আমার দুঃখে হা হুতাস না করে নিজের দুঃখে নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছা করবে। যদি না আপনার মোথলা ভরা টাকা থাকে।
পরসমাচার এই যে, আমি চাকুরির ইন্টাভিউ দিতে গিয়ে যে অভিজ্ঞাতা হয়েছে তা এখন বলছি (মানে ভালো ইন্টাভিউ দিয়ে ছিলাম যে গুলো)। যখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখনকার ঘটনা। একটা ইন্টারভিউ দিতে গেছি।
প্রথমে রিটেন পরিক্ষা। পরিক্ষা দিলোম। পরিক্ষার তিনঘন্টা পরে রেজাল্ট দিল। ২০০ জন থেকে ৩০ জন নিল। তারপর ভাইবা পরিক্ষা হল তার পর দিন।
সেদিন ৩০ জন থেকে রাখল ১০ জন। এই দশ জনের প্রাকটিক্যাল পরিক্ষা হল সেই দিন বিকালে। ১০ জন পরিক্ষা দিলাম। মাত্র তিন জন রাখল। (মোবাইল নম্বর রেখে) আমাদের তিন জনকে বল্ল তোমাদের সাথে পরে যোগাযোগ করা হবে।
কিন্তু আর যোগাযোগ করেনি আমার সাথে। আমি একটু ভিন্ন মাধ্যমে খবর নিলাম, কি ব্যাপার। জানতে পারলাম। হ্যালোর জোরে একজন চাকুরি পেয়েছে। তার কাছে আমার রেজাল্টের অবস্থা জানতে চাইলাম।
সে বল্ল আমি সেকেন্ড হয়েছি। আর যাকে নিয়েছে সে হয়েছে থার্ড। আমার তখন বড্ড আফসোস হল ... .. .. .. .. বাকিটুকু কালকে লিখব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।