মেক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকুরি করছি গত ৯বছর যাবত। দশ বছরে পর্দাপনের মুর্হূতে ভাবছি কি পেলাম?
আমার জন্ম হয়েছিল অজপাড়া গায়ে যেখানে আজও বিদুৎ পৌছায়নি। শিক্ষার হার শূন্যর কাছাকাছি।
বাবা মায়ের আগ্রহ এবং আমার চেষ্টার কারনে থানা সদরে এক আত্রিয়র বাড়িতে থেকে লেখা-পড়া করেছি।
সম্ভবত পুরো গ্রামে আমিই প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি।
এরপর অনেক পরিশ্রম করে আমি একটি চাকুরি পাই। চাকরি জীবনে প্রবেশের আগে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল পেলাম না। ৯টি বছর পেড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি বড় বেশি বুড়ো হয়ে গেছি। চুল পড়ে যাচ্ছে , গায়ে চামড়ার রং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং বাস্ত্যতার কারনে বন্ধু-বান্ধবহিন একা হয়ে গেছি।
বেসরকারী কোম্পানীর মালিকরা আমাকে দিয়ে ৯ বছরে অনেক কাজ করিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা দেয়নি। ভাল কাজের প্রসংশা আমার বসরা পেয়েছে আমি পাইনি। আমি শুধু দেখেছি কিভাবে চামচা তৈলবাজরা উপরে উঠছে। ধমক আর পদে পদে জবাবদিহী শুনতে শুনতে কান পচে গেছে।
দৈনীক ০৯ থেকে ১১ ঘন্টা কাজ করে বছর ঘুরতে দেখি ফাকিবাজদের অর্ধেক বেতন ও বাড়েনি।
বড় কোম্পানীর মালিকরা কখনই কর্মিদের খোজ নেয় না তারা রাজনৈতীক নেতাদের মত অল্প কয়েকজন চাটুকার পরিবেষ্ঠিত হয়ে চলা ফেরা করে।
আর ঐ গুটি কয়েক চাটুকারের উপরই নাস্ত থাকে আমার মত কর্মি মৌমাছিদের ভাগ্য।
প্রতিদিন কোম্পানীর মূলধণ বাড়ে শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি পায় আর আমাদের চান্দি ফাকা হয়। ইস্তিকরা শার্ট পড়ে বের হই, ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যায়।
কত
স্বপ্ন আশা যে বুকের ভেতর মরে যায় কে তার খোজ নেয়?
আমার মা বলে পাশের বাড়ীর আকরাম তরকারী বিক্রি করে বড় বিল্ডিং দিল আর তুই টিনের ঘড় ও দিতে পারলি না!
আমি বলি মা তোমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এই তৃপ্তি নিয়ে থাকো।
সৎ থাকার মজা আছে কিন্তু দশ বছরে পদার্পনের র্পূবে ভাবছি এরকমই থাকবো? নাকি স্রোতে গা ভাষাবো??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।