সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির শোকে ভারতের এক কিশোরী মুনমুন আত্মহত্যা করেছে। তার আগে মুনমুন বলেছে, - ইরাক সরকার একজন দেশপ্রেমিককে ফাঁসি দিয়েছে। সাদ্দামকে ফাঁসি দেয়ার সময় তিনি যে কষ্ট পেয়েছেন, সেই কষ্টটাও অনুভব করতে চাই আমিও। তারপর সেই মায়াবতী কিশোরীটি চুপি চুপি ঝুলে পড়ে একটা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে।
সাদ্দামের ফাঁসির ভিডিও চিত্র দেখে মারা গেছে দুটো কিশোর, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, আরেকজন পাকিস্তানের।
মোবাইলফোন ক্যামেরা থেকে তোলা সাদ্দামের ভিডিও চিত্র দেখে যুক্তরাষ্ট্রের কিশোরটি ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়েছিল, আর পাকিস্তানের কিশোরটি করেছিল সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির নকল!
অথচ নিকৃষ্টতম সত্য কি জানো - সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির ছয়দিন পর বাংলাদেশ দুঃখ প্রকাশ করেছে। এতদিন কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখানো হয়নি সরকারি ভাবে। দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা থেকেছেন নীরব। খুব লজ্জাজনক সত্য হচ্ছে- যে দেশটা স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বকৃতি দিয়েছিল, এই ইরাকই হচ্ছে সেই তৃতীয়দেশ, আর আটাশীর প্রলঙ্করী বন্যায় প্রথম সাহায্যকারী দেশ!
বছরের প্রথমদিনে কোরবাসনর ঈদে আমরা যা-ই কোরবানী দিই না কেন, আমরা সেদিন প্রথম কোরবানী দিয়েছি আমাদের বিবেক!
সুমন্ত আসলামের বাউন্ডুলে থেকে একটি লেখার কিছু অংশ তুলে দিলাম এখানে। এতো ভালো লাগে ওনার লেখা, কি বলবো! কি যেন একটা যাদু জানে মানুষটা।
মুহূর্তেই ভিতরে ঢুকে যায়, নাড়িয়ে দেয় কঠিন খোলসের ভেতরে থাকা আমাদের ঐ মানবতাকে, কোমল ঐ মনুষ্যত্বকে। যুক্তির চেয়ে আবেগের পরিমাণ বেশি হলেও মন ছুঁয়ে যায় লেখাগুলো। প্রতিদিন সকালে উঠে অন্তত একবার হলেও তাই বাউন্ডুলেটা হাতে তুলে নেই, পড়ে ফেলি কয়েকটা লাইন, কয়েকটা শব্দ। মনটা ভালো হয়ে যায় কখনো, আবার কখনো বা অপরাধবোধ এসে পবিত্র করে এই মনটাকে।
পবিত্র মন আর আত্মা নিয়ে বেঁচে থাকা যে কতো কষ্টকর তা যদি সুমন্ত জানতেন!! তারপরও পড়ি, কষ্ট পেলেও পড়ি।
সরলতা আর পবিত্রতা দিয়ে এই পৃথিবীটাকে জয় করতে না পারি, একটা ছোট্ট ঘাসফুলকে জয় করতে পারবো হয়তো! একদিন পারবো, সত্যিই পারবো আমরা!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।